তপন সান্যাল, কবি, গীতিকার ও গবেষক, পাইকপাড়া, কলকাতা:

একটা দীর্ঘ সময় এভারেস্টের উচ্চতা মাপকের স্বীকৃতি পাননি রাধানাথ। আবার সেই তথ্য জনসমক্ষে আসার পর থেকে আজ পর্যন্ত তাঁর অবশিষ্ট পরিচয়গুলো চাপাই পড়ে গেল। জরিপবিদ রাধানাথ নিশ্চয়ই নমস্য, অগ্রগণ্য। কিন্তু তিনি যে ভারতে আধুনিক জ্যোতির্বিজ্ঞান চর্চারও পথিকৃৎ, তা ভুলে যাই কী করে?

জরিপের কাজ করতে গিয়েই এসেছিল জ্যোতির্বিজ্ঞান, তাতে আগ্রহী হয়েছিলেন রাধানাথ। ১৮৫১ সালে ভারতে প্রথম জরিপ সম্পর্কিত বই আ ম্যানুয়াল অব সার্ভেইং ফর ইন্ডিয়া প্রকাশিত হয়। এর ‘Part-V’-টি লিখেছিলেন রাধানাথ, যার শিরোনাম ‘প্র্যাকটিক্যাল অ্যাস্ট্রোনমি অ্যান্ড ইটস অ্যাপ্লিকেশনস টু সার্ভেইং’। সেখানেই জ্যোতির্বিজ্ঞান বিষয়ে বিস্তৃত করেন লেখক। ‘অব দ্য ফিক্সড স্টারস’ নামে একটি অত্যন্ত জরুরি নিবন্ধ লেখেন। জ্যোতির্বিজ্ঞানে রাধানাথ আর একটি কৃতিত্বের ছাপ রেখেছিলেন ট্রিগোনোমেট্রিক্যাল সার্ভেতে। ‘সার্কামপোলার স্টারস’, অর্থাৎ যে তারাগুলো কখনও অস্ত যায় না, সার্ভেতে সেগুলিকে কাজে লাগানোর ব্যাপারে দু’টি গুরুত্বপূর্ণ ফর্মুলা নিরূপণ করেছিলেন এভারেস্ট। সেই দু’টিকে নিখুঁত ভাবে ব্যবহারিক ক্ষেত্রে পরীক্ষা করেন রাধানাথ এবং সার্ভেতেও যে তা কাজে লাগানো যেতে পারে, তাও জানিয়ে দেন। ইন্ডিয়া মেটেরোলজিক্যাল ডিপার্টমেন্ট, কলকাতার প্রাক্তন ডিরেক্টর অজানা চৌধুরীর লেখা থেকে জানা যায়, ১৮৫৩ সালে কলকাতার আকাশে নক্ষত্রদের সংক্রমণ পর্যবেক্ষণের উপর ভিত্তি করে জাহাজ চলাচল যাতে সুষ্ঠু ভাবে হতে পারে, সে জন্য সময়-সিগন্যালের ব্যবস্থাও করেছিলেন রাধানাথ। তিনিই জানান, ভারতে আবহাওয়া বিজ্ঞানেরও প্রধান পথপ্রদর্শক ছিলেন রাধানাথই। ১৯৫২ সালে এ বিষয়ে তাঁর সবচেয়ে জরুরি কাজটি প্রকাশিত হয়েছিল।

