দেবিকা ভট্টাচার্য, লেখিকা ও লেকচারার, চন্দননগর, হুগলি:

আজ চলে এসেছি মা'জীর বাড়ি অর্থাৎ আমাদের শ্যামচাঁদের বাড়ি।

বাড়ির ইতিহাস বলার আগে আমি আমার আন্তরিক শ্রদ্ধা এবং কৃতজ্ঞতা জানাবো, সংগীতাচার্য শ্রী গুরুপ্রসাদ মিশ্র মহাশয়কে।

'মা'জীর বাড়ি' নাম কেন হলো, শ্যামচাঁদ যে রাজমাতার জামাই এসব তথ্য অনেকেই কম বেশি জানেন। কিন্তু এটুকুতে আমার মন ভরছিল না। মা'জীর বাড়ির সঙ্গে আমাদের পরিচয় অনেক দিনের হলেও এতদিনে মনে প্রশ্ন জাগল কেন ওই বাড়ির মানুষজনের পদবী 'ঠাকুর'? এরা কিভাবে সেবায়েত হলেন? যাঁরা বলতে পারতেন, আমার দাদু বা ঠাকুমা কেউই আজ আর নেই। বাবার বয়স হয়েছে, কয়েকদিন ধরে শরীর খারাপ জানা সত্ত্বেও দেখে আসা সম্ভব হচ্ছে না, এসব নিয়ে প্রশ্ন করতে সংকোচ হচ্ছিল। কাকাকে মাত্র একবার সেকথা জানিয়েছিলাম, উনি যে ব্যাপারটাকে এত গুরুত্ব দেবেন, সত্যি ভাবতে পারিনি। উনি শিল্পী মানুষ। প্রকৃত অর্থে শিল্পী বুঝি এমনই উদার হন, সকলের টুকরো টুকরো ইচ্ছের মূল্য দেন। ওনার সুপারিশে খোদ ঠাকুরবাড়ির মালিকের কাছ থেকে উত্তরাধিকার সূত্রে দেবোত্তর সম্পত্তি প্রাপ্তির ইতিহাস জানতে পারলাম। ছিন্ন সূত্রটি যুক্ত করতে পারলাম। রাজমাতা, মাইজী, ঠাকুর পরিবারের যোগসূত্রটির গল্প এবার শুরু করব।

এখানে আগে বলে নেব ইতিহাস। পরে বলব আমার চোখে দেখা মা'জীর বাড়ির গল্প। এখানে ব্রজকিশোরী দেবীকে আমি রাজমাতা বলব ঠিকই কিন্তু তিনি চিত্রসেন রায়ের মাতা। কারণ বর্ধমান রাজ অন্তঃপুরের ইতিহাস থেকে কীর্তিচাঁদের পিতা কৃষ্ণরাম রায়ের কন্যা সত্যবতী ছাড়া অন্য অন্তঃপুরিকার নাম মেলে না। আর ব্রজকিশোরী দেবী খুবই জনপ্রিয় এবং কালনার মন্দির প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য ব্যক্তিত্ব যাঁর নামের সঙ্গে সাল তামামি পর্যালোচনা করলে কীর্তিচাঁদের মহিষী হিসেবে গণ্য করা বেশি যুক্তিযুক্ত হবে। এই ব্রজ কিশোরী দেবী চলেছেন সমারোহের সঙ্গে পুণ্য সঞ্চয়ার্থে গঙ্গাস্নানে। হঠাৎ গঙ্গাতীরে এক স্ত্রীলোককে উদাসীন অবস্থায় বসে থাকতে দেখে নিতান্তই করুণা এবং কৌতূহল বশে রাজমাতা তাঁর সহচরীকে দিয়ে ডেকে পাঠালেন এবং প্রশ্ন করে জানতে পারলেন—স্ত্রীলোকটি মিথিলা থেকে, তাঁর একমাত্র সন্তান বাল্যবিধবা কন্যা রাধারাণী এবং তাঁর পুত্র শ্যামচাঁদকে (একরত্তি কৃষ্ণ মূর্তি) নিয়ে মানসিক শান্তির আশায় তীর্থ দর্শনে বেরিয়েছেন। অবশেষে চৈতন্যদেবের লীলাভূমি অম্বিকা কালনায় এসে পৌঁছেছেন। তিনি সম্ভ্রান্ত ঘরের গৃহবধূ এবং ব্রাহ্মণ কন্যা। তাঁর পদবী ওঝা। তৎকালীন প্রথা মতো একঘর মৈথিলি ব্রাহ্মণকে নিজ রাজত্বে বসতি স্থাপনার্থে রাজমহিষী ওঝানিকে সখীত্বে বরণ করে রক্ষণাবেক্ষণের ভার গ্রহণ করলেন এবং সখীত্বের বন্ধন দৃঢ় করার জন্য রাজমাতার কন্যা রাধারাণীর (একরত্তি রাধা মূর্তি) সঙ্গে সখীর শ্যামচাঁদের বিবাহ দিলেন। সেই সূত্রে বর্ধমান মহারাজ প্রতিষ্ঠিত লালজী মহারাজ হলেন শ্যামচাঁদের শ্বশুরমশায়। সেই সম্পর্কের জন্য আজও শ্যামচাঁদ রাস পূর্ণিমা এবং দোল পূর্ণিমায়  শ্বশুর বাড়ি, রাজবাড়িতে নিমন্ত্রিত হন এবং নিমন্ত্রণ রক্ষা করেন।

