তপন সান্যাল, কবি, গীতিকার ও গবেষক, পাইকপাড়া, কলকাতা:

"সে ভোলানাথ নইরে আমি, সে ভোলানাথ নই।

আমি ময়রা ভোলা হরুর চেলা বাগবাজারে রই।’’

ফিরিঙ্গি কবিয়াল অ্যান্টনির চাপানের উত্তরে বলেছিলেন বাগবাজারের কবিয়াল ভোলা ময়রা। ওই ভোলা ছিলেন অষ্টাদশ শতাব্দীর শেষ ভাগের লোক।

তাঁর কথায় পরে আসছি। বাগবাজারের পরিচিতি তারও অনেক আগে থেকে। জায়গাটি প্রাচীন সন্দেহ নেই, কিন্তু সমস্যা নামকরণের উৎস নিয়ে। কেউ কেউ মনে করেন, ফার্সি শব্দ ‘বাগ’ অর্থাৎ বাগান এবং আরবি শব্দ ‘বাজার’ অর্থাৎ জিনিসপত্র বিক্রির জায়গা মিলেমিশে ‘বাগবাজার’ নামটি এসেছে। সেই তত্ত্ব অনুসারে ধরে নিতে হয়, ওই অঞ্চলে একটি বাগান ছিল এবং ছিল একটি বাজারও। প্রথমে খোঁজ করা যাক বাগানের।

কলকাতার পুরনো ইতিহাস থেকে দেখা যাচ্ছে, এখন যেখানে বাগবাজার সর্বজনীন দুর্গোৎসব হয় সেই জায়গায় ছিল এক বিশাল বাগান। বাগানের মালিক ক্যাপ্টেন পেরিনের নামানুসারে লোকে বলত ‘পেরিন সাহেবের বাগান’। খুব সাজানো সেই বাগান বিস্তৃত ছিল হুগলি নদী পর্যন্ত। নদীপথে সাহেব-মেমরা মাঝে মাঝে ওই বাগানে ফুর্তি করতে আসতেন। কিন্তু ‘চিরদিন কাহারও সমান নাহি যায়।’ পেরিন সাহেবের সুদিনও ফুরিয়ে গেল এক দিন। ঋণের দায় ওই বাগান নীলামে উঠল। ১৭৫২ সালে বাগানটি ২৫০০ টাকায় কিনে নেন জন জেফানিয়া হলওয়েল। কিন্তু মাত্র তিন বছরের মধ্যে তিনি আবার বিক্রি করে দেন প্রথম ফোর্ট উইলিয়ম কেল্লার অধ্যক্ষ ক্যারোলাইন ফ্রেডরিখ স্কটকে। স্কট সাহেব সেখানে বারুদ বা গান পাউডার তৈরির কারখানা খোলেন। অল্প দিন পরে তিনি মারা গেলে ওই কারখানা-সহ বাগানের মালিকানা বর্তায় ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির উপরে। কিছু কাল পরে বারুদ কারখানাটিও উঠে যায়।

চার্নক-পূর্ব যুগে তো বটেই তার পরেও দীর্ঘ কাল পুরো সুতানুটি অঞ্চলটাই ছিল বাজার এলাকা। শোভাবাজার, হাটখোলা অঞ্চলগুলির প্রসিদ্ধিই ছিল ‘হাট বাজার’-এর জায়গা হিসেবে। আপজন-এর ম্যাপে (১৭৯৪) ওল্ড পাউডার মিল বাজার নামে একটি বাজারের উল্লেখ রয়েছে। পেরিনের বাগ (বাগান) আর পাশের এই বাজার মিলেই ‘বাগবাজার’ নামের উৎপত্তি বলে অনেকে মনে করেন। কেউ কেউ আবার বলেন, ওই অঞ্চলে হুগলি নদীর একটি বাঁক আছে। বাঁকের তীরে বসা বাজার থেকেও বাগবাজার নামের উৎপত্তি হয়ে থাকতে পারে।

