জীবন রায়, প্রাক্তন সিপিএম সাংসদ, রাজ্যসভাঃ
তত্বকথায়
না গিয়েও, প্রশ্ন করতে হয়, দেশ যখন দাসত্বে শুধু নয়, দাসত্বের সংস্কৃতিতে
ধুকছে, সামাজিক সন্তুলক হিসেবে যখন লিবারেলিজম উদারবাদ অপ্রাসংগিক হয়ে
পড়ছে
--- তখন কি কোন প্রান্তিক টুকরো টুকরো
প্রত্যাঘাত বাংলায়, একই সাথে, যুগপদ , ধেয়ে আসা দু[দিকের ফ্যাসিবাদী পথকে
কী আটকে দেওয়া সম্ভব হবে। দুই দিককে সম গুরুত্ব দিয়ে, উভয়কেই সংযত রাখা
সম্ভব হবে।
-----এখান থেকেই অন্য প্রশ্ন উঠেছে। ,
যদি মেনে চলা হয় -দাসত্বের সংস্কৃতি সমাজিক-রাজনীতির রন্ধ্র পথ ধরে
নারীদেহের বানিজ্যিক প্রদর্শনীতে সীমায়ীত নয় কিংবা প্রকৃত অর্থে নারীত্ব
বিনাশ এখন শিশু পবিত্রতাকেও ছিন্ন ভিন্ন করছে এবং তাকে রোধ করার নামে
ফৌঝদারি আইনকে কঠিন করতে হয়েছে
------ , তখন,
ফ্যাসিবাদ বিরোধী সংগ্রামকে, যদি অর্থনৈতিক স্বাধীনতার সংগ্রামের সাথে
যুক্ত করা সম্ভব না হয়, তবে কি দেশের অখন্ড অস্তিত্ব বজায় রাখা কিংবা
ফ্যাসিবাদের , উভয় দিকের কোনটাকেই কি বাংলায় প্রতিহত করা সম্ভব হবে?
----
সব আইনী পথ আইনী পথ যখন সামাজিক নৈরাজ্যের মুখে ভেংগে পরছে, সমাজে উদাবাদ
চুড়ান্ত ভাবে অপ্রাসংগিক হয়ে পরছে, অর্থনৈতিক স্বাধীনতার সংগ্রামকে
উচ্চগ্রামে উঠিয়ে এনেই যখন যুগপদ, স্বাধীনতার এবংফ্যাসিবাদ বিরোধী
সংগ্রামকে ক্রমাগত উচুস্তরে এগিয়ে দেওয়ার প্রয়োজন রয়েছে,
-----
তখন বিশ্বে উৎপাদনের দিক থেকে সংগঠিত একমাত্র বিরোধী শক্তি হিসেবে টিকে
থাকা কারখানা কিংবা খনি মুখের শ্রমিকদের প্রয়োজনীয়তা অবজ্ঞা করে কি এই
যুগলবন্দি প্রতিরোধ কি এগিয়ে নিয়ে যাওয়া যাবে?
শ্রমিক রাজনীতিকে তার অতি শৈশব কালে রেখে দিয়ে, তাকে দিয়ে কী আজকের দিনে ইতিহাসের চ্যালেঞ্জকে মোকাবিলা করা সম্ভব হবে?