শ্যামচাঁদের মন্দিরের মঙ্গলচণ্ডীর আসনের কাছে,  পিতলের তৈরি এক আঙুল মাপের রাধারাণী এবং দেড় আঙুল মাপের যে শ্যামচাঁদের বিগ্রহ রয়েছে, সেই বিগ্রহ পুরোনো বিগ্রহ, এমন কথা শোনা যায়। 

শ্যামচাঁদ মন্দিরের উত্তর-পূর্ব কোণে অবস্থিত পঞ্চরত্ন অর্থাৎ পাঁচচূড়া মন্দিরে ওই বিগ্রহদ্বয়ের পূজা হতো। একদিন মাইজীর কন্যা বিগ্রহ সাজাতে সাজাতে বলে যে এমন ছোটো বিগ্রহ, কাপড়-জামা, সাজগোজে ঢাকা পড়ে যায়, সাজিয়ে মন ভরে না। সেই কথা শুনে মাইজী তার সখীকে একথা বলেন এবং রাজা একথা শুনে বৃন্দাবন থেকে কষ্টিপাথরের শ্যাম এর মূর্তি এবং মানানসই রাধা মূর্তি আনিয়ে দেন। মাইজী শুধু চেয়েছিলেন শ্যাম-এর রূপ যেন মনোলোভা হয়। সত্যিই মা'জীর বাড়ির শ্যামচাঁদ মনোহরণ।

এবার প্রয়োজন বড় মন্দিরের। তৈরি হলো পঞ্চরত্ন মন্দিরের দক্ষিণ-পশ্চিম কোণে বাংলার নিজস্ব বৈশিষ্ট্যের আটচালা আকারের বড় মন্দির। পঞ্চরত্ন মন্দির কবে নির্মিত হয়েছিল উল্লেখ না থাকলেও মন্দির চত্বরে বাইরের দিকের অংশটি ১১৬১ সনে তৈরি বলে উল্লেখ আছে। এর সমসাময়িক হলো দোল মঞ্চ, শিবমন্দির। মন্দিরগুলির গায়ে টেরাকোটার কাজ থাকলেও রয়েছে সংস্কারের অভাবের চিহ্ন।