আগেই বলছিলাম, রাধানাথ কেবল গণিত বা বিজ্ঞানে সুপণ্ডিত নন, তিনি বহু গুণের আধার। তার মধ্যেই একটি হল তাঁর সাহিত্যিক সত্তা, যা বন্ধু প্যারীচাঁদ মিত্রের হাত ধরে সুপ্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। অনেক গবেষকরই মত, নিয়মিত সাহেবদের সঙ্গে মিশতে মিশতে রাধানাথের চালচলন ও কথাবার্তা ধীরে ধীরে পুরো দস্তুর বিলিতি হয়ে যাচ্ছিল। তাতে অসুবিধে ছিল না, কিন্তু এক সময় তিনি বাংলা ভাষা চর্চা প্রায় ভুলেই যেতে বসেছিলেন। এ সময়ই তাঁর হাত ধরেন প্যারীচাঁদ। দু’জনে মিলে বাংলা ভাষা ও সাহিত্য চর্চা শুরু করেন। আসলে, রাধানাথও মাটির টানেই বাংলা ভাষা চর্চায় ফিরতে চাইছিলেন। যুগ্ম ভাবে একটি পত্রিকা সম্পাদনা শুরু করেন তাঁরা, নাম মাসিক পত্রিকা। ১৮৫৪ সালের ১৬ অগস্ট প্রকাশিত এই পত্রিকা সম্পর্কে জেমস লং-এর গবেষণা থেকে জানা যায়, এর গদ্য মূলত মৌখিক বাংলা ঘেঁষা, মহিলাসমাজ ও সাধারণ পাঠকদের কথা ভেবেই সম্পাদিত। পরে সরকার অসমের জন্য এই পত্রিকার ৫০০ কপির গ্রাহক হয়। পত্রিকাটি বিভিন্ন ঐতিহাসিক উপাখ্যানের মাধ্যমে নারীশিক্ষার পক্ষে এবং হিন্দু সমাজের নানা কুসংস্কারের বিরুদ্ধে আলোচনা করত। রাধানাথ এখানে গ্রিক ও রোমান সাহিত্য চর্চা করতেন। এই পত্রিকার জন্যই তিনি প্লুটার্ক, জেনোফোনের রচনা অনুসরণ করে প্রবন্ধ ও গল্প লিখতেন। আবার, এখানেই ধারাবাহিক ভাবে বেরিয়েছিল প্যারীচাঁদ মিত্রের বিখ্যাত উপন্যাস ‘আলালের ঘরের দুলাল’।

পত্রিকাটি মাত্র চার বছর চললেও রীতিমতো জনপ্রিয় হয়েছিল। বিভিন্ন ক্যাটালগে তার উল্লেখ পাওয়া যায়। কলকাতা স্কুল বুক সোসাইটির ১৯তম রিপোর্ট বলছে, স্কুল-কলেজের জন্য পুস্তক মুদ্রণ এবং ক্রয়ের তালিকায় আছে মাসিক পত্রিকা। সে বারে এই পত্রিকা কেনা হয়েছিল ৩৬০০ কপি। বলতেই হয়, রাধানাথও এই পত্রিকার পিছনে বিপুল সময় ব্যয় করতেন।

নানা কাজে তিনি জড়িয়ে ছিলেন, সেই সঙ্গে ছিলেন স্পষ্টবক্তা। তাই শত্রুরও অভাব ছিল না। ১৮৭০ সালের ১৭ মে তাঁর মৃত্যুর পর গবেষণা-জগৎ থেকে তাঁর নাম মুছে দেওয়ার চেষ্টা হয়েছে বারবার, তাঁর কাজকে খাটো করে দেখানোর উদ্যোগও কম ছিল না। কিন্তু শেষ পর্যন্ত বাঙালি বিদ্বৎসমাজের প্রত্যেকটি মানুষ মুক্তকণ্ঠে তাঁর কৃতিত্ব স্বীকার করেছেন।

