দেবিকা ভট্টাচার্য, লেখিকা ও লেকচারার, চন্দননগর, হুগলি:
আজ যেখানে নিয়ে যাব, তার সঙ্গে আমার প্রাণের বন্ধন। ছোট্টবেলা থেকে আষ্টেপৃষ্টে বেঁধে রেখেছে আমাকে, অম্বিকা কালনার ভগবানদাস বাবাজীর আশ্রম, নামব্রহ্ম বাড়ি। আমার জীবনের প্রথম দশ-বারো বছর ওই মন্দিরকে ঘিরে আবর্তিত হয়েছে। পরবর্তী পর্যায়ে প্রতিদিন, নিয়মমাফিক যাওয়া, হয়তো হয়ে ওঠেনি; কিন্তু সে মন্দিরের গুরুত্ব আমার কাছে অপরিসীম।
নামব্রহ্ম বাড়ি লক্ষ্মণ পাড়ায় আমাদের বাড়ির একদম কাছে। আমি যেহেতু যৌথ পরিবারের জ্যেষ্ঠা, তাই ঠাকুমার দাবি সবথেকে বেশি ছিল আমার উপর, আমারও তাই। ঠাকুমা যখনই যেতেন মন্দিরে, আমি তাঁর সঙ্গী। বিজয়াদশমীর পর থেকে উত্থান একাদশী (জগদ্ধাত্রী পুজোর দশমীর পরদিন) পর্যন্ত ভোরবেলা মঙ্গল আরতির মাখন-মিছরি প্রসাদ পেতে হবেই, সন্ধেবেলা হাতে বানানো প্রদীপ, হাতে বানানো সলতে নিয়ে সেখানে জ্বেলে আসতে হবেই, বারো মাস তিরিশ দিন সন্ধ্যায় ভগবানদাস বাবার সমাধিতে নাম কীর্তনের সঙ্গে পরিক্রমা করতে হবেই। আর? লক্ষ্মণ যখন রাম গান গাইবে বসে বসে শুনতে হবেই। গান শেষে লক্ষ্মণ হাতের চামরখানা মাথায় ঠেকাবে, তখন প্রণাম সেরে ছুটি। ঠাকুমা মাথাটাকে ধরে তাঁর পায়ের দিকে হেলিয়ে বলতেন, 'একটু বুলিয়ে দাও তো বাবা! ভুগে ভুগে মরছে!' ঠাকুমার লক্ষ্মণকে 'লক্ষ্মণ'ই বললাম, আগে কোনও সম্বোধনে ডাকিনি যে! কোনও কোনও দিন ঠাকুমা আমাকে একলা ছেড়ে দিতেন, নিজের সময় না হলে বলতেন, প্রদীপ দিয়ে প্রণাম করে, একটু রামগান শুনে আসতে।(অবাক হওয়ার কিছু নেই, সে সময় সাত-আট বছরের মেয়েকে পাড়ায় একলা ছাড়া, ভয়ের ব্যাপার ছিল না। পাড়ার মেয়ে—বাড়ির মেয়ে; সকলের আদরের।) মন্দিরে বসে রামগান শুনতে শুনতে হঠাৎ এত কান্না পেত, থাকতে পারতাম না। গানের ঠিক কোন অংশটা শুনে কান্নাটা পেত মনে পড়ে না, পাশে ঠাকুমা নেই, হাতে তাঁর আঁচলখানা নেই! বাড়ি চলে আসতাম। জিজ্ঞেস করলে বলতাম না কিছু। এসব বলছি এ কারণে যে, মন্দিরের সঙ্গে তোমরা একাত্ম হবে। মন্দিরে বৈশাখ মাসে 'বৈকালি' (বিকেল বেলায়, একটু গরমের ফল-মিষ্টি নিবেদন) হয়, কার্তিকে মঙ্গল আরতি (ভোর পাঁচটা নাগাদ) হয়, রামগান হয়, বিকেলে যেকোনও ধর্মগ্রন্থ পাঠ যে হয়, সেসব তো জানতে হবে! বৈকালির প্রসাদ আনতে কখনও যেতাম না, বাড়িতে আমাদের নারায়ণ সেবা করতেন দাদু, সেসবই