গোকুলচন্দ্র মিত্রের দালানশহর কলকাতার অন্যতম প্রাচীন বাগবাজার অঞ্চল নানা কারণে উল্লেখযোগ্য। এখানকার নাটকের দল ‘বাগবাজার অ্যামেচার থিয়েটার’ই ‘ন্যাশনাল থিয়েটার’ নামে আত্মপ্রকাশ করে ১৮৭২-এ। নাট্যাচার্য গিরিশচন্দ্র ঘোষ বাগবাজারেরই বাসিন্দা। মহেন্দ্রনাথ-পশুপতি-নন্দলাল বসুর ‘বাগবাজার বসুবাড়ি’ শুধু রামকৃষ্ণ-রবীন্দ্রনাথের স্মৃতিধন্যই নয়, স্বদেশি আন্দোলনের অনেক উল্লেখযোগ্য ঘটনার সাক্ষীও। ওই বাগবাজারেই শ্রীরামকৃষ্ণের শিষ্য বলরাম বসুর বাড়ি থেকে সূচনা হয়েছিল আজকের ‘শ্রীরামকৃষ্ণ মঠ ও মিশন’-এর।

রামকৃষ্ণ দেব সম্ভবত ১৮৭৭ সালে প্রথমবার  বাগবাজারে এসেছিলেন। ৪০, বোসপাড়া লেনে (বর্তমান নাম মা সারদামণি সরণি) কালীনাথ বসুর পৈত্রিক বাসভবনে তিনি আসেন। এখানেই হরিনাথ চট্টোপাধ্যায় (পরবর্তীকালে স্বামী তুরীয়ানন্দ), গদাধর ঘটক (গঙ্গোপাধ্যায়) (পরবর্তীকালে স্বামী অখণ্ডানন্দ) ও বিশিষ্ট নাট্যকার গিরিশচন্দ্র ঘোষের সঙ্গে তার সাক্ষাৎ ঘটে। 

রামকৃষ্ণ মিশনের সংঘ-জননী সারদা দেবীর কলকাতায় বসবাসের সুবিধার জন্য মিশন বাগবাজারেই তার জন্য একটি সুউচ্চ তিনতলা বাড়ি নির্মাণ করেন। বর্তমানে এই বাড়িটি ‘মায়ের বাড়ি’ নামে পরিচিত এবং মিশনের বাংলা মুখপত্র উদ্বোধন পত্রিকার কার্যালয়। এই বাড়ি থেকে দূরে মারাঠা খাল ও গঙ্গার মিলনস্থলটি দেখা যায়। বাড়ি সম্মুখস্থ রাস্তাটির নাম মুখার্জ্জী লেন থেকে পরিবর্তিত করে উদ্বোধন লেন করা হয়েছে। বাড়ির দক্ষিণে কাশী মিত্র শ্মশানঘাট ও শ্মশানেশ্বর শিব মন্দির অবস্থিত।

এই অঞ্চলেই একদা বসবাস করে গিয়েছেন ভগিনী নিবেদিতা। শুধু বাংলা নয় সমগ্র ভারতীয় ভাষার মধ্যে প্রথম কোষগ্রন্থ (এনসাইক্লোপিডিয়া) হিসেবে চিহ্নিত ‘বিশ্বকোষ’ (বাইশ খণ্ডের ওই কোষগ্রন্থের শেষ খণ্ডের প্রকাশকাল (১৩১৮ বঙ্গাব্দ) গ্রন্থের প্রণেতা নগেন্দ্রনাথ বসু থাকতেন বাগবাজারেই।

