সুবীর পাল, এডিটর, দ্য অফনিউজ:
একটা প্রশ্ন মাথায় ঘুরপাক খাচ্ছে। আজ সকালে। বারবার।
প্রশ্নটা হল এরকম--
শৈশবে মায়ের স্তনবৃন্তে স্পর্শ করা, আবার যৌবনে প্রেমিকার স্তনবৃন্ত ছোঁয়া, অন্যদিকে পরিণত বয়সে স্ত্রীর স্তনবৃন্তে হাত দেওয়ার মধ্যে ফারাক কোথায়? যেখানে সবগুলি সম্পর্কই নারী কেন্দ্রিক। সেই স্তন। সেই তো একই পুরুষের হাত। তাহলে?
এই তাহলের ব্যাখ্যাটাই বড় সুন্দর। কারও কারও কাছে পবিত্রও। তবে বেশিটাই প্রাকৃতিক।
আচ্ছা এরকম যদি ভাবি, এক সদ্য মা হওয়া নারী তাঁর স্বপ্নের পুত্রসন্তানকে কোলে নিয়ে বিছানায় বসে আছেন। কি আদরই না করছেন তিনি বাছাধনকে। এদিকে সোনা মানিক এক অদ্ভুত অবুঝ প্রাকৃতিক চেতনে, কি পরম ভরসায় একটি কচি হাত দিয়ে মায়ের স্তনবৃন্ত স্পর্শ করছে। মায়ের বুকের দুধ খাবে বলে। একটু একটু খিদে পেয়েছে যে ক্ষুদে বেবির। দেখে যেন মনে হয়, এমন স্বর্গীয় পার্থিব অনুভবের জুড়ি মেলা ভার। এমন পবিত্র স্পর্শ অনুভূতির অভিঘাতে হয়তো সৃষ্টিকর্তারও মাথা কখনও নিচু হয়ে যায়।
ওই যে গো সবে কলেজ পাশ করেছে পাড়ার অতি-মড মেয়েটি। ফার্স্ট ইয়ারেই জুটে গিয়েছে এক সো স্মার্ট বয়ফ্রেন্ড। কলেজ শেষ হলে কি হবে, এখনও সমানে চলছে ক্রাশ ইভেন্ট। একদিন। সন্ধ্যে হয়ে গেছে। এলাকার একটি পার্কে পাশাপাশি বসে দু'জন। ধারেপাশটা বেশ নির্জন। বয়ফ্রেন্ড এই মওকাটারই অপেক্ষা করছিল বহুদিন। আর ধৈর্য ধরতে না পেরে সাহসী বয়ফ্রেন্ড মহাশয় আচমকা এক হাতে জড়িয়ে ধরে অনাঘ্রাতা প্রেমিকাকে। বিদ্যুতের গতিতে ট্রেন্ডি গাইয়ের অন্য হাতের আঙ্গুলগুলি ততক্ষণে তুলতুলে স্তনবৃন্তে জাঁকিয়ে বসেছে।
যুবতীর চাপা কন্ঠস্বর-- 'অ্যাই কি হচ্ছেটা কি? ছাড়ো না গো।'
গাই সাহেব কিছুটা অস্থির। তাঁর বচন, 'প্লিজ সোনা মোনা, আজ বাধা দিও না। কেউ জানতে পারবে না।'
'হঠাৎ কেউ এসে গেলে কি হবে বলোতো? সমাজে মুখ দেখাবো কি করে?' ক্ষুধার্ত বাঘের মুখে ভীতু হরিণীর মতো নয়া রাধিকা একথা জিজ্ঞেস করলে, এই প্রজন্মের ডেয়ার ডেভিল কানাইয়া তৎক্ষণাৎ আশ্বাস দিল, 'অত ভয় পেও না তো। প্রেমে যদি এইটুকু মজাটা আমরা নাই করলাম তাহলে ভালোবাসাটাই পানসে যাবে। আরে বাবা আমি তো পালিয়ে যাচ্ছি না তোমার জীবন থেকে।' তবু মেয়েটি সব অ্যালাউ করেও শেষে বলে উঠলো, 'হ্যাঁ গো তুমি আমাকে বিয়ে করবে তো?'