নিতাম। আর আমাদের বাড়িতে মঙ্গল আরতি খুব ভোরে হয়ে যেত, ঠাকুমা শেষরাতে উঠে ধোয়া মোছার শেষে, ঠাকুরের জোগাড় করে দাদুকে দিয়ে আরতি করিয়ে নিতেন। তারপরই ছুট্! ছোটা ছাড়া উপায় কী? ঘণ্টার আওয়াজ শুরু হয়ে যাবে যে! শুরু হয়ে গেলে শেষ হতে কতক্ষণ! তারপর আবার শ্যামচাঁদের বাড়ি যেতে হবে। সেই মন্দিরেও যাব তোমাদের নিয়ে। আগে ভগবানদাসবাবাকে দেখে নিই।
ভগবানদাস বাবাজীর বাড়ি, নামব্রহ্ম বাড়ি নামে পরিচিত। তিনি মনে করতেন 'নাম' - অর্থাৎ ষোলো নাম, বত্রিশ অক্ষরই (হরেকৃষ্ণ.. পুরোটা গুনে দেখো) হলো ব্রহ্ম। তিনি এই নাম জপেই সিদ্ধি লাভ করেছেন। উড়িষ্যাবাসী ভক্ত তিনি, বৃন্দাবনের বটকৃষ্ণবাবার শিষ্য, কালনার মহাপ্রভুর টানে এসেছিলেন। কালনায় গৌর রয়েছেন, রয়েছেন মা গঙ্গা আর কী চাই? সঙ্গে রয়েছে নাম-জপের মালা। বিগ্রহও নেই। ভজন করতেন লক্ষ্মণপাড়ায়—বাজার অভিমুখে যে সরু গলিটি উঠে গেছে (উঠে গেছে কারণ রাস্তা থেকে সামান্য উঁচু সে জায়গা), খানিকটা গিয়ে দুটি ছোট্ট সিঁড়ি দিয়ে নেমে, ডানপাশে তাঁর ছোট্ট ভজন কুটিরে। এখন সেখানে 'রামকৃষ্ণ আশ্রম' তৈরি হয়েছে। রামকৃষ্ণ আশ্রম কিন্তু ছোটো নয়। ভজন কুটিরের গা ঘেঁষে দেখেছি এক পুরোনো দোতলা বাড়ি, সেই বাড়ি ভেঙে দিয়ে বেশ সুন্দর করে আশ্রমটি তৈরি হয়েছে। এখন বলতে একদম নতুন, বছরখানেক হবে হয়ত। আর নামব্রহ্ম বাড়ি ঠিক তার বিপরীতে, বাঁ হাতে। সেটি আসলে ভগবানদাসের সমাধিস্থল। এতদিন অনাড়ম্বর, অতি সাধারণ এক বাড়ি ছিল। এখন সংস্কার চলছে। বুঝতে পারছি, সংস্কারের পর আমার চিরদিনের চেনা সেই নামব্রহ্ম বাড়ির আভাসও আর পাব না। তবু দিনের বদলে, যুগের সঙ্গে পা মেলাতে, সব দিকে যখন এতো আলো, এতো জৌলুস, সেখানে এই বাড়ি উপেক্ষিত কেন হবে, যখন আলাদা ট্রাষ্ট আছে। এতদিন সংস্কার হচ্ছিল না, সেটাই আশ্চর্যের বিষয় ছিল হয়তো। তোমরা আমার চোখ দিয়ে পুরোনোটাই দেখতে পাবে। নতুনটা তো হয়েই ওঠেনি সম্পূর্ণ। চারটি পাথর, টালি, লোহা-লক্কর দেখার চেয়ে চলো চলে যাই, সেই অনাড়ম্বর- বৃহৎ-সম্পূর্ণের কাছে।