কলকাতার অন্যতম প্রাচীন এই বাগবাজারে রয়েছে বেশ কয়েকটি উল্লেখযোগ্য স্থাপত্য। পুরনো কলকাতার ‘ব্ল্যাক জমিনদার’ গোবিন্দরাম মিত্র ১৭৩০-এ প্রতিষ্ঠা করেন এক বিশাল পঞ্চরত্ন মন্দির ও তাকে ঘিরে তিনটি দোচালা ও দু’টি নবরত্ন মন্দির-সহ এক ‘মন্দির কমপ্লেক্স’। সেগুলির মধ্যে একটি নবরত্ন ও একটি দোচালা মন্দির এখনও টিকে আছে চিৎপুর রোডের উপর মদনমোহনতলার কাছে। এর ঠিক বিপরীতেই রয়েছে প্রাচীন সিদ্ধেশ্বরী কালীমন্দির। পাশেই সে যুগের আর এক বিত্তবান গোকুলচন্দ্র মিত্রের প্রতিষ্ঠা করা মদনমোহনতলা। সাবেক ২৬/১ দুর্গাচরণ মুখার্জি স্ট্রিটে (বর্তমান নাম ক্ষীরোদপ্রসাদ বিদ্যাবিনোদ অ্যাভিনিউ) রয়েছে জগৎরাম হালদার প্রতিষ্ঠিত দোচালা শিবমন্দির। এই মন্দিরটি শহরের এক মাত্র একক দোচালা মন্দির।

এই অঞ্চলের আরও একটি উল্লেখযোগ্য স্থাপত্যকীর্তি হল পঞ্চানন মুখার্জি রোড ও শেঠপুকুর রোডের সংযোগে অবস্থিত ‘ভোসড়ি শাহ’-র মসজিদ। বাগবাজার খালের উত্তরে কাশীপুর-চিৎপুর রোডের পশ্চিম দিকে অবস্থিত এই মসজিদটির নির্মাণ কাল এবং নির্মাতা সম্পর্কে সঠিক তথ্য পাওয়া যায় না। 

জনশ্রুতি— পলাশির যুদ্ধের পর সিরাজের দেওয়ান রেজা খাঁ বসবাসের জন্য সপরিবারে চিৎপুর অঞ্চলে আসেন এবং তিনিই মসজিদটি নির্মাণ করেন। পুরনো একটি ফলকে, মসজিদটি ১২১৯ হিজরায় (অর্থাৎ ১৭৯৯ খ্রিস্টাব্দ) জাফর আলি কর্তৃক পুনর্নির্মিত হয় বলে উল্লেখ আছে। দেখভালের অভাবে কলকাতার অন্যতম সুন্দর এই মসজিদটি একেবারে জীর্ণ হয়ে গিয়েছিল। মুর্শিদাবাদ ঘরানার স্থাপত্যের মতো তিন গম্বুজযুক্ত এই মসজিদটি যে আটটি চারকোণা মিনার গম্বুজের দু’পাশে ছিল, তার কয়েকটি নষ্টও হয়ে গিয়েছে। ত্রিখিলানযুক্ত প্রবেশপথটিরও ভগ্নদশা। গোটা মসজিদের বাইরের দেওয়াল জুড়ে থাকা পঙ্ক-পলেস্তরার (চুন ও বালি দিয়ে তৈরি অলঙ্করণ) নকশার কিছুই আর অবশিষ্ট নেই। কলকাতা পুরসভার ঐতিহ্যবাহী পুরাকীর্তির তালিকাভুক্ত হওয়া সত্ত্বেও সরকারের তরফ থেকে কোনও দিনই সংরক্ষণের উদ্যোগ নেওয়া হয়নি। সম্প্রতি স্থানীয় মুসলিম সম্প্রদায়ের কিছু মানুষ নিজেরা চাঁদা তুলে পরিত্যক্ত এই মসজিদটিকে সংস্কার করলেও অপটু সংস্কারের ফলে মসজিদটির সৌন্দর্য একেবারেই হারিয়ে গিয়েছে।

খাবার-দাবারের ক্ষেত্রেও বাগবাজারের সুনাম কিছু কম নয়। মিষ্টান্নের ইতিহাস থেকে জানা যায়, রানাঘাটের পালচৌধুরী জমিদারদের রসনার তৃপ্তির জন্যে ফুটন্ত চিনির রসে ছানার গোলা ফেলে নাকি ‘রসগোল্লা’ নামে এক মিষ্টি তৈরি করেছিলেন এক ময়রা। সেই রসগোল্লাকে আরও পরিশীলিত করে ‘স্পঞ্জ রসগোল্লা’য় উন্নীত করেন বাগবাজারের নবীন ময়রা। চিতপুর রোডের উপরে ছিল তাঁর দোকান। এখন আর সেই দোকান নেই, সেখানে উঠেছে বহুতল বাড়ি। বাগবাজারের তেলেভাজার যথেষ্ঠ সুখ্যাতি আছে।