আসলে আধুনিকা নন্দিনী বিলক্ষণ জানে, তাঁর এই স্তনবৃন্ত মর্দনে শারীরিক উদ্দামতা ক্ষণিক প্রশ্রয় দিলেও মনটা কোথায় যেন নিজেকেই সমর্থন করে না সার্বিক ভাবে। সামাজিক মান্যতার যাত্রাপথ তো কত আলোকবর্ষ দূরের চিন্তন। মনটা সায় দিচ্ছে না কিছুতেই। তবে ওই একটাই সাত্বনা প্রাইজ প্রাপ্তি, আমরা অ্যাডাল্ট। মিঞা বিবি রাজি তো কেয়া করেগা কাজী। সমাজ! মাই ফুট।
বিসমিল্লাহর বিখ্যাত সানাইয়ের সুর সাউন্ড বক্সে এই কিছুক্ষণ হল সবে থেমেছে। বৌভাতের ধূমধাম পর্বও প্রায় শেষ। এদিকে নববধূ ফুলে সাজানো ফুলশয্যার পালঙ্কে বসে অধীর অপেক্ষা করছেন। যাক বাবা, অবশেষে প্রতীক্ষার অবসান। স্বামী বাবাজীবন চৌকাঠ অতিক্রম করে ঘরের দরজা লাগালো বলে। বাইরে থেকে শ্যালিকা বললেন, জিজু বেস্ট অফ লাক। দিদি রাতটা এনজয় করবি কিন্তু চুটিয়ে। ওদিকে ছোটবেলার বন্ধুটি ততক্ষণে বলে উঠল, বস্ বেড়াল কিন্তু প্রথম রাতেই মারতে হবে। বৌদি হাসতে হাসতে বললো, এবার আমার দায়িত্ব শেষ, ঠাকুরপোকে একটাই বলবো, চিরসুখী হও তোমরা দুজন।
দরজা বন্ধ হল যথারীতি। নবববূর শরীর সমুদ্রে ও মন নীলাকাশে এখন তো অজানা স্পন্দনের আয়লা ঝড় উঠেছে। বর এবার বৌয়ের হাতে নতুন সোনার আংটি পরিয়ে দিল। কিন্তু স্ত্রীর অন্দরমহলে সেই অদৃশ্য ঝড় আর থামলো কই? বহু যুগ যুগান্তর থেকে চলে আসা কপিবুক কথাবার্তা শুরু হলো। দুজনের মধ্যে। তারপর। ওড়নার লেটেস্ট ফ্যাশনের ঘোমটা খসে পরলো। উভয়ের জবরজং পোশাকও ধীরে ধীরে শয্যার এক পাশে পড়ে রইলো। বিছানায় ছিটিয়ে থাকা গোলাপ পাপড়িগুলো অবাধ্যতার শাসনে পিষে যেতে শুরু করেছে। পাল্লা দিয়ে কখন যে আচমকা শুরু হয়ে গেছে ফুলশয্যা অভিসারিনীর স্তনবৃন্ত ছুঁয়ে দেখার পালা। বরের তরফে। বৌয়ের মিঠি লজ্জায়। রাত যত গড়িয়েছে ইপ্সিত নানা প্রাপ্তিগুলোও ততই প্রাণিত হয়েছে। একসময় ঝড় কোথায়। রয়ে গেছে একরাশ ভরসার স্তব্ধতা। একসঙ্গে জীবন চলার দাবিগুলো ক্রমেই যেন অক্টোপাসের মতো আঁকড়ে ধরেছে বিছানার মাঝখানে একটু ভিজে যাওয়া চাদরটাকে।
আসলে ফুলশয্যার নামে সামাজিক যৌন-খেলাঘরে উভয়ের সম্মতিতে এই স্তনবৃন্ত স্পর্শ যে মাথা উঁচুর জনমানসের শীলমোহর। যার স্বীকৃতি সমাজের সর্বস্তরের। যার প্রবৃত্তি একান্ত দুটি প্রাণময় নিজস্বতার। যার সম্মতি সদা মান্য প্রকৃতিরও।
আহা কি বিচিত্র স্তনবৃন্ত স্পর্শ। একই অঙ্গে এতো রূপ দেখিনি তো আগে।
(www.theoffnews.com - women breast touching)
Post A Comment:
0 comments so far,add yours