সাজিয়া আক্তার, রেসিডেন্সিয়াল এডিটর (বাংলাদেশ), দ্য অফনিউজ:
মাদককাণ্ডে গ্রেপ্তার হওয়া পরীমণি এখন কাশিমপুর কারাগারে রয়েছেন। এ বিষয়টি জানাজানি হওয়ার পর দূর-দূরান্ত থেকে লোক এসেও পরীমণিকে এক নজর দেখার জন্য ঘণ্টার পর ঘণ্টা অপেক্ষা করেছেন। কিন্তু কারো সঙ্গেই তার দেখা হয়নি। কারাগারে এখন পরীমণিকে ১৪ দিনের কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়েছে।
পরীমণি ইস্যুতে প্রথম দিকে চলচ্চিত্রাঙ্গন নীরব থাকলেও এখন মুখ খুলেতে শুরু করেছেন অনেকেই, তাদের কযেকজনের ফেসবুক পোস্টের কিছু অংশ নিচে তুলে ধরা হলো।
ফেসবুক স্ট্যাটাসে নায়ক শাকিব খান লিখেছেন, পরীমনির জীবন ঘিরে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোতে যেভাবে তাকে কাঠগড়ায় তোলা হচ্ছে, এটা সত্যি দুঃখজনক। আরও দুঃখজনক ঘটনা হচ্ছে, গত কয়েকদিন ধরে খেয়াল করছি শুধুমাত্র অভিযোগের ভিত্তিতে পরীমনি গ্রেপ্তারের পর তার প্রতি কোনো ধরণের সহযোগিতার হাত না বাড়িয়ে, দুঃসময়ে শিল্পীর পাশে না থেকে উল্টো তড়িঘড়ি করে সংবাদ সম্মেলন করেছে চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতি। মূহুর্তে পরীমনির সদস্যপদ স্থগিত করা হয়েছে! এ যেন কাঁটা ঘায়ে নুনের ছিঁটে!
কণ্ঠশিল্পী আসিফ আকবর লিখেছেন, অপরাধ প্রমাণের আগে কাউকে অপরাধী বলা অপরাধ। হরহামেশাই মিডিয়া এবং সোশ্যাল মিডিয়ার ট্রায়ালের শিকার হতে হয় শোবিজের মানুষদের। একটা রমরমা রসাত্মক গল্প কয়দিন চলে। দেশে আসলে এসব ছাড়াও কোটি সমস্যা আছে। রঙ্গীন দুনিয়ায় সব মেয়েরা খারাপ, আর পুরুষরা মহান। তারকাদের প্রতি সাধারন মানুষকের দেওয়া সম্মানকে ব্যাকফুটে নিয়ে যাওয়ার জন্য ঘোর একটা গায়েবী অভিশাপ। মেয়েটা দেশের সবচেয়ে বড় আলোচিত ক্রিমিন্যাল হয়ে গেলো হঠাৎ করেই? সারা দেশের গলিতে গলিতে এরকম মজায় মত্ত থাকি আমরা ভোগী পুরুষরা। দোষ হয় শুধু মেয়েদের, সমস্ত অপরাধের কেন্দ্রবিন্দু তারাই। এই মেয়েটাকে এতোটা পথ কাদের শেল্টারে এসেছে এই রহস্য উন্মোচিত হবে না কখনো।
রাফিয়াত রশিদ মিথিলা বলেন, পরীমণিকে নিয়ে যে মিডিয়া ট্রায়াল হচ্ছে, আমি সেটা এক্কেবারেই সমর্থন করি না। যতরকম ভাবে ওকে অপদস্থ করা যায়, করা হচ্ছে। পরীমণির ক্ষেত্রে সমস্ত মতামত দুইভাগে বিভক্ত, এটা সব ক্ষেত্রেই হয়। শুধু পরীমণি কেন, ইন্ডাস্ট্রিতে কাজ করে এমন যেকোনও মেয়েকে নিয়ে কিছু ইস্যু হলেই মিডিয়া ট্রায়াল শুরু হয়ে যায়। সোশ্যাল মিডিয়াতে একজন মহিলাকে টেনে এনে বিভিন্ন কিছু লেখালেখি হচ্ছে। যার নেতিবাচক প্রভাব সমাজের উপর পড়ছে। ইন্ডাস্ট্রিতেও এর খারাপ প্রভাব পড়বে। আশা রাখছি, সুষ্টু তদন্ত হোক, অকারণে যেন মেয়েটির কোনও ক্ষতি না হয়ে যায়। পরীমণি যেন সঠিক বিচার পায়।
আজমেরী বাঁধন বলেন, পরীমণির ক্ষেত্রে যেভাবে তাঁকে ফলাও করে গ্রেফতার করা হয়েছে, যে যে কারণে তাঁকে গ্রেফতার করা হয়েছে (যেটা আমাদের সামনে এসেছে), তাঁকে যেভাবে দিনের পর দিন রিমান্ডে নেওয়া হচ্ছে, এবং তাঁর বিষয়ে সংবাদ-মাধ্যমে এবং বিশেষত সোশ্যাল মিডিয়া সাধারণ মানুষ তাঁকে ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে প্রশ্নবিদ্ধ করছে, সেটা খুবই দুঃখজনক এবং লজ্জার এবং একইভাবে এটা অন্যায়।
(www.theoffnews.com - Porimoni Bangladesh)
Post A Comment:
0 comments so far,add yours