ইতিহাস বাগবাজার একসময় ছিল সুতানুটি গ্রামের অন্তর্ভুক্ত। এই অঞ্চল ছিল বসু ও পাল পরিবারের আবাসভূমি।  কলকাতার অন্যতম ধনাঢ্য ও প্রভাবশালী জমিদার 'ব্ল্যাক জমিদার' নামে পরিচিত গোবিন্দরাম মিত্রের পুত্র রঘু মিত্র ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির শাসনকালেই বাগবাজারের বিখ্যাত বাগবাজার ঘাটটি নির্মাণ করান।

১৯৩০ সালে দুর্গাচরণ বন্দ্যোপাধ্যায় বাগবাজার সর্বজনীনের সভাপতি হন। এই সময় থেকেই এখানকার দুর্গাপুজোর সঙ্গে যুক্ত হয়ে পড়ে স্বদেশি আন্দোলনের ধ্যানধারণা। দুর্গাচরণবাবু সভাপতি হিসাবে যুক্ত করতে চাইলেন তৎকালীন কলকাতার মেয়র নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুকে। সুভাষচন্দ্র ৫০০ টাকা চাঁদা দিলেন। ১৯৩৮ ও ১৯৩৯ সালে সুভাষচন্দ্র প্রত্যক্ষভাবে যুক্ত ছিলেন বাগবাজার সর্বজনীনের পুজোর সঙ্গে। 

অন্যদিকে, মোহনচাঁদ বসু হলেন নিধুবাবুর শিষ্য। উনিশ শতকে বাগবাজারে বাস করতেন। বাংলা আখড়াই গানে খেউড় উদ্ভাবন তিনিই করেন।

কলকাতায় যত গলি বা লেন আছে প্রত্যেকটাই এক একটা ইতিহাস। টালা থেকে বাগবাজার হয়ে ওয়েলিংটন স্কোয়ার পর্য্যন্ত মানে উত্তর কলকাতা। বাগবাজারের একটা গুরুত্বপূর্ণ লেন হলো ভোলাময়রা লেন। শ্যামপুকুর স্ট্রিট এর ৫২ সংখক বাড়ির সম্মুখের রাস্তাকে বলে ভোলা ময়রা লেন। কলকাতা পুরসভা ৫ই আগস্ট ১৯৩৬ সালের অধিবেশনে শ্যামপুকুর স্ট্রিটের এই অঞ্চলের নাম হলো ভোলা ময়রা লেন। ভোলা ময়রার পুরো নাম  ভোলানাথ মোদক (দে)।

উনি জন্ম গ্রহন করেন ১৭৭৫ সালে। ওদের বংশ ধর থাকতেন সিমলায়। এই বাগবাজারে ওদের একটা মিষ্টির দোকান ছিল। এই দোকানে মিষ্টি ছাড়াও পুরী খই মুড়কি, বাতাসা বিক্রি হতো। এই দোকানটি বাগবাজারের বারুদ কারখানার দক্ষিন দিকে অবস্থিত ছিল। ভোলানাথ সিমলার পরে বোস পাড়া লেনে নিজ গৃহ নির্মাণ করেন। ভোলানাথের চার পুত্র ছিল, চিন্তামনি, চন্দ্রলাল, রসিকলাল ও মাধব চন্দ্র। প্রথম তিনজন ছিলেন নি:সন্তান। মাধবচন্দ্রের চার পুত্র ও পাঁচ কন্যা ছিল। এক কন্যা বাগবাজারের মিষ্টান্ন ব্যবসায়ী নবীন চন্দ্র সেনের সহধর্মিনী ছিলেন।