রাধানাথের ডায়েরি থেকে জানা যায়, “কলেজে এক মনে পড়িতে পাইতাম না, একবার পড়ার কথা মনে পড়িত, পরক্ষণেই বাটীতে ফিরিয়া যাইয়া কি খাইব, মা বুঝি এখনও কিছুই খান নাই, এই সকল ভাবনা মনে উদিত হইয়া পড়ার ব্যাঘাত ঘটিত।” জীবনী থেকেও জানা যায়, লেখাপড়া করার সময়ও অন্নবস্ত্র জোগাড়ের জন্য তাঁকে ও তাঁর ভাই শ্রীনাথকে খুবই কষ্ট পেতে হত। সে জন্যই মাত্র আঠারো বছর বয়সে চাকরিতে যোগ দিতে হয়েছিল রাধানাথকে। তা সত্ত্বেও, তাঁর হৃদয়ে কখনও কোনও কার্পণ্য বা সঙ্কীর্ণতা ছিল না। যখনই কেউ তাঁর সাহায্য চেয়েছেন, তিনি যথাসাধ্য হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন। বহু পণ্ডিত মানুষ গবেষণার কাজে সহায়তা পেতে রাধানাথের দ্বারস্থ হতেন, সব সময়ই নিঃস্বার্থ ভাবে সাহায্য করতেন তিনি। আসলে, এ সব কাজই তিনি জনস্বার্থ বলে মনে করতেন। বিশেষ ভাবে উল্লেখ করতে হয় জনস্বাস্থ্য- ভাবনায় তাঁর অংশগ্রহণের কথা। উনিশ শতকের মাঝামাঝি যখন গুটিবসন্তের প্রাদুর্ভাবে বাংলার গ্রাম-শহর ছারখার হয়ে যাচ্ছে, তখন সরকার এই সংক্রান্ত একটি কমিটি গঠন করে। রোগ সম্পর্কে অনুসন্ধান করে তারা একটি রিপোর্ট জমা দেয়। সেই সূত্রে কিছু বিশিষ্ট মানুষের কাছে চারটি প্রশ্ন পাঠানো হয়। প্রশ্ন পেয়েছিলেন রাধানাথও। তিনি এ বিষয়ে বিশেষজ্ঞ ছিলেন না, তা সত্ত্বেও গভীর মনোযোগ ও পর্যবেক্ষণের মাধ্যমে যে সব উত্তর জমা দিয়েছিলেন, তা সে যুগের নিরিখে অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ হয়ে ওঠে। এমনকি, জবাব দিতে গিয়ে নতুন কিছু জরুরি প্রশ্নও উসকে দিয়েছিলেন রাধানাথ। ১৮৬২ সালের মার্চ মাসে চাকরি থেকে অবসর নেওয়ার পরে পুরোপুরি নিজেকে উন্নয়নমূলক সামাজিক কাজে ব্যস্ত রেখেছিলেন।ঊনবিংশ শতাব্দীর ১ম ভাগে জরিপ কাজে ব্যবহৃত গণিত বিষয়ে চর্চা প্রয়োগ উদ্ভাবনে তিনি স্বকীয়তার সাক্ষ্য রেখেছেন। এইজন্য তিনি ভূয়সী প্রশংসা অর্জন করেছিলেন। তিনি জার্মানির সুবিখ্যাত ফিলজফিক্যাল সোসাইটির ব্যাভেরিয়ান শাখার সম্মানীয় সদস্যপদ লাভ করেন ১৮৬২ সালে। গণিতে অসাধারণ পারদর্শিতার জন্য তার এই সম্মান প্রাপ্তি।

১৮৫২ সালের কোনও একদিনের কথা। দুপুরবেলা লাঞ্চের পর ‘দ্য গ্রেট ট্রিগোনোমেট্রিক সার্ভে’র বড়সাহেব দিনের বাদবাকি সময়ের কাজগুলো সেরে ফেলার প্রস্তুতি নিচ্ছেন। ঠিক তখন হাতে একটি ফাইল নিয়ে হন্তদন্ত হয়ে ঘরে ঢুকলেন এক তরুণ। এই তরুণ এসে দাবি করলো সে নাকি বিশ্বের সবচেয়ে উঁচু পর্বতশৃঙ্গ আবিষ্কার করে ফেলেছে। বড় সাহেব বড়সড় চমকই খেলেন। পরে অবশ্য সারা বিশ্বই চমকে গিয়েছিল এই তরুণের আবিষ্কারে। তার নাম রাধানাথ শিকদার। আমরা অনেকেই ভুলে গিয়েছি তাকে। মেধাবী এই ব্যক্তিটি জীবদ্দশাতেও ছিলেন বড্ড উপেক্ষিত।

