দেবিকা ভট্টাচার্য, লেখিকা ও লেকচারার, চন্দননগর, হুগলি:
মুস্তৌফী বংশের তিলোক রামের পুত্র রামনিধি মুস্তৌফী ১৮১৪ খ্রিস্টাব্দে হরসুন্দরী নামে মন্দির প্রতিষ্ঠা করেন।পাশে আছে হরসুন্দরী পুকুর। শোনা যায় পরিবারের মহিলা সদস্যের নাম অনুসারে মন্দিরটির নামকরণ করা হয়। দিনটি ছিল চৈত্র সংক্রান্তি। মন্দিরটি আদিতে ষাট ফুট উচ্চতা বিশিষ্ট ছিল। মূল মন্দিরটি নবরত্ন চূড়া বিশিষ্ট। দুপাশে আরও সাতটি করে মন্দির রয়েছে। একটি পাশে প্রথম এবং শেষ মন্দির, দুপাশে দুইটি করে মোট চারটি পঞ্চ রত্ন মন্দির রয়েছে। মাঝের মন্দিরগুলি একটি করে চূড়া বিশিষ্ট। মূল মন্দিরের কষ্টিপাথরে নির্মিত মায়ের মূর্তিতে বিশেষত্ব এই যে, মুণ্ডমালা সম্মুখভাগে দেখতে পাওয়া যায় না। তা রয়েছে মায়ের পশ্চাদভাগে।
কথিত আছে, কোনও ছোটো ছেলে মায়ের গলায় মুণ্ডমালা দর্শনে যারপরনাই ভীত হয়ে পড়ে, মা তখন এটি সংবরণ করেন।অন্য মন্দিরগুলিতে শিবলিঙ্গ বর্তমান।
সকাল সাড়ে নটা থেকে সাড়ে দশটা এবং বিকেল পাঁঢটা থেকে ছ'টার মধ্যে মন্দির খোলা হয় এবং নিত্য পূজা সম্পন্ন হয়। বারবার সংস্কার সাধনে টেরাকোটার কাজ মুছে গিয়ে এখন সিমেন্টের সাধারণ দেওয়াল এবং রং চোখে পড়ে। (ক্রমশঃ)
(ছবি সৌজন্যে প্রতিবেদক স্বয়ং)
(www.theoffnews.com Somra bazar Hooghly)
Post A Comment:
0 comments so far,add yours