ইসহাক খান, মুক্তিযোদ্ধা, কথাসাহিত্যিক ও কলামিস্ট, বাংলাদেশ:
দলের সিদ্ধান্ত সবাইকে জানানো হয় না। কাছের কয়েকজন জানতে পারেন দল এখন কি সিদ্ধান্ত নিচ্ছে। কিন্তু আমরা জেনে যেতাম। কারণ কমান্ডারের কাছের মানুষ ছিলেন আমাদের প্রাণ ভ্রমরা রফিকুল আলম, আমার সুকুর মামু। মামুর মুখে জানতে পারলাম দল এই এলাকা ছেড়ে সিরাজগঞ্জের পূর্ব অংশে যাবে। সেখান থেকে শহর আক্রমণ অনেক সহজ হবে। একজনকে যাওয়ার রাস্তায় রেকি করতে পাঠানো হয়েছে। সে ফিরে এসে জানাবে কোন পথ আমাদের জন্য নিরাপদ। সে ফিরলে তার রিপোর্ট পর্যালোচনা করে দল এডভান্স করবে।
রেকির কাজটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ এবং ঝুঁকিপূর্ণ বটে। একজন ব্যক্তি বিপদ মাথায় করে গিয়ে ওই স্থান সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে আসবে। ভুল রেকির কারণে পুরো দল বিপদে পড়তে পারে। বেঘোরে প্রাণ হারাতে পারে অনেক মুল্যবান দেশপ্রেমিক যোদ্ধা। আবার রেকি করতে গিয়ে ওই লোকটি শত্রুর হাতে ধরা পড়তে পারে। সে ক্ষেত্রে উভয়ের বিপদ।
সন্ধ্যার পর নির্দেশ এলো দল মার্চ করবে। আমি মলয়কে জিজ্ঞেস করলাম, ‘আজকের পাসওয়ার্ড কিরে?’
মলয় বললো, ‘উত্তম কুমার।’
পাসওয়ার্ড হলো দলের গোপন সংকেত। এই সংকেতের মাধ্যমে দলের নিজস্ব কর্মীদের চিহ্নিত করা হয়। প্রতিদিন নতুন নতুন সংকেত দেওয়া হয়। সেটা কিন্তু সবাইকে ডেকে ঘোষণা দিয়ে দেওয়া হয় না। সংকেতটি কানে কানে সবার কাছে পৌঁছে যায়। আমি আবার এই পাসওয়ার্ড মনে রাখতে পারি না।
আমরা প্রস্তুত হয়ে যার যার অস্ত্র কাধে নিয়ে পথে নামলাম। আসগর এলএমজির সহকা্রি হয়ে গেল। দলে একটি মাত্র এলএমজি। সেটি চালাতো সিরাজগঞ্জ শহরের বাসিন্দা আলতাফ হোসেন। এলএমজি একা চালানো যায় না। একজন সহকারি লাগে। তৌহিদ ভাইয়ের দলে যোগ দিয়ে আসগর এলএমজি চালানোর সুযোগ পেয়ে গেল। দুজন মিলে এলএমজি চালাবে। কখনও আসগর কখনও আলতাফ। এলএমজি [লাইট মেশিন গান], এমএমজি [মিডিয়াম মেশিন গান] এই ভারী অস্ত্র চালানো খুবই রিস্ক। শত্রু পক্ষের মূল টার্গেট হয় তারা। এই জন্যে তাদের একই পজিশনে থেকে যুদ্ধ করা সম্ভব হয় না। বিশেষ করে এমএমজি-বার বার পজিশন চেঞ্জ করতে হয়। সমস্যা বাঁধে এই এমএমজি নিয়ে। পজিশন চেঞ্জের সময় এর আলাদা আলাদা অংশ দ্রুত খুলে ফেলতে হয়। গেরিলা যোদ্ধাদের তাই এমএমজির মতো ভারী অস্ত্রের ট্রেনিং দেওয়া হয়নি।
আমাদের রুটিং ওয়ার্ক ছিল যার যার অস্ত্র নিয়মিত পরিস্কার করা। যেদিন যুদ্ধ করতাম শেল্টারে ফিরেই অস্ত্র খুলে ফুলতুরুর সঙ্গে গান ওয়েল মিশিয়ে ব্যারেল এবং চেম্বার পরিস্কার করার কাজে লেগে পড়তাম। গেরিলা যোদ্ধাদের সব সময়ের জন্য প্রস্তুত থাকতে হয়। যে কোন মুহূর্তে তাকে শত্রুর মুখোমুখি হওয়া লাগতে পারে। তখন একজন যোদ্ধার একমাত্র ভরসা তার অস্ত্র। সেই অস্ত্র যদি তখন কাজ না করে সেই মুহূর্তে একজন সৈনিকের কি যে অসহায়ত্ব তা কেবল সেই সৈনিকই অনুধাবন করতে পারে।
ফুলতুরু দিয়ে আমরা অস্ত্র পরিস্কার করতাম। এই ফুলতুরু বিষয়টি আসলে কি, এটার অফিসিয়াল নাম কি, সেটা আমাদের ধারণা দেওয়া হয়নি। আমাদের বলা হয়েছে এটা ফুলতুরু। অস্ত্র পরিস্কারের কাজে ব্যবহৃত হয়। সরু লম্বা নাইলনের সূতার মাথায় ফুলের মতো গোলাকার একটি বস্তু। সেটাও নাইলনের সূতায় তৈরি। সূতার ওই গোলাকার ফুলটি গান ওয়েলে ভিজিয়ে ব্যারেলে ঢুকিয়ে, একজন অস্ত্র ধরে থাকে আরেকজন সূতা ধরে টেনে ব্যারেল দিয়ে বের করে। এইভাবে ব্যারেলে জমে থাকা গ্যাস পরিস্কার করা হয়। গ্যাস বেশি জমলে ব্যারেল জ্যাম হয়ে যায়। তখন ট্রিগার চাপলেও গুলি বের হয় না। যুদ্ধক্ষেত্রে এমন ভয়াবহ ঘটনা ঘটতে দেখেছি আমরা। হাতিবান্ধা যুদ্ধে আমাদের একমাত্র এলএমজিটি হঠাৎ বন্ধ হয়ে গিয়েছিল। যুদ্ধের সেই ক্রিটিক্যাল মুহূর্তে এলএমজি-ম্যান বাবলু-যাকে সবাই পাঞ্জাবী বাবলু বলে ডাকতো। দেