জীবন রায়, প্রাক্তন সিপিএম সাংসদঃ কোন নির্বাচনে,
দলের নয় -
বোধের উত্থান এবং পতনেই
নিহীত থাকে,
জয় ও পরাজয়ের মূল মানদন্ড।
কোথাও কোথায়ও আলোচনা করেছি - বাংলায় যে ভোট হয়েছে, সেখানে যেমন কতকগুলি বাধ্যবাধকতা কাজ করেছে, কেরালায়
মানবিক এবং ভাবগত অবস্থান নির্বাচনী নিরপেক্ষ ভাবেই, একটা দীর্ঘকালীন চালচিত্র নির্মান করে দিয়েছে, যেটা বাংলায় ঘটে নাই।
যাইহোক, বিষয়টি পরে কোন একটা সময়ে পরে আলোচনা করা
যাবে।
আজকের দিনে, সমাজ বিজ্ঞানের আলোকে যে কথাটা সব থেকে
আগে বোঝা প্রয়োজন
--- এমন কোন মানদন্ডে, একটা নির্বাচনী প্রচার এবং তার পরিনতিটিকে পরিমাপ করা যাবে; সেই সুত্রে বুঝে নেওয়া যাবে, জাতীয় ভাব সত্বার উত্থান কিংবা পতনের দিকটিকে চিহ্নিত করা যাবে; সাথে সাথে চিহ্নিত করা ব্যবস্থার মধ্যে সেই উপাদানগুলি বিদ্যমান কিনা যা জাতীয় ভাবসত্বাকে, নির্বাচনী ফলাফল নিরপেক্ষভাবে ক্রমাগত জাতীয় সংহতির দিকে এগিয়ে দিচ্ছে কি না।
--- উল্লেখিত বিষয়গুলির পরিপ্রেক্ষিতেকে, সামনে রেখে যদি কয়েকজন সম্পর্কে, যাদের সম্মিলিত ভাবসত্বাকই ভারত বিবেক বলে মেনেছে
--- তাদের সেই ভাবগুলি যে শাসকদের হাতে আক্রান্ত হবে, সেটা স্বাভাবিক,
কিন্তু মানুষ যখন রবীন্দ্রনাথ এবং নেহেরু জুটি আক্রান্ত হয়, মহাত্মার হত্যাকারীকে দেশপ্রেমী আখ্যা দিয়েও, যখন একজন নির্বাচনে বিপুল ভোটে জিতে যান, মানুষ যদি রবি ঠাকুরের বিশ্বভারতী কিংবা মহামানবের সাগর তীরের ধারার বিরুদ্ধে স্বরযন্ত্রে নিরপেক্ষ অথবা আনুষ্ঠানিক হয়ে যায় -
---- তবে একটা নির্বাচনে কে জিতলো কিংবা হারলো সেটা তো গৌণ হয়ে যায়।
সভ্যতাই যখন অতল গহীনে ডুবে যেতে থাকে, তখন তাতে কোন দল কিংবা দলের মহারথী ডুবে যাচ্ছে, তার খবর কে রাখতে যাবে।
Subscribe to:
Post Comments (Atom)
Post A Comment:
0 comments so far,add yours