মাইজীর বিগ্রহ স্থাপন, মন্দির নির্মাণ হলো, শ্যামচাঁদের ব্যয় নির্বাহের জন্য কিছু সম্পত্তি দেওয়া হলো। এবার চিন্তা— ধারাবাহিক ভাবে শ্যামচাঁদের সেবার ভার কাকে দেন? অনেক ভেবে তিনি দত্তক নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিলেন এবং  সুযোগ্য, ব্রাহ্মণের খোঁজ করতে করতে কালনার পাশের গ্রাম একচক্রাতে যুগল কিশোর পাণ্ডে বা পাঁড়ে নামে এক মৈথিলি সৎ ব্রাহ্মণের সন্ধান পেলেন। এই পাঁড়েজীকে দত্তক নিয়ে শ্যামচাঁদের সেবায়েত নিযুক্ত করলেন। সম্পত্তির উপর অধিকার রইল বিগ্রহ শ্যামচাঁদের। পাঁড়েজী নিষ্ঠাভরে দায়িত্ব পালন করতেন, বৃদ্ধ বয়সে ভার দিলেন তাঁর পুত্র বদন পাঁড়ের উপর। কিন্তু বদন পাঁড়ে অপুত্রক অবস্থায় মারা গেলে পুত্র বধূ সর্বানী দেবী শ্বশুরের আবার বিবাহের ব্যবস্থা করেন। এই বিবাহে পাঁড়েজী এক কন্যা সন্তান লাভ করেন। পরবর্তী কালে এই কন্যা পুত্র লাভ করেন যার নাম ঈশ্বর চন্দ্র ঝা (ওঝা)। সর্বানী দেবী ঈশ্বর চন্দ্রের স্ত্রী মতিদেবীকে সেবায়েত নিযুক্ত করেন। কিন্তু মতিদেবী একটি কন্যা সন্তান এবং স্বামীকে রেখে দেহ রক্ষা করেন। স্ত্রীর অবর্তমানে ঈশ্বর চন্দ্র সেবায়েত হন এবং একমাত্র কন্যা গিরিজা সুন্দরীর বিবাহ দেন ডায়মণ্ড হারবারের পদ্মপুকুর গ্রামের বরদাকান্ত ঠাকুরের সঙ্গে। পিতার মৃত্যুর পর সেবায়েত হন গিরিজা সুন্দরী। কিন্তু তিনিও অল্প বয়সে মারা যান। সেবায়েত নিযুক্ত হন বরদাকান্ত। তিনি বংশ রক্ষার্থে দ্বিতীয়বার বিবাহ করেন। স্ত্রীর নাম দামিনী দেবী। বর্তমানে তাঁর বংশধরেরা বসবাস করছেন। কিন্তু যেহেতু কীর্তিচাঁদ তাঁর মায়ের সখী ওঝানিকে 'মাইজী' সম্বোধন করতেন ওই বাড়ি 'মা'জীর বাড়ি' নামেই খ্যাত হয়ে রয়েছে।

