ভবানী প্রসাদ ভট্টাচার্য্য,ফিচার রাইটার দুর্গাপুরঃ দেবী শ্যমরূপার অহেতুকী কৃপা লাভ করলেন গোপ সন্তান ইছাই পিতৃমাতৃহীন আহীর গোয়ালা মা শ্যামরূপার মানসপুত্র বলে পরিচিতি লাভ করলেন!
দেবী চন্ডিকা কি ভাবে শ্যামরূপায় পরিনত হলেন সে বিষয়ে ঐতিহাসিকরা ভিন্ন মত পোষন করেন ! প্রখ্যাত গবেষক সিদ্ধেশ্বর মুখোপাধ্যায়ের মতে "এক সময় এই জনপদে শুম্ভরূপা নামে একটি জাতি বাস করতো, কৃষিকাজ আর পশুপালন যাদের জীবিকা ছিল, তাদের আরাধ্যা দেবী ছিলেন শুম্ভরূপা পরে অপভ্রংশ হয়ে 'শ্যামরূপায়' পরিনত হয়েছে, আবার অন্য একটি মত প্রকাশ করেন নামী কিছু গবেষক, তাঁদের মতে এই শ্যামরূপা দেবী চন্ডীকারূপেই পূজিতা হতেন ! সেই সময় বর্তমান অজয় নদের নাম ছিল "কৃষ্না নদী" (পরে বর্ধমানের রাজকুমার অজয় চাঁদের নাম অনুসারে নামকরম হয় অজয়)
এই নদীর তীরে এক কাপালিক দেবী চন্ডিকার সাধনা করতেন!
দেবীকে তুষ্ট করতে তিনি একবার একটি বালিকাকে বলি দিতে উদ্যত হলে , গৌড়রাজ লক্ষন সেনের সভাকবি জয়দেব সেই কাপালিককে নরবলি দিতে নিষেধ করলে, সেই কাপালিক জয়দেবে অনুরোধ প্রত্যাখান করলে জয়দেবে সেই কাপালিককে শ্যাম অর্থাৎ কৃষ্নরূপে দেবী-দর্শন করালে সেই বলিকার প্রান রক্ষা হয়! শ্যাম রূপে দেবী দর্শন দেওয়ায় দেবী দুর্গা এখানে শ্যামরূপা নামে খ্যাতা
সেই কাপালিক এরপর থেকে এখানে পশু হত্যা বন্ধ করে দেন !
জনশ্রুতি ,এরপরই সেই কাপালিক সাধনায় সিদ্ধিলাভ করেন! তাঁর তিরোধানও এক অলৌকিক ঘটনা, একদিন কৃষ্না নদীতে ( অজয়) স্নান করতে গিয়ে আর তিনি ফিরলেন না একটা টকটকে লাল জবাফুল হয়ে নদী ভেসে গেলেন! এমন অনেক কিংবদন্তী আর অলৌকিক কাহিনি জুড়ে আছে দেবী শ্যমরূপাকে কেন্দ্র করে ।
জনশ্রুতি ,এরপরই সেই কাপালিক সাধনায় সিদ্ধিলাভ করেন! তাঁর তিরোধানও এক অলৌকিক ঘটনা, একদিন কৃষ্না নদীতে ( অজয়) স্নান করতে গিয়ে আর তিনি ফিরলেন না একটা টকটকে লাল জবাফুল হয়ে নদী ভেসে গেলেন! এমন অনেক কিংবদন্তী আর অলৌকিক কাহিনি জুড়ে আছে দেবী শ্যমরূপাকে কেন্দ্র করে ।
Post A Comment:
0 comments so far,add yours