দেবর্ষি মজুমদার, লেখক, বীরভূম:
একটু মজা করেই সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করেছিলেন এক স্কুলের সহকারী প্রধান শিক্ষক অধীর দাস। আর তাতেই অস্বস্তির শেষ নেই অধীরবাবুর!
কি সেই পোস্ট! রবিবার টিভির সামনে বসে একটি খবরে দেখেন-- এক ব্যক্তির গায়ে ধাতব পদার্থ চিপকে যাচ্ছে। তিনিও খালি গায়ে ছিলেন। তারপর নিজের গায়ে নেহাতই কৌতূহল বশতঃ ট্রাই করেন। দেখেন কয়েন, কাঁচি, খুন্তি সব গায়ে লেগে যাচ্ছে। নিজে জীব বিজ্ঞানের শিক্ষক। তারপর আদুল গায়ে কয়েন, খুন্তি, কাঁচি সজ্জিত হয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় সেই ছবি পোস্ট করেন। ব্যস! আর যায় কোথায়! এমনিতেই গুজব একটু বেশিই ছড়াই। এক্ষেত্রে তার ব্যতিক্রম হয়নি। ফোনের পর ফোন। মিডিয়া থেকে পরিচিতজনের। বাড়িতে হাজির মিডিয়া কর্মীদের। কত কৌতূহলীর শতেক প্রশ্ন! আপনি কি ভ্যাকশিন নিয়েছিলেন?
বেসামাল শিক্ষক বোঝাতে বোঝাতে ক্লান্ত যে, এর সাথে ভ্যাকসিনের কোন সম্পর্ক নেই। আপনার দেহে কি পেস মেকার আছে? স্পষ্ট ভাষায় সেই শিক্ষক জানান, তাঁর দেহে কোন পেস মেকার নেই। থাকলেও সেটা কারণ হতে পারে না। দেহের চটচটে পদার্থের জন্য এমনটাই হচ্ছে। কিন্তু গুজবের আশ্রয় তো বিজ্ঞানবোধ নয়। তাই রাতারাতি বিখ্যাত সেই শিক্ষক। আর বিড়ম্বনার পাহাড় বাড়তে থাকে লাফিয়ে লাফিয়ে।
এব্যাপারে রামপুরহাট মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের এক চিকিৎসক কর্মকর্তাকে প্রশ্ন করা হয়। তিনি বলেন, আমিও দেখছি এধরণের খবর সোশ্যাল মিডিয়া বা গণমাধ্যমে ছড়াচ্ছে। প্রথমেই বলি এর সাথে ভ্যাকসিনের কোন সম্পর্ক নেই। দেখবেন আদুল গায়ে এই ঘটনা ঘটছে। চুম্বকের ব্যাপার হলে তো পোশাকের উপরেও হতো। বর্ষাকালে আদ্রতা বা স্যাঁতসেতে আবহাওয়ার কারণে এসব হয়ে থাকতে পারে। গুজব এতটাই ছড়িয়েছে যে কেন্দ্রীয় সরকারের নোডাল এজেন্সি প্রেস ইনফরমেশন ব্যুরোও ট্যুইট করে জানিয়েছে, ভ্যাকসিন নিয়ে মানব চুম্বক হয়ে উঠছে বলে যে দাবি নেটমাধ্যমে ছড়িয়েছে তা সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন।
(www.theoffnews.com - fake viral vaccine)
Post A Comment:
0 comments so far,add yours