সুজাতা দাস, লেখিকা ও সমাজকর্মী, কলকাতা:
আজকের সামাজিক অবস্থানের জন্য অনেকাংশেই আমরা পিতা মাতারাই দায়ী। যদি শিক্ষা ব্যবস্থা দেখি, সেই গুরু শিষ্যের সম্পর্ক কোথায় যেন হারিয়ে গেছে, বেশি না বিশ বা ত্রিশ বছর পিছলে দেখা যাবে এক অসাধারণ চিত্র।
যা ধরা আছে আমার মতো অনেকের মনে একটা সম্ভ্রম যা ছিল ভালোবাসা ও ভক্তির সমন্বয়ে গঠিত। আর শিক্ষকের ছিল সন্তানের স্নেহ আর শাসন, আর তাতেই তৈরী হতো রত্ন একেক জন।অভিভাবকেরাও শিক্ষককে গুরুর আসনেই রাখতেন, অসন্মান করার কথা কল্পনাতেই আনতেন না। তাই সন্তানেরাও বাবা মাকে ও গুরুর মতো শ্রদ্ধা করত শত কষ্টেও আগলে রাখতো।
আজও রত্ন তৈরী হয়, হয়তো অনেক বেশিই তৈরী হয় কিন্তু আন্তরিকতার পরিবর্তে তাদের মধ্যে যান্ত্রিকতা বেশি দেখা যায়। আজ শিক্ষক আর ছাত্রের সম্পর্কের মধুরতাও আর নেই, ছাত্রেরাও শ্রদ্ধাশীল নয় গুরুর প্রতি। আসলে ছোট থেকে অসম্মান করার অভ্যাসে অভ্যস্ত হওয়ার কারণে এিইকসময় বৃদ্ধ বাবা মায়ের আশ্রয় হয় বৃদ্ধাশ্রমে, কুড়ি বছর আগেও এই চিত্র দেখা যেত না। আসলে আমরাই সন্তানের আগে পিছে বিশাল ডিগ্রি শুনবো বলে যন্ত্রে পরিণত করি। মানুষ বানাতে গিয়ে রোবট বানাই ফলে মানবিক দিকগুলো সব নষ্ট হয়ে যায়। পরে মা বাবার প্রতিও সহানুভূতির অভাব ঘটে, তাই প্রাপ্তিটা হয় স্বাভাবিক ভাবেই বৃদ্ধাশ্রম।
আসলে ডিগ্রি বাড়ানোর চক্করে আর বাবা মায়ের (তুমি নিজেকে তৈরী করো দুনিয়া দেখার দরকার নেই, আন্তরিকতার প্রয়োজন নেই, কারো দিকে তাকানোর প্রয়োজন নেই, তোমাকে বড় হতে হবে) এই কথাগুলো শুনতে শুনতে মানুষ আর হয়ে ওঠা হয় না। একটা সময় যে বাবা মা তাকে তৈরী করতে জীবনের সব ত্যাগ করেছে তাদের ও ভুলে যায়। ভুলে যায় মনুষ্যত্ব।
আর এটাই যে আমাদের এখনকার সমাজ।
(www.theoffnews.com - less humanity study teacher student parents oldage home)
Post A Comment:
0 comments so far,add yours