নবীন চন্দ্র দাস আর এক মহান ও কীর্তিমান পুরুষ। ইনি ছিলেন  রসগোল্লার উদ্ভাবক। উত্তর কলকাতার জোড়াসাঁকোতে নবীন চন্দ্র দাস ১৮৬৪ সালে একটি মিষ্টি দোকান খোলেন। কিন্তু চরম সাফল্য পান ১৮৬৬ সালে বাগবাজারে দোকান স্থানান্তরিত করার পরে। ১৮৬৮ সালের কিছু আগে বা পরে তিনি ছানা দিয়ে অসাধারণ এই রসগোল্লা তৈরি করেন। যা আজও বাংলা ও বাঙালির পরিচয়ের অঙ্গ। যতদূর জানা যায় ভারতের পশ্চিমবঙ্গে প্রথম রসগোল্লা প্রস্তুত করা হয়েছিল। পশ্চিমবঙ্গের নদীয়া জেলার ফুলিয়ার হারাধন ময়রা আদি রসগোল্লার সৃষ্টিকর্তা। কলকাতার নবীনচন্দ্র দাস আধুনিক স্পঞ্জ রসোগোল্লার আবিষ্কর্তা ছিলেন। রসগোল্লা নিয়ে অনেক বিতর্ক আজ ও আছে তবে বিশেষজ্ঞদের মতে রসগোল্লার আদি উৎপত্তিস্থল বর্তমান বাংলাদেশের বরিশাল অঞ্চলে। কলকাতা কিংবা ওড়িশায় বিস্তার লাভ করে। 

বাংলা সাহিত্যেও এই রসগোল্লাকে নিয়ে রচিত হয়েছে সরেস সাহিত্যকর্ম। বিশিষ্ট রম্য সাহিত্যিক সৈয়দ মুজতবা আলী রচনা করেছেন বিখ্যাত রম্যগল্প "রসগোল্লা" যা ইউরোপের বহু দেশে সমাদৃত হয়েছে। মহারাজা নবকৃষ্ণ দেবের শেষ ভাগে ভোলা নাথের প্রসার ও প্রতিপত্তি শুরু হয়। সেকালের সর্ব শ্রেষ্ঠ কবিয়াল ছিলেন হরু ঠাকুর। আর তাঁরই শিষ্য ছিলেন এই ভোলা ময়রা।

অ্যান্টনি ফিরিঙ্গিও ভোলা ময়রার সমসাময়িক ছিলেন। এই হরু ঠাকুরও প্রথম দিকে ভোলা ময়রাকে গান বেঁধে দিতেন। তার প্রতিপক্ষ ছিলেন অ্যান্টনি ফিরিঙ্গি, রাম বসু (কবিয়াল), যজ্ঞেশ্বরী দাসী প্রমুখ কবিয়ালগন। রসগোল্লার উদ্ভাবক নবীনচন্দ্র দাস ছিলেন তার জামাতা।

ভোলা নাথ ছিলেন একনিষ্ঠ বৈষ্ণব। কথায় কথায় তিনি কৃষ্ণনাম করতেন। প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা কম থাকলেও

সংস্কৃত ফারসি ও আরবি ভাষায় তাঁর যথেষ্ট জ্ঞান ছিল। পুরান ও ধর্ম শাস্ত্রেও তাঁর যথেষ্ট দখল ছিল। এই কবির দল গড়ার আগেও তিনি বহু রসতীর্ণ কবিতা রচনা করেন। সমাজের অসঙ্গতির প্রতি অঙ্গুলি নির্দেশ করে তিনি যে সব গান ও কবিতা লিখেছিলেন।

এই ব্যাপারে বিদ্যাসাগর মহাশয় বলেন বাংলা দেশের সমাজকে সজীব রাখিবার জন্য, রামগোপাল ঘোষের ন্যায় বক্তা, হুতুম পেঁচার ন্যায় লেখক আর ভোলা ময়রার ন্যায় কবিয়ালার প্রাদুর্ভাব বড়ই আবশ্যক। তিনি আরো উল্লেখ করেছেন 'ভোলার মতো তেজস্বী, বুদ্ধিমান উপস্থিত কবি আমি দেখি নাই। ভোলার জুড়ি মেলা ভার।' ১৮৫১ সালে ভোলা ময়রার মৃত্যু হয়।

(www.theoffnews.com - Bagbazar)

Share To:

THE OFFNEWS

Post A Comment:

0 comments so far,add yours