১৮১৩ সালের অক্টোবরে জোড়াসাঁকোর শিকদার পাড়ায় এক গোঁড়া ব্রাহ্মণ পরিবারে রাধানাথ জন্মেছিলেন, বাবা তিতুরাম শিকদার। শিকদারেরা মুসলিম সাম্রাজ্যের প্রাক্কাল থেকে প্রধানত শান্তিরক্ষক হিসেবে কাজ করতো। বংশ পরম্পরায় এ কাজ করার কারণে তাদের মধ্যে লেখাপড়ার চর্চা অনেক কমে এসেছিল। কিন্তু তারপরেও বাবার তত্ত্বাবধানে রাধানাথের প্রাথমিক শিক্ষায় ঘাটতি হয়নি। রাধানাথ প্রথমে গ্রামের পাঠশালায় এবং পরে কমল বসুর স্কুলে ভর্তি হন। ১৮২৪ সালে হিন্দু কলেজ (বর্তমান প্রেসিডেন্সি কলেজ)-এ ভর্তি হন। সে সময় তিনি যে টাকা বৃত্তি হিসেবে পেতেন তার বড় একটা অংশ দিয়ে বই কিনে ফেলতেন। পারিবারিক অবস্থা ভালো না থাকায় অনেক সময় পড়ালেখাতে মন দিতে পারতেন না। কলেজে পড়াকালীন সময় থেকেই তিনি গণিত চর্চায় অসাধারণ মেধার স্বাক্ষর রাখেন। সে সময়ের ভারতবর্ষের স্বল্প সংখ্যক ব্যক্তির মধ্যে তিনি ছিলেন একজন যিনি স্যার আইজ্যাক নিউটনের ‘প্রিন্সিপিয়া ম্যাথমেটিকা’ পড়েছিলেন এবং চর্চা করেছিলেন। ছাত্রাবস্থায় রাধানাথ গ্যালিলিও, টাইকো ব্রাহে, জোহানেস কেপলার, শ্রীধর আচার্য এবং ভাস্করাচার্যের বৈজ্ঞানিক লেখা পড়েন। হেলেনিক গণিতবিদ থেলিস, আর্কিমিডিস এবং ইরাটোথেনিসের পদাঙ্ক অনুসরণ করে তিনি বক্রতলীয় ত্রিকোণমিতি অধ্যয়ন করেন। জ্যোতির্বিজ্ঞানের পর্যবেক্ষণের প্রতিও তার বিশেষ আগ্রহ ছিল। তিনি তার অসাধারণ মেধার সাক্ষ্য স্বরূপ বেশ কয়েকটি ক্লাসে ডাবল প্রমোশন লাভ করেন। কলেজে পড়াকালীন সময়েই তার রচিত দুটি বৃত্তের উপর স্পর্শক রেখা (Tangent) অঙ্কন করার পদ্ধতি নিয়ে গবেষণা করেন এবং তার প্রবন্ধ Gleanings in Science (Vol. III, 1831) সাময়িকীতে প্রকাশিত হয়।

দুর্দান্ত ইংরেজি পারতেন। একবার কলকাতার টাউন হলে শেক্সপিয়রের ‘অ্যাজ ইউ লাইক ইট’ থেকে পাঠ করে সকলকে তাক লাগিয়ে দিয়েছিলেন। গ্রিক এবং লাতিন ভাষাতেও দক্ষতা ছিল। সর্বস্তরে বিজ্ঞানের আলো ছড়িয়ে দেওয়ার লক্ষ্যে তিনি ইংরেজি ভাষায় রচিত বিভিন্ন বিজ্ঞানগ্রন্থ সংস্কৃত ভাষায় অনুবাদ করার উদ্যোগ নেন। তখনও বাংলা ভাষায় সাহিত্য চর্চা শুরু হয়নি। এর কিছুকাল পর তার বন্ধু প্যারীচাঁদ মিত্র বাংলা ভাষায় প্রথম উপন্যাস রচনা করেন।