মন্দিরে ঢোকার জন্য ছোট্ট কালো রঙের কাঠের দু'পাল্লার দরজা, জোরে ধাক্কা দিলে ভেঙে যেতে পারে। সাবধানে ঢুকতে হবে, চৌকাঠে নইলে হোঁচট খাবে। ঢুকেই বাঁদিকে বেশ খানিকটা জায়গা টিনের চাল দেওয়া। উনুন আছে বেশ বড়। উত্থান একাদশী, আরও সব বিশেষ দিনে ভোগ রান্নার ব্যবস্থা। ডানদিকে টিনের চালের সরু নীচু বারান্দাখানা টপকে বড়ো চৌকো দালান, কড়িবরগার ছাদ, মোটা মোটা থাম দেওয়া। উপর দিকে দেওয়ালে, থামে কী সুন্দর ছবি টাঙানো। বেশির ভাগ কৃষ্ণের বাল্যলীলার। মা যশোদা, এক হাতে কৃষ্ণের কান ধরে আছেন আর একহাতের তর্জনী তুলে আছেন-এই ছবিটায় ঘণ্টার পর ঘণ্টা তাকিয়ে থাকা যায়। এই দালানটা নাটমন্দির, এখানেই বিকেলে নিধুবন দাদু পাঠ করতেন। সন্ধ্যার সময় কীর্তন অথবা রাম গান। দালানের মাঝখান দিয়ে উত্তরদিকে বিগ্রহের মন্দির। দালান আর মন্দিরের মাঝখানে বেশ খানিকটা ফাঁক। বেশ নীচু। তারপর বারান্দা, তারপর ঘর। সেই ঘরে বিগ্রহ, এই আর কী! কী সুন্দর মালা বিগ্রহের গলায়। সকাল ন'টা দশটায় শুধু পাড়া কেন, ভিন পাড়ার শাশুড়ি কি বৌমা (বেশিরভাগ শাশুড়ি) এসে সুতোর দু'দিকে দুখানা সূঁচ লাগিয়ে রঙ মিলিয়ে মিলিয়ে মালা গাঁথত সরু বারান্দা অথবা দালানে বসে। রঙ বেরঙের ফুল তারাই আনত। আমিও কতদিন গেছি, প্রাইমারি স্কুল তো ছিল সকালে! আমাদের নারায়ণ সেবার পর ফুল থাকলে কখনও কখনও ফুল দিয়ে আসতে গিয়ে বসে বসে মালা গাঁথা দেখতাম।পিসিমণি ওইমালা গাঁথায় যোগ দিত। ঠাকুমাও মাঝে মধ্যে - "মালায় দু'টো ফুল গাঁথব যে, সময় আর হয় না, সংসার বেঁধে নিয়ে যাবো তো, ঝিল এখনো খালি হয়নি" - বলে দৌড় লাগাত, পিছু পিছু আমি। ঝুলনের দিনগুলোয় বিকেলে মালা পরানো হতো।
মন্দির একটু উঁচুতে, বললাম তো; সেই একই উচ্চতায় ছিল মন্দিরের পিছনের অংশে ভগবানদাস বাবার সমাধি, পূর্ব মুখী। সমাধির ঘরে তাঁর ধ্যানরত মূর্তি, একখানি একানে (single) খাট। খাটের নীচে তাঁর ব্যবহৃত খড়ম জোড়া রাখা। ঘরটির পিছনের দিকে দু'তিন খানা ছোট্ট ছোট্ট ঘর। একটাতে সেবায়েত নিধুবন দাদু, একটাতে 'বীনা' নামে এক বৃদ্ধা থাকতেন। শ্যামসুন্দর বাড়ির (সূর্যদাস পণ্ডিতের বাড়ি) এখন যিনি সেবায়েত, তাঁর দাদুর ভাই, নিধুবন দাদু ত্যাগী ভক্ত, তাই তাঁর উপর ছিল সমাধি সেবার ভার। তিনি যে কত স্নেহশীল ছিলেন, তাঁর সান্নিধ্যে যাঁরা এসেছেন তারাই জানেন। তাঁর দেহরক্ষার পর, ব্রাহ্মণ ভক্ত, যখন যাঁর হাতে সেবা গ্রহণের ইচ্ছা হয়েছে সিদ্ধ বাবার, তখন তিনি নিযুক্ত হয়েছেন।
এখানে বলে রাখি, ভগবানদাস বাবার একশিষ্য রয়েছেন বৃন্দাবনের কালিদহে। তিনি জগদীশ বাবা। জগদীশ বাবার আশ্রমে অম্বিকা কালনার তীর্থ যাত্রীর আলাদা অভ্যর্থনা। কেউ যদি যাও তো, আমার কথা মিলিয়ে নিও।