Here
lies two million rupee questions. সারা বিশ্বেই যেখানে , এককালে পুঁজি
এবং শ্রমের সংঘাতের মাঝামাঝি থেকে যারা একটা বাফার যায়গা ধরে রাখতো, সেই
উদারবাদীরা অতি-দ্রুত শুধু অপ্রাসংগিক নয়, বিপুল হারে শত্রু শিবিরে ঢুকছে
----
তবু ভারতের মতো অতি-গরিব (আর্থিক-সাংস্কৃিক এবং জ্ঞানগত) দেশে যদি আই পি
টি এর ধারাকে, অব্যাহত রাখা যেতো, যা সম্ভব ছিল একমাত্র শ্রমিক রাজনীতিকে
তার শৈশব অবস্থা থেকে উঠিয়ে এনে বৌদ্ধিক স্তরে নিয়ে যাওয়ার মধ্য দিয়ে,
---- আমি নিশ্চিত হয়েছি, ভারত কিংবা বাংলায় এই উদারবাদীদের পার্শবদল অবস্বাম্ভাবী ছিলো না।
তখন প্রশ্ন উঠে এতো ত্যাগ, এতো সংগ্রাম, এতো জ্ঞানী-গুনী এবং যৌবনের বন্যা সত্বেও কেন
----
আমরা লক্ষভেদ করতে গিয়ে, এদেশের শ্রমিক নেতৃ্ত্ব কেন হোচট খাচ্ছে বার
বার, বিশেষ করে, কমরেড বিটি রনদিভে চলে যাওয়ার পর,প্রথম কয়েক বছরের পর,
যেন তথাকথিত 'নতুন অর্থনীতি' বিরুদ্ধে আন্দোলনটাও বুঝি হারিয়ে গেলে শ্রেফ,
বিরাষ্ট্রিয় করন বিরোধিতার' অর্থনীতিবাদে। তোলাই গেলো না যে দেশ দাসত্ব
এবং দাসত্বের সংস্কৃতিতে ঢলছে, নারী এখন বানিজ্যিক, শিল্প পুজিকে উৎখাত করে
দিয়ে বানিজ্যিক পুজির হাত ধরে আমেরিকাই আসলে দেশের মালিক হয়ে গেছে প্রায়।
এসব
প্রশ্নের জবাব খুজতেই, ভারতীয় ট্রেড ইউনিয়ন আন্দোলনকে নিশ্চিত ভাবে
ইতিহাসবোধে এবং সে অর্থে জ্ঞানের অখন্ড অভিমুখে দাড় কড়াতে হবেনি। অন্যথায়
আজকের দিনে, কিছুতেই শ্রমিক আন্দোলনকে পেছনে রেখে গনশিক্ষাকে চেতনামুখীন
রাখা যাবেই না। সবমিলিয়ে, শ্রমিক আন্দোলনে স্বতস্ফুর্তার উপাদানকে খতম
করতেই,
----- তাকে পাড়ি জমাতে হবে নতুন দুনিয়ার পথে
সেখানে, মস্তুলের সামনেই থাকবে শক্তকরে বাধা একটা কম্পাস। সেই কম্পাসটাকেই
ইতিহাস বোধ বলে মানতে হবে।
এখানে অন্যান্য তৃতীয় বিশ্বের যে কোন দেশের মতো ইতিহাসেরই, যে
একটা জট পাকানো পরিস্থিতি থেকে ইতিহাস রুপান্তরে উপাদানের সুতোঁগুলো বেড় করে আনাটাই
-----
সব থেকে বড় সমস্যা, সেই জটিলতাকে চিহ্নিত করতে না পারলে, ভারতের বিদেশী
করায়ত্ব হওয়া কিংবা ভেতর থেকে পছে যাওয়ার অবস্থাকে কিছুতেই রোধ করা যাবে
না।
----- বিশ্বে বোধ হয়, এই ১২৫ কোটি দেশটিকে ব্যাতি রেখে, অন্য কোন দেশ নাই, যেখানে গত পাচ হাজার বছরে
----- ভেতর থেকে কোন রুপান্তর প্রকৃয়া হাজার বছরে জমা হওয়া পুজ-রক্তকে পরিস্কার করার সুযোগ পেয়েছে।
এই পুজ রক্ত কিভাবে ভারতীয় মননের ভিভিন্ন স্তরক্বে বিকৃ্ত করছে,
সে
ধারনায়, শ্রমক- নৃ্তত্ববোধই সব থেকে গুরুত্বপূর্ন ভূমিকা নেবে। গত ১৫টি
পোস্টিং এ এই বিচেত্র ধারার অনেক দিক উন্মুক্ত করার চেষ্টা করেছি। আগামি
কয়েকটা পরিচ্ছদে সেদিকেই কথা বলতে হবে বলে মনে হয়।
ONLY
POINT I COMMAND BEFORE I CONCLUDE, THE PEOPLE WHO ARE SEARCHING OUT
FOREIGN ORIGINS IN INDIA, THEY SHOULD BE TAUGHT THAT NO BASIC CHANGE IN
INDIAN SOCIETY COULD BE POSSIBLE FROM WITHIN BUT HAVE BEEN THE
INFLUENCE OF OUTER INVASION AND SETTLEMENT WITHIN. (চলবে)
Post A Comment:
0 comments so far,add yours