দেবর্ষি মজুমদার, লেখক, বীরভূম:

সুদূর ইউক্রেনের কিয়েভ মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ে আঁটকে থাকা তিন ডাক্তারি পড়ুয়া নিয়ে মাথায় আকাশ ভেঙে পড়েছে পরিবারের মাথায়। তাদের ছেলেরা কেমন আছে। কি করেই বা বাড়ি ফিরবে এই চিন্তায় তাঁরা উদ্বিগ্ন। 

সিউড়ির সাজানো পল্লীর বাসিন্দা শাহরুখ সুলতান আহমেদ কিয়েভ মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের ষষ্ঠ বর্ষের ছাত্র। এবার মে মাসেই তার কোর্স সম্পূর্ণ হতো। কিন্তু তার আগেই রাশিয়া ইউক্রেন আক্রমণ করায় তার মতো অন‍্যান‍্যদের বাড়ি ফিরে আসা এখন বিশ বাঁও জলে।

একই অবস্থা মহ: সুজাউদ্দিনের ভাই মহ: মিজবাউদ্দিনের। ইউক্রেনের কিয়েভ মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের ষষ্ঠ বর্ষের ছাত্র সে। পনেরো সালে খড়গপুর আল আমিন মিশন থেকে পাশ করে ইউক্রেন মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হয় সে। সুজাউদ্দিন বলেন, তিন চার বিঘা জমি আছে। বাবা মহম্মদ সালাউদ্দিন চাষ আবাদ করেন। মা নাজিরা বিবি আশা কর্মী। আমরা দুই ভাই। বাড়ি নলহাটি থানার বারা দুই উত্তর রামপুর। শুক্রবার দুপুর এগারোটায় ফোন করি। তখন ওদের সকাল। ভাইয়ের সাথে ভিডিও কল হয়েছে। সব সময় ভারতীয় দূতাবাস সকলের সাথে নিয়মিত যোগাযোগ রাখছে। খাবার দাবার আছে। তবে বোম্বিং হচ্ছে। নেট ওয়ার্ক নাও থাকতে পারে। চিন্তার কারণ নেই। এয়ার ইণ্ডিয়া কোনো কারণে ল‍্যাণ্ডিং করতে পারেনি। কথা হচ্ছে পোলাণ্ড নিয়ে যাওয়া হতে পারে সড়ক পথে। তারপর ফ্লাইটে দেশে ফেরানো হবে। ছেলের সাথে ভিডিও কলে কথা বলে মা নাজিরা বিবি কেঁদে বুক ভাসাচ্ছেন।

কিয়েভে প্রায় চারশো ভারতীয় পড়ুয়া। পড়শু থেকেই বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ। অন্যদিকে, রামপুরহাট দুই ব্লকের এগ্রিকালচার বিভাগের এ‍্যাসিট‍্যান্ট এক্সটেনশন অফিসার মহ সিরাজউদ্দিনের ছেলে মিনাজউদ্দিন কিয়েভে আটকে। কিয়েভ মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের দ্বিতীয় বর্ষে পড়ে। বাড়ি রামপুরহাট দুই ব্লকের হাঁসন দুই পঞ্চায়েতের মাঝিরা।  মিনাজউদ্দিন রামপুরহাট উচ্চবিদ্যালয় থেকে উচ্চমাধ‍্যমিক পাশ করে গতবছর ইউক্রেনে মেডিক্যাল পড়তে যায়। এদের সবার পরীক্ষা মে মাস থেকে শুরু হতো। বিধানসভার ডেপুটি স্পিকার আশিস বন্দ‍্যোপাধ‍্যায় বলেন, পরিবারের পাশে মমতা বন্দ‍্যোপাধ‍্যায়ের সরকার সব সময় আছে। যে কোন অবস্থায় তাদের সাহায্যের জন‍্য সর্বতোভাবে প্রস্তুত।

(www.theoffnews.com - Ukraine crisis)

Share To:

THE OFFNEWS

Post A Comment:

0 comments so far,add yours