দেবর্ষি মজুমদার, লেখক, বীরভূম:
রিল ও রিয়েল লাইফ কদাচিৎ মেলে। আর যখন মেলে, তখন বিস্ময়ের অবকাশ থাকে না। মঙ্গলবার নলহাটির নতুন গ্রামে মাহাফুজা খাতুন ও এন্তাজুল মোল্লার সাদি মনে করিয়ে দেয় গুলজারের কৌসিস ছায়াছবির কথা। চলচ্চিত্রমোদীরা আজও অনেকেই ভুলতে পারেন না সেই সিনেমায় জয়া ভাদুরী ও সঞ্জীব কুমার জুটির দুজনের বোবা কালার অনবদ্য অভিনয়। বাস্তব জীবনে এই মূক ও বধির জুটি আমাদের সকলকে বুঝিয়ে দিয়েছেন, মুখের ভাষা না থাকলেও মনের ভাষা পড়ে নিতে কোন অসুবিধা হয় না। খেলা সূত্রে মাহাফুজা ও এন্তাজুলের পরিচয়। তাই পরস্পরকে বুঝতে তাঁদের কোন অসুবিধা হয়নি!
নলহাটির নতুন গ্রামের মাহফুজা খাতুন একজন ভালো সাঁতারু ও অ্যাথলিট। সাত আট বছর আগে রাজ্যস্তর সাঁতার প্রতিযোগিতায় দ্বিতীয় স্থান অধিকার করেন তিনি। দৌড় প্রতিযোগিতায়ও একবার দ্বিতীয় স্থান অধিকার করেন তিনি। অন্যদিকে, এন্তাজুল মোল্লা একজন ভালো খেলোয়ার ছিলেন। বাড়ি হাওড়া জেলার ডোমজুড়ে। মঙ্গলবার একটি সুন্দর অনুষ্ঠানের মধ্যে বিয়ে সম্পূর্ণ হলো। জানা গেছে, মাহাফুজা ও এন্তাজুলের মনের কথা জানতে পারেন তাঁদের কোচ মহঃ বদরুদ্দোজা সাহেব। তিনিই দুটি পরিবারের সাথে কথা বলেন। মাহফুজার বাবা আব্দুল লতিফ চেয়েছিলেন তার এই মেয়ের বিয়ে একজন কথা বলতে পারে এমন সুস্থ স্বাভাবিক কোন ছেলের সাথে বিয়ে হোক। কিন্তু মাহাফুজা সেটা চাননি। কারণ তার মূক ও বধির বড় বোন রুবিনা খাতুনের ষোলো বছর আগে ডেঠারামপুরে বিয়ে হয়েছিল একজন সুস্থ স্বাভাবিক ছেলের সাথে। তাঁদের দুই পুত্র সন্তানও হয়। কিন্তু সে বিয়ে টেকেনি। সেই তিক্ততার অনুভূতি থেকেই তথাকথিত সুস্থ স্বাভাবিক ছেলের সাথে ঘর বাঁধতে চাননি সুন্দরী মাহাফুজা। মিয়া বিবি রাজী তো কেয়া করে গা কাজী। শেষ পর্যন্ত মধুরেণ সমাপয়েৎ।
(www.theoffnews.com - married a couple physical handicapped)
Post A Comment:
0 comments so far,add yours