এবার আসি আমার দেখা মা'জীর বাড়ির গল্পে। এ বাড়িও আমাদের লক্ষ্মণপাড়ার বাড়ির খুবই কাছে।  ভগবান দাস বাবার বাড়ি বাঁহাতে আর মা'জীর বাড়ি ডান হাতে। ছোটোবেলায় মা'জীর বাড়ির রথ ছাড়া অন্য রথ চোখে দেখিনি। আর ছোটো থেকে বিয়ের বছরের সোজা রথ পর্যন্ত একটিবার বাদ দিয়ে প্রতিবার এই রথই টেনেছি। একবার রথে পুরী যাওয়ার সৌভাগ্য হয়েছিল আর বিয়েটা উল্টো রথের দিন হয়েছিল বলে সোজা রথ টানতে পারলেও উল্টো রথের রশি ধরা হয়নি। শ্যামচাঁদের তাতে কী বা যায় আসে! শ্যামচাঁদের রথের পুতুল গুলো ছিল ভারি সুন্দর। মেছুনি মাছ কাটছে, মা ছোট্ট শিশুকে কোলে শুইয়ে বাবু হয়ে বসে আছে, এমন সব বড় বড় পুতুল; সব কাঠের, সব সুন্দর রঙ করা। রথ টানা হয়ে গেলেই শ্যামচাঁদের আরতি, ভোগ; তারপর সব চলে যেত মন্দিরে। আমরা রথে উঠে খেলা করতাম। আর রথতলায়? সময় পেলেই খেলা, লুকোচুরি, ছোঁয়াছুঁয়ি। রথ তলায় ছিল এক আঁশ ফলের গাছ, ছোটো ছোটো ফল পড়ে থাকত, কুড়িয়ে খাওয়াও চাই, বাড়ি এসে ঠাকুমার কানে  সেকথা তোলাও চাই, বকুনি খাব জেনেও। খেলতে খেলতে কখনও কখনও চলে যেতাম মা'জীর বাড়ির ভেতর। রথতলার পাশেই তো বাড়ি! রথতলার দিকটায় সেবায়েতদের কেউ থাকত না।সেবায়েতদের বাস করার জন্য ভিতর দিকে বেশ কয়েকটা আলাদা আলাদা বাড়ি দেখেছি। সম্পূর্ণ মা'জীর বাড়ি বিশাল অংশ জুড়ে। এদিকে লক্ষ্মণ পাড়া থেকে সামনের দিকে আমাদের স্কুল হিন্দু বালিকা বিদ্যালয়ের সামনে বড় রাস্তা পর্যন্ত, অর্থাৎ ডাঙাপাড়া পর্যন্ত। আমাদের বাড়ির পাশ দিয়ে ছিল একটা রাস্তা, গলি বলাই ভালো। মা'জীর বাড়ির পূর্ব দিকের কিছুটা অংশ, আমাদের বাড়ির পিছন দিক অর্থাৎ উত্তরদিক, রবীন্দ্র সদনের পিছন অর্থাৎ পশ্চিমদিকটা মিলে অনেকখানি জায়গা ছিল, ছিল একখানি প্রাথমিক বিদ্যালয়। আমদের বাড়ির সামনের গলিটা সেই প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সামনে দিয়ে বড় রাস্তায় যেখানে মিশত, সেই রাস্তার এপারে মা'জীর বাড়ির সামনের অংশ, অপর পারে আমাদের স্কুল। আমাদের স্কুলের প্রাথমিক বিভাগ দশটায় ছুটি হোতো, আমরা আমাদের স্কুল ছুটির পর ওই ছোট্ট স্কুলের দাওয়ায় এসে খেলতাম, মা'জীর বাড়ির ঝোপ থেকে কখনও কখনও সাপও বেরিয়ে আসতেও দেখেছি। সাপের সামনে নাকি 'আস্তিক আস্তিক গরুড় গরুড়' বললে সাপ পালায়। তাই সাপ দেখলে চুপ করে দাঁড়িয়ে সেগুলোই বলতাম। পরে তো স্কুলটা কোথায় উঠে গেল, স্কুলবাড়িটা ভাঙা হয়ে গেল। রাস্তা বন্ধ হয়ে গেল। সে জায়গায় তৈরি হলো 'পুরশ্রী হল'। মা'জীর বাড়ির এই অংশটা অনেক দূরে চলে গেল যেন। আমরাও বড়ো হয়ে গেলাম। জগৎটা আবর্তিত হতে থাকল অন্য ভাবে।

আমার কাছে মা'জীর বাড়ি মানে রথ, মা'জীর বাড়ি মানে গোটা কার্তিক মাস ভর ভোরবেলা ঠাকুমার সঙ্গে মঙ্গল আরতি দেখা। আমাদের বাড়ির আরতি শেষ হলে ছুটতাম ঠাকুমার সঙ্গে। একখানা চাদর গায়ে-মাথায় জড়িয়ে  দিয়ে, পিছনে ঘাড়ের কাছে গিঁট বেঁধে দিত ঠাকুমা। হাত চাদরের ভিতরে। এতে সোয়েটার মাফলার পরার থেকে কম সময় লাগত। মা'জীর বাড়ি থেকে চলে যেতাম নামব্রহ্ম বাড়ি। ধীরে ধীরে আকাশের অন্ধকার কেটে গিয়ে চারদিক নীল হয়ে উঠত। আমার কাছে মা'জীর বাড়ি মানে ঝুলনও, ভারি সুন্দর ঝুলন হোতো সেখানে। এর আগেও ঝুলন পর্বে সেকথা বলেছি। আর একটা বিশেষত্ব হলো চতুর্দোলায় করে সেজেগুজে সানাই বাদ্যি বাজিয়ে শ্যামচাঁদের শ্বশুর বাড়ি যাওয়া। এখনও হয়তো সব হয়, দর্শনের সৌভাগ্য থেকে বঞ্চিত হয়েছি মাত্র, এ তো হবারই। কর্মক্ষেত্রে পড়ে শ্যামচাঁদকে বাল্যের লীলাভূমি ত্যাগ করতে হয়েছিল, আমরা তো তবু একান্তই যদি চাই, রথ-ঝুলন-কোনো বিশেষ দিন না হোক, আমাদের সুযোগ মতো দর্শন করতে পারি!

