ভবানী প্রসাদ ভট্টাচার্য্য,ফিচার রাইটার দুর্গাপুরঃ ধর্মমঙ্গল কাব্যের নায়ক ইছাই ঘোষ অতিসাধারন এক গোয়ালার সন্তান হয়েও নিজ বাহুবলে ঢেঁকুর গড় দখল করে এক অখন্ড গোপরাজ্যের প্রতিষ্ঠা করেন!তিনি তিষষ্ঠীগড়ের অধিপতি হন,অর্থাৎ তাঁর অধীনে তেষষ্ঠীটি গড় বা দুর্গ ছিল! তিনি তাঁর রাজ্যসীমা বিস্তৃত করেন কাটোয়া থেকে গিরিডী-মধুপুর (বর্তমান ঝাড়খন্ড)পর্য্যন্ত!

অনেক ঐতিহাসিকের অভিমত, ইছাই ঘোষই প্রথম গোপরাজা এবং গোপরাজ্যের প্রতিষ্ঠাতা,এই গোপরাজারা রাঢ় বঙ্গের বিস্তির্ন এলাকা জুড়ে প্রায় সাত'শো বছর রাজত্ব করেন! গোপঅধিকৃত এই রাজ্যসীমা "গোপভুম" নামে পরিচিত!
ইছাই ঘোষ এক কিংবদন্তী চরিত্র,এক অতি সাধারন গোপ সন্তান হয়ে কিভাবে বৃহৎ 'গোপ রাজ্য'গড়ে তুলেছিলেন, তা আজও বিষ্ময়ের উদ্রেক করে!
কোন কোন ঐতিহাসিকের মতে,ইছাই ঘোষের পিতা সোম ঘোষ ছিলেন পরাক্রমী বীর তিনিই নিজ বাহুবলে গোপরাজ্যের প্রতিষ্ঠা করেন!পরস্ত্রী অপহরনের মতো নিন্দনীয়,নীচ, পাপ কর্মের গোপ সমাজ তাঁকে সমাজচ্যুত করেন! বাধ্য ইছাই বনগাঁয় (বর্তমান কাঁকসা ব্লকের, বনকাটী গ্রাম পঞ্চায়েত) মামার বাড়ীতে আশ্রয় নেন!
আবার কয়েকজন ঐতিহাসিক,গবেষক ভিন্ন মতও প্রকাশ করেন,তাঁদের মতে বাল্যকালেই ইছাই পিতৃ-মাতৃহীন হয়ে মামার বাড়ীতে আশ্রয় নেন!সমবয়সী রাখাল বালকদের সাথে মাঠেমাঠে গরু চরিয়ে তাঁর দিন কাটতো।
মাঝে মাঝে মায়ের জন্য মন খারাপ হলে "মা""মা" বলে চিৎকার করে কাঁদতো,একদিন দুপুরে মা মা বলে চিৎকার করতেই এক অলৌকিক ঘটনা ঘটলো। এক অপূর্ব দর্শনা দেবী তাঁর সামনে উপস্হিত হয়ে ইছাইকে বুকে টেনে নিলেন।
........ (চলবে)
Post A Comment:
0 comments so far,add yours