রিঙ্কি সামন্ত, লেখিকা, কলকাতা:
শ্বেতপদ্মাসনাদেবী শ্বেতপুষ্পোজশোভিতা
শ্বেতাম্বরধরা নিত্যা শ্বেতাগন্ধানুলেপনা
শ্বেতাক্ষসূত্রহস্তা চ শ্বেতচন্দনচর্চিতা
শ্বেতবীণাধরা শুভ্রা শ্বেতালঙ্কারভূষিতা
সরস্বতী দেবী হলেন জ্ঞান, সংগীত, শিল্পকলা, বুদ্ধি ও বিদ্যার হিন্দু দেবী। মাঘ মাসের পঞ্চমী তিথিতে পালিত হয় সরস্বতী পুজো। দেশের বিভিন্ন রাজ্যে এই দিনটি বসন্ত পঞ্চমী হিসেবে পরিচিত। এই দিন থেকে শীত ঋতুর অবসানে বসন্তের শুভ আগমন বার্তা ধ্বনিত হয়।
ঋতুশ্রেষ্ঠ বসন্তের প্রাদুর্ভাবে সমস্ত পৃথিবী ফুল ও ফলের সমৃদ্ধতায় ভরে ওঠে, সেই তিথিতে আবির্ভাব ঘটে শ্রীকৃষ্ণের শক্তি রূপিনী মাতা সরস্বতীর। সৃষ্টির প্রারম্ভে ব্রহ্মা যখন চতুর্দিকে অন্ধকারে মোহাচ্ছন্ন হয়ে পড়েছিল, তখন স্বয়ং ভগবানের আজ্ঞা অনুসারে জ্ঞান ও বিদ্যার দেবী মাতা সরস্বতী আবির্ভূত হন এবং ব্রহ্মাকে আধ্যাত্মীক জ্ঞান লাভের জন্য তপস্যা করার পরামর্শ দেন।
সেই কাল থেকেই পৃথিবীর সবত্রই প্রকৃত আধ্যাত্মীয় জ্ঞান আন্বেষনের আশায় বিদ্যার্থী সহ সংগীত প্রেমী ও বাদ্যযন্ত্র বাদকরা মায়ের চরণ বন্দনা করে আসছেন, যার প্রচলন আজও আমরা দেখতে পাই।
পঞ্জিকায় চোখ রাখলে দেখা যাবে দিনটি শ্রীপঞ্চমী বলে উল্লেখ করা হয়েছে। আমরা জানি ‘শ্রী’ হল লক্ষ্মী দেবীর অপর নাম। দেবী সরস্বতীর আশীর্বাদে বিদ্যালাভ যাতে জীবনকে শ্রীমন্ডিত করে জীবনের লক্ষ্য স্থির করে দেয় তাই সরস্বতীর হাতে যবের শিস দিয়ে তাতে লক্ষ্মীত্ত্ব অর্পণ করা হয়। তাই দিনটি শ্রীপঞ্চমী।
দ্য অফনিউজ'এর পক্ষ থেকে সকলকে জানাই সরস্বতী পুজোর প্রীতি, শুভেচ্ছা ও আন্তরিক অভিনন্দন।
(www.theoffnews.com - Saraswati pujo)
Post A Comment:
0 comments so far,add yours