দেবর্ষি মজুমদার, লেখক, বীরভূম:
বিশ্বভারতী কর্মসমিতির অনুরোধ পেয়ে মঙ্গলবার থেকেই সঙ্গীতভবনে কাজে যোগ দিলেন অধ্যাপিকা শ্রুতি বন্দ্যোপাধ্যায়। স্বাভাবিকভাবে এই খবর জানাজানি হতেই শিক্ষক থেকে ছাত্র-ছাত্রী মহলে আনন্দের বন্যা বয়ে যায়।
কিন্তু বিভিন্ন মহলে একটি প্রশ্ন ইতিমধ্যে উঠতে করেছে, অধ্যাপিকা শ্রুতি বন্দ্যোপাধ্যায় যখন নির্দোষ, তাহলে কর্মসমিতি প্রথমেই তার আবেদনে কেন কর্ণপাত করেনি? আদালতের আদেশ এনে তবে কর্মসমিতির বিচার পাওয়া যাবে, এ কেমন বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্তৃপক্ষ? এর বিচার কে করবে?
উল্লেখ্য, অধ্যাপিকা শ্রুতি বন্দ্যোপাধ্যায়কে কাজে যোগ দিতে অনুরোধ করার আগে কতগুলো বিষয় খুব স্পষ্ট হয় তদন্তের মাধ্যমে। তাঁর বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ যে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত এবং কার্যত মিথ্যা তা প্রমাণিত হয় এবং তিনি নির্দোষ প্রমাণিত হন। শ্রুতি বন্দ্যোপাধ্যায়কে এই ন্যায় বিচার পেতে অবশ্যই তার আগে আদালতের দরজায় কড়া নাড়তে হয়। কলকাতা হাইকোর্টের বিচারক অমৃতা সিনহা বিশ্বভারতীর কর্মসমিতিকে নির্দেশ দেন অবিলম্বে অধ্যাপিকার আবেদনের শুনানি গ্রহণ করে আইনানুগ যথাযথ নির্দেশ দিতে হবে।
আদালতের আদেশের ভিত্তিতে কর্মসমিতি অধ্যাপিকা শ্রুতি বন্দ্যোপাধ্যায়র বক্তব্য গ্রহণ করে এবং তিন সদস্যের একটি কমিটি গঠন করে। কমিটির সদস্যরা তদন্তের মাধ্যমে খতিয়ে দেখেন ২৩.০৩.২০ থেকে ৩১.০৫.২০ পর্যন্ত অধ্যাপিকা শ্রুতি বন্দ্যোপাধ্যায় কলকাতা থেকে online কাজ করেছেন কি না।
গত ১০.১১.২১এর কর্মসমিতির সভায় ওই রিপোর্ট পেশ হয়। দেখা যায় শ্রুতি বন্দ্যোপাধ্যায় করোনার প্রথমপর্ব কালে কলকাতা থেকে কাজ করেছেন। এরপর কর্মসমিতি তার বিরুদ্ধে সব অভিযোগ তুলে নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিদিনের কাজে সক্রিয় অংশ নেওয়ার অনুরোধ করার সিদ্ধান্ত নেয়। এই কথা অধ্যাপিকাকে জানালে, তিনি আজ থেকে আবার সঙ্গীতভবনের কাজ শুরু করেন।
(www.theoffnews.com - Visva Bharati University)
Post A Comment:
0 comments so far,add yours