শ্রীরামকৃষ্ণ পরম হংসদেব, ১৮৭০ সালে মথুরবাবুর সঙ্গে বজরা করে এই আশ্রমে এসেছিলেন ভগবান দাস বাবাজীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে। এসেছিলেন শ্রী বিজয় কৃষ্ণ গোস্বামী। তাঁদের পদধূলিতে ধন্য হয়েছে আমাদের অম্বিকা কালনা।
ভগবানদাসবাবা প্রতিদিন যেতেন গঙ্গাস্নানে। বৃদ্ধ বয়সে অসমর্থ হয়ে মা গঙ্গাকে বলেছিলেন, তিনি মনে হয় আর মায়ের কাছে আসতে পারবেন না।গঙ্গাস্নান না করে তিনি কিভাবে দিন যাপন করবেন!মা গঙ্গা পতিতপাবনী। তিনিও চান এমন শুদ্ধ ভক্তের স্পর্শ। ভগবানদাসের কাতর হৃদয়ের ব্যাকুলতা জানতে পেরে মা গঙ্গা বলেছিলেন, "আমি তোমার কুয়োয় অধিষ্ঠান করব। তুমি সেখানে স্নান-আহ্নিক সেরো। প্রধান ধারার জোয়ার ভাটার সঙ্গে মিলিয়ে দেখলেই বুঝতে পারবে আমি সেখানে আছি।" সত্যি সত্যি তা প্রত্যক্ষ করা যায়। নাট মন্দিরের পূর্ব দিকে সিঁড়ি দিয়ে নেমে গেছে কুয়ো, সেই কুয়োতে মা গঙ্গার অধিষ্ঠান। গঙ্গার জল বাড়লে সিঁড়ি দিয়ে জল উঠে আসে একদম কাছে।
আরও একটা ঘটনার কথা রয়েছে।
বর্ধমান মহারাজা প্রতিদিন আসতেন তাঁকে দর্শন করতে। একদিন তিনি ধ্যানে রয়েছেন। এমন সময় এসেছেন মহারাজ। তখনই হঠাৎ অপ্রত্যাশিতভাবে কোথা থেকে কী ঘটে গেল, হাতের মালাটি মাটিতে রেখে ভগবানদাসজি চিৎকার করে উঠলেন, ‘ওরে, মার্ মার্ ওকে, তাড়িয়ে দে, তাড়িয়ে দে।’
দর্শনার্থী মহারাজা তখন ভজনকুটিরের সামনে দাঁড়িয়ে। একথা শুনে বিস্মিত ও বিষণ্ণ হয়ে পড়লেন তিনি। ভাবলেন, তিনি বিষয়ী মানুষ বলেই তাঁর সংস্পর্শ এড়াতে সিদ্ধবাবার এই আচরণ।
এরপর হঠাৎ একেবারেই নীরব হয়ে গেলেন বাবাজি। নিস্পন্দ দেহে আগের মতোই চোখদুটি হয়ে রইল অর্ধনিমীলিত। বাহ্যজ্ঞান বিরহিত বৈষ্ণব মহাপুরুষের দিকে অপলক দৃষ্টিতে তাকিয়ে রইলেন বর্ধমানের মহারাজা। ভাবলেন, বাবাজির সম্বিত ফিরে এলেই জানতে চাইবেন তাঁর প্রতি আকস্মিক ক্রোধ প্রকাশের কারণ, তাঁর অপরাধই বা কী?
খানিকটা সময় কেটে যাওয়ার পর বাহ্যজ্ঞান ফিরে এলে বাবাজি মালাগাছটি কুড়িয়ে নিয়ে সামনের দিকে তাকালেন। দেখলেন, তাঁরই পরিচিত বিশিষ্ট অতিথি দাঁড়িয়ে। অত্যন্ত ব্যস্ত হয়ে জানতে চাইলেন ‘কখন আসা হয়েছে বাবা? ঠাকুরজি আনন্দে রেখেছেন তো আপনাকে?'
মহারাজ আরো বিস্মিত হলেন, কিছুক্ষণ আগে তাড়িয়ে দিয়ে এখন এত সমাদর!
