সাজিয়া আক্তার, রেসিডেন্সিয়াল এডিটর (বাংলাদেশ), দ্য অফনিউজ:
বর্তমানে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের কারণে বিনষ্ট হচ্ছে সামাজিক ভারসাম্য ও সম্পর্ক। এসব যোগাযোগ মাধ্যম ও ইন্টারনেট প্ল্যাটফর্মগুলোর কর্ম আর অপকর্ম নষ্ট করছে সমাজ ও সংস্কৃতি। ভেঙে যাচ্ছে অনেকের সাজানো গোছানো সুখের সংসার। দুর্বল হচ্ছে সামাজিক বন্ধন, বাড়ছে মানুষে মানুষে সম্পর্কের দূরত্ব।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে যোগাযোগ বাড়াতে গিয়ে মানুষ হয়ে উঠছে সামাজিক যোগাযোগ ও ডিজিটাল মাধ্যম নির্ভর। ফলে সরাসরি আলাপচারিতা, মতবিনিময় এবং যোগাযোগ কমে যাওয়ায় নানান নেতিবাচক চিন্তাধারণা সেখানে জায়গা করে নিচ্ছে। অবক্ষয় হচ্ছে সামাজিক অনুশাসন ও মূল্যবোধের।
রাজধানী ঢাকার দুই সিটি কর্পোরেশনের তথ্যমতে, এখানে গড়ে প্রতিদিন ৩৯টি বিয়ে বিচ্ছেদের ঘটনা ঘটে এবং প্রতি ঘণ্টায় একটি বিবাহ বিচ্ছেদের মামলা দায়ের করা হয়। এছাড়া পুরো দেশে বিগত ৭ বছরে তালাকের প্রবণতা বেড়েছে ৩৪ শতাংশ।
এ বিষয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অপরাধ বিজ্ঞান বিভাগের চেয়ারম্যান খন্দকার ফারজানা রহমান বলেন, সরাসরি যোগাযোগে আমরা অনেককিছু ভালো মন্দ দেখে করি কিন্তু ভার্চ্যুয়াল মাধ্যমে পরিচয় গোপন রেখে যোগাযোগ করা সম্ভব। আর সেই যোগাযোগ আমাদের মানবিক গুণাবলিকে প্রভাবিত করছে। অনেক সময়েই এমন যোগাযোগ থেকে কোন না কোন ‘ভায়োলেন্ট’ প্রকাশ পাচ্ছে। মানি লন্ডারিং, আক্রমণাত্মক গেমস, পর্নোগ্রাফির মতো অপরাধেও জড়িয়ে যাচ্ছে অনেকে। সোশ্যাল মিডিয়া নির্ভরতা থেকে একটি অপরাধী চক্র গড়ে উঠছে। আমরা যারা সোশ্যাল মিডিয়ায় নির্ভর তারাই আবার সেটাকে প্রচার করছি।সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের নেতিবাচক বলয় থেকে বের হয়ে আসতে হলে মানুষের মানসিক স্বাস্থ্য উন্নয়নে কাজ করতে হবে বলে মনে করেন এই বিশেষজ্ঞ।
খন্দকার ফারজানা রহমান বলেন, আমাদের মানসিক স্বাস্থ্যের অবস্থা খুবই খারাপ। এটা খুবই চিন্তার বিষয় যে, মানসিকভাবে আমরা অনেকেই ‘আন-স্টেবল’ অবস্থায় আছি। এমন অবস্থা থেকে রাগ, ক্রোধ, অবসাদ ও বিষণ্নতার মতো নেতিবাচক আবেগ বের হয়ে আসে। আর সেই আবেগের বহিঃপ্রকাশ হচ্ছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে। তাই আমাদেরকে মানসিকভাবে আগে সুস্থ হতে হবে।
(www.theoffnews.com - social media)
Post A Comment:
0 comments so far,add yours