সুবীর পাল, এডিটর, দ্য অফনিউজঃ কে বলল পাকিস্থান শুধুই সন্ত্রাসের দেশ? কারা চিৎকার করছেন, ভারত সাম্প্রদায়িকতার রাস্তায় হাঁটছে? সমালোচকদের মুখে একরাশ ছাই ফেলে বলি, এই দুই প্রতিবেশী রাষ্ট্র আজও বিশ্বাস করে এক অন্যন্য সম্প্রীতির বন্ধন। এই দুই দেশের এমন কিছু গ্রাম আছে যেখানে কোনও জোড় জুলুম নয়, নিজস্ব বিশ্বাসকে পাথেও করে হিন্দুরা পালন করেন রোজা থেকে ঈদ ও মুসলিমরা উদযাপন করেন দীপাবলি। একসঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে। এই গ্রামগুলিতে আজও কোনও সাম্প্রদায়িক হানাহানির ঘটনা ঘটেনি।
পাকিস্থানের সিন্ধ প্রদেশের থরকারপার জেলার এক রুক্ষ শুষ্ক গ্রাম। নাম মিঠি। এখানে বাসিন্দাদের আশি শতাংশই হল হিন্দু। এখানকার গ্রামীন হিন্দুরা স্থানীয় মুসলিমদের সঙ্গে রোজা পালন করেন। এলাকার হিন্দুরা মহা সমারোহে পালন করেন খুশির ঈদ। তেমনি মুসলিমেরাও অংশ নেন দীপাবলীর নানা উপাচারে।
প্রায় একই চিত্র দেখা যায় দুই দেশের সীমান্ত বরাবর ভারতের রাজস্থানের বারমের ও জয়সলমীর জেলাগুলির কিছু গ্রামে। সেখানকার গোধাদ কা তালা, রাবাসর, সাতা, সিঙ্ঘানিয়া, ভাষ্কর কেলনর নামক গ্রামীন জনপদে আজও হিন্দুরা মনপ্রাণ ভরে রোজা পালন করেন মুসলিমদের সঙ্গে। তাঁরা ঈদের উৎসবেও সামিল হন সপরিবারে। এলাকার মুসলিম সম্প্রদায়ের মানুষেরাও এখানে হিন্দুদের নানা দেবদেবীর পুজোতে অংশ নেন ধর্মের ভেদাভেদ ভুলে। নবরাত্রিও ঘটা করে পালন করেন পুরো নিষ্ঠার সঙ্গে। এইসব গ্রামের মানুষেরা সাধারণত শরনার্থী হিসেবে পাকিস্থান থেকে এসে বসবাস ক রতে শুরু করেন এইসব গ্রামে ১৯৬৫ সাল থেকে ১৯৭১ সালের মধ্যে।
Subscribe to:
Post Comments (Atom)
Post A Comment:
0 comments so far,add yours