Zouno milone susthota
দ্য অফ নিউজঃ যৌন মিলনের স্বাস্থ্যগত উপকারিতা নিয়ে অনেকেই জানি এবং অসংখ্য উপায়ে যে যৌনতা শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্যের উন্নতি ঘটাতে পারে তা প্রমানিত। যৌনতা, উত্তেজনা এবং চূড়ান্ত যৌন সুখানুভূতি বিভিন্ন ভাবে স্বাস্থ্যের উন্নতি করতে পারে। আর্কাইভ অব সেক্সুয়াল বিহেভিয়ার এর সাম্প্রতিক গবেষণায় দেখা যায়, যে নারী যত বেশি যৌন মিলন করেন তার স্মৃতি শক্তি ততই প্রখর। যৌনতা নারীদের হিপ্পোক্যাম্পাস এর কোষ বৃদ্ধিতে উদ্দীপনা যোগায়। মস্তিষ্কের এই এলাকাটি স্মৃতি সংরক্ষণের কাজ করে। যৌনতায় সক্রিয় নারীরা উচ্চ রক্তচাপে ভোগেন না। ট্রোজান এবং সেক্স ইনফরমেশন এবং এডুকেশন কাউন্সিল অফ কানাডার জরিপ মতে, বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে যৌনতা আরও রোমাঞ্চকর হয়ে ওঠে। যৌনতা আত্মবিশ্বাস বাড়াতে পারে। সোশাল সাইকোলজিক্যাল অ্যান্ড পার্সোনালিটি সায়েন্স এ যেসব কলেজ শিক্ষার্থী এ ধরনের যৌন মিলন উপভোগ করেন তাদের আত্মবিশ্বাস বেশি। হস্তমৈথুনও একইভাবে উপকারী। সাইকোলজি অফ ওমেন কোয়ার্টারলির আরেকটি গবেষণায় দেখা গেছে, যে নারীরা প্রায়ই হস্তমৈথুন করেন তারা নিজেদের দেহ সম্পর্কে অনেক বেশি ইতিবাচক অনুভূতি লালন করেন। অ্যাডাম অ্যান্ড ইভ একটি গবেষণাধর্মী দলের একটি গবেষণায় দেখা গেছে, ক্রীড়াবিদরা যত বেশি হস্তমৈথুন বা যৌন মিলন করেছে ততই তারা শক্তি, তৎপরতা প্রদর্শন করেছেন। জার্নাল অফ সেক্সুয়াল মেডিসিনের গবেষণা মতে, চুড়ান্ত যৌন সুখানুভূতি ডোপামিন এবং অক্সিটোসিন এর মতো হরমোনের নিঃসরণ ঘটায়। কিন্তু এই উপকারিতাগুলোর অভিজ্ঞতা লাভের জন্য আপনার চূড়ান্ত যৌন সুখানুভূতি লাভেরও কোনও দরকার নেই। বরং শুধু যৌন উত্তেজনা সৃষ্টির ফলেই এই হরমোনগুলো নিঃসরিত হয়। শারীরিক মিলন কার্যে আপনি ৩০ মিনিট লিপ্ত থাকলে আপনার ৮৫ ক্যালোরি খরচ হয়৷ সারা বছর নিয়মিত রূপে শারীরিক মিলনে লিপ্ত হতে পারলে ৭৫ মাইল জগিং করার সমান ক্যালোরি আপনার শরীর থেকে নির্গত হবে। রোগ প্রতিরোধের ক্ষেত্রে এটি থেরাপির মত কাজ করে, এর মাধ্যমে পাচন কার্য ঠিক হওয়ার ফলে রোগ প্রতিরোধক ক্ষমতা সুদৃঢ় হয়৷ এছাড়া মাথা এবং হাড়ের জয়েণ্টের ব্যাথার ক্ষেত্রে আরাম পাওয়া যায়। সপ্তাহের তিন বার বা তার থেকে বেশী বার শারীরিক মিলন হার্টঅ্যাটাকের সম্ভাবনা কমিয়ে দেয়৷ রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাঁড়ায়। পিরিয়ডের আগে মহিলাদের মধ্যে অনেক সময় যে সমস্যা দেখা যায় তাও থাকে না৷ পিরিয়ডের সময় ব্যাথা কম হয়। মন উৎফুল্ল থাকে ফলে মানসিক অশান্তি কম হয়। শারীরিক মিলনের আকর্ষনের ফলে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে দূরত্ব কম হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে মনে খুশী সঞ্চারিত হয়৷ ভালোবাসা বাড়ে, কাজ করার ক্ষমতা বাড়ে। ভালো ঘুম হয়। আত্মবিশ্বাস বাড়ে, ওজন কমে, সৌন্দর্য্য বাড়ে। শারীরিক মিলন কালে মহিলাদের শরীর থেকে এস্ট্রোজেন হরমোন নির্গত হতে থাকে, যার দ্বারা তাদের চুল এবং ত্বক আকর্ষনীয় হয়ে ওঠে৷ নিয়মিত শারীরিক মিলনের ফলে প্রোস্টেটে ক্যান্সার হওয়ার সম্ভাবনা কমে যায়৷ যাদের ফুসফুসের সমস্যা বা জ্বর হয় তাদের সমস্যার সমাধানও হয়ে থাকে।
Share To:

THE OFFNEWS

Post A Comment:

0 comments so far,add yours