ঝুলনে নাট মন্দিরে যাত্রা পালা হতো। পালা গানও হতো। কখনও কখনও একটু আধটু শুনতে যেতাম, পিসিমণি বা ঠাকুমার সঙ্গে। আসলে এখানে একটু রাতে এসব শুরু হওয়ায়, দাদুর অনুমতি আদায় করা কষ্ট ছিল। আর একটা জিনিসের জন্য আমরা মা'জীর বাড়ির উপর অনেকটা নির্ভরশীল ছিলাম। তা হলো পুকুর। তখন বাড়িতে বাড়িতে মিউনিসিপ্যালিটির কল আসেনি। আমাদের বাড়িতে ছিল কুয়ো। জল টানতে কষ্ট হতো। যেদিন অনেক কাচাকাচি হতো (সেটা প্রায়ই হতো) সেদিন ঠাকুমা চলে যেত মা'জীর বাড়ির পুকুরে। অনেক বড় পুকুর, অনেকগুলো ঘাট। দূরের ঘাটগুলো অন্যান্য শরিক ব্যবহার করতো। পুকুরে যতদূর চোখ যায় তাকালে দিনের বেলাতেও কেমন  গা ছমছম করত। রথতলার দিকে দরজা দিয়ে ঢুকেই ছিল একটা ঘাট। এটা আমরা, বাইরের লোকেরা ব্যবহার করতাম। ঠাকুমা বা পিসিমণি কাপড় কেচে চান করে নিত। বেশিরভাগ সময়ে অবশ্য গঙ্গায় যেতো। কোনও কোনও দিন ওই পুকুরের জলে আমাকেও চান করিয়ে দিত পিসিমনি, সে দারুণ মজা।  তারপর আমার হাতে কিছু ভিজে কাপড় দিয়ে দিত, বাড়ি নিয়ে চলে আসতাম। তারপর তো সব জায়গায় কল এসে গেল। পুকুর পড়ে রইল। পুকুরটা নষ্ট হয়ে যেতে দেখেছি। অত সুন্দর টলটলে জল, কী সুন্দর বাঁধানো ঘাটের সিঁড়ি! এখন মনে হয় কিছু নেই। ডানদিকে ঘাট ফেলে রেখে আর একটু  এগিয়ে গেলে ঝুলনের ঘর, নাট মন্দির। এখানে ঝুলনের সময় বিগ্রহ আনা হতো। অন্যসময় ভিতর বাড়িতেই শ্যামচাঁদ থাকতেন। ভিতর বাড়িতে বড়ো মাপের, অনেক উঁচু ভিতের উপর মন্দির। সেখানে অন্নকূট হতো, এখনও হয়। সে মন্দির এখন কেমন আছে তাও জানি না। রাজ-বাড়ি, রাজার বিগ্রহই কতদিন অনাদরের পর নতুনভাবে সেজে উঠেছে। বিগ্রহের জামাই-এর খবর কে রাখে! এখন সব কে কেমন আছে দেখে এসে তোমাদের ছবি দেখাবো। এখন চলে যাব এখান থেকে। পরের দিন দেখা যাক, কোথায় যেতে পারি! (ক্রমশঃ)

(ছবি সৌজন্যে প্রতিবেদক স্বয়ং)

(www.theoffnews.com - Ambika Kalna)

Share To:

THE OFFNEWS

Post A Comment:

0 comments so far,add yours