এবার মহারাজ জানতে চাইলেন- 'বাবা, একটু আগে আমি দর্শনে আসামাত্র আমাকে তাড়িয়ে দিচ্ছিলেন, আমার কী অপরাধ?' বাবাজি আরও অবাক হয়ে বললেন - 'বাবা, অভ্যাগত অতিথিকে কটু কথা বললে যে শ্রীভগবানকেই অসম্মান করা হয়। আপনাকে ওসব কথা কখন বললাম আমি!'
মহারাজের কাছে সব শুনে মধুমাখা সহানুভূতি ভরা কণ্ঠে ভগবানদাসজি বললেন, "না বাবা, আপনি এতটুকুও মনে দুঃখ করবেন না। আপনাকে উদ্দেশ্য করে ওসব কথা বলিনি আমি। আপনি যে কখন এসেছেন তাও এই স্থূল চোখে দেখিনি। সেইসময় দেখছিলাম শ্রীবৃন্দাবনে গোবিন্দমন্দিরের তুলসীমঞ্চে উঠে একটা ছাগল তুলসীপাতা খাচ্ছিল। প্রভুর সেবায় বিঘ্ন হবে ভেবে তখন তাড়িয়ে দিচ্ছিলাম ওটাকে"। সঙ্গে সঙ্গেই কি যেন একটা ভেবে নিলেন মহারাজ। পকেট ঘড়িটা বের করে দেখে নিলেন সময়টা। এরপর খানিক সময় ধরে নানান কথা বললেন বাবাজির সঙ্গে। পরে প্রণাম সেরে বিদায় নিলেন আশ্রম থেকে।
এবার বর্ধমানের মহারাজা ভাবলেন, বৃন্দাবনে এই সময় গোবিন্দ মন্দিরে এমন একটা ঘটনা ঘটেছে কিনা, সেটা জানা দরকার। আর দেরি করলেন না। বৃন্দাবনে তাঁর এক ঘনিষ্ঠ বন্ধুর কাছে তার পাঠিয়ে জানলেন, মহারাজার স্মরণে রাখা সময়ে সত্যি সত্যিই গোবিন্দ মন্দিরে তুলসীমঞ্চে ছাগল উঠে তুলসী গাছটি খাচ্ছিল। কালনা নিবাসী ভগবানদাস বাবাজি সেইসময় কোথা থেকে হঠাৎ ছুটে এলেন মন্দিরঅঙ্গনে। লাঠি হাতে চিৎকার করে তাড়িয়ে দিলেন ছাগলটিকে।
বিস্ময়কর এই অলৌকিক ঘটনার কথা জেনে বর্ধমানের মহারাজার মতো বিস্ময়ের আর সীমা পরিসীমা রইল না স্থানীয়দেরও। বুঝতে কারও বাকি রইল না, শক্তিধর এই মহাপুরুষ ভজনাবেশের মধ্য দিয়ে স্থূলদেহেই গিয়েছিলেন শ্রীধাম বৃন্দাবনে।
আগেই বলেছি ভগবান দাস বাবার কোনও সেবিত বিগ্রহ ছিল না। তিনি 'নাম' সিদ্ধ, জপ সিদ্ধ। মহাপ্রভুর প্রসাদ পেয়ে এসেছেন আজীবন। আজও মহাপ্রভুর একটি পারস (প্রসাদ) তাঁর জন্য আনা হয়। আর যে বিগ্রহ এখন মন্দিরে রয়েছে, তা পরবর্তী কালের কোনও সেবায়েতের সেবিত বিগ্রহ।
উত্থান একাদশীতে সারারাত ব্যাপী হরিবাসর হয়। পরেরদিন মালসা ভোগ।
পুরোনো মন্দিরের ছবি কিছু নেই, তাই দেখাতে পারলাম না। সিদ্ধ বাবার ছবি এবং যদি সম্ভব হয় আরও কিছু ছবি দিয়ে, প্রণাম সেরে চলে যাব শ্যামচাঁদের মন্দিরে, কিন্তু আজ আর নয়। (ক্রমশঃ)
(ছবি সৌজন্যে প্রতিবেদক স্বয়ং)
(www.theoffnews.com - Ambika Kalna)
Post A Comment:
0 comments so far,add yours