রাধানাথ শিকদার ভারতে তদানিন্তন ব্রিটিশ প্রশাসনের জরিপ বিভাগ সার্ভেয়র জেনারেল অফ ইন্ডিয়ার দপ্তরে কাজ করতেন। তিনি ১৮৪০ সালের মহা ত্রিকোণমিতিক জরিপ কাজে অংশ নেন। ১৮৫১ সালে ম্যানুয়াল অফ সারভেইং নামক সমীক্ষণ পুস্তিকা প্রকাশিত হয়। পুস্তিকার বৈজ্ঞানিক অংশ রাধানাথ শিকদারের লেখা। ব্যারোমিটারে সংযুক্ত ধাতব স্কেলের তাপজনিত প্রসারণ এবং পারদের নিজের প্রসারণ জনিত, পরিমাপের ত্রুটি যা আবহমান সংক্রান্ত পাঠ প্রভাবিত করে, সেই ত্রুটি বাতিল করার জন্য ইউরোপে ব্যবহৃত সূত্র, রাধানাথের অজানা ছিল। সুতরাং রাধানাথ তার বৈজ্ঞানিক অন্তর্দৃষ্টি ব্যবহার করে, ৩২°ফারেনহাইট (০°সেলসিয়াস) এ ব্যারোমিটার পাঠ/রিডিং কমানোর জন্য, নিজের সূত্র উদ্ভাবন করেন। সূত্রটি তিনি এশিয়াটিক সোসাইটি অব বেঙ্গল জার্নালে প্রকাশিত একটি গবেষণা পত্রে উপস্থাপন করেন। ১৮৫৭ থেকে ১৮৬২ অবধি তিনি আবহাওয়াবিজ্ঞান বিভাগের 'আবহবিদ্যা এবং পদার্থবিজ্ঞান কমিটিতে' সদস্য ছিলেন। রাধানাথ ১৮৬২ সালে চাকরি থেকে অবসর নিয়েছিলেন এবং পরে জেনারেল অ্যাসেমব্লিজ ইনস্টিটিউশন (বর্তমান স্কটিশ চার্চ কলেজে) গণিত শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ লাভ করেন। ১৮৫৪ সালে তিনি ও তার ডিরোজিয়ান বন্ধু প্যারীচাঁদ মিত্র "মাসিক পত্রিকা" নামক মহিলাদের শিক্ষাবিষয়ক পত্রিকাটি চালু করেন। তিনি প্রথাগত শৈলী ছেড়ে, একটি সহজ এবং বিশৃঙ্খলমুক্ত শৈলীতে লিখতেন। যাইহোক এই প্রতিভাবান উপেক্ষিত বিজ্ঞানীর মৃত্যু হয় ১৮৭০ সালে।

গ্রেট ট্রিকনোমেট্রিক সারভে টাওয়ার - সুকচর - উত্তর চব্বিশ পরগণা, GTS (গ্রেট ট্রিকনোমেট্রিক সারভে) সংক্রান্ত কার্যক্রমের ব্যাপারে ব্রিটিশ সংসদের বক্তব্য ছিল -

"শুধুমাত্র উপ-সহকারী নয়, কর্তব্যনিষ্ঠ, উদ্যোগী এবং অনলস পরিশ্রমী মানুষেরা, যারা জরিপ বিভাগের অন্তর্ভুক্ত, নাগরিক প্রতিষ্ঠানের এমন গঠন করেছেন, যা আর কোথাও দেখা যায় না। তাদের সাফল্যের অংশীদার, ভারতের শিক্ষা ব্যবস্থা। এঁদের মধ্যে দক্ষতার জন্য সবচেয়ে প্রসিদ্ধ হিসাবে, উল্লেখ করা যেতে পারে, বাবু রাধানাথ শিকদারের নাম, যিনি একজন ভারতীয়, যার গাণিতিক নিষ্কাশন, সর্বোচ্চ সাফল্য লাভ করেছে।"

২০০৪ সালের ২৭ জুন তারিখে ভারতের ডাক বিভাগ চেন্নাইয়ে ভারতের ত্রিকোণমিতিক জরিপের প্রতিষ্ঠার স্মরণে একটি ডাকটিকিট প্রকাশ করে, যাতে রাধানাথ শিকদার ও নইন সিং এর ছবি প্রদর্শিত হয়েছে। এহেন প্রথম বাঙালী স্বদেশী বিজ্ঞানি আজ বিস্মৃতির অতল গহ্বরে তলিয়ে গেছে।

মানুষ জর্জ এভারেস্টকে মনে রেখেছে, নিশ্চই মনে রাখার মতো জীবন, কিন্তু রাধনাথ শিকদার তাই বলে কম গুরুত্বপূর্ণ নয়। (সমাপ্ত)

(www.theoffnews.com GTS Minar George Everest Radhanath Sikdar)

Share To:

THE OFFNEWS

Post A Comment:

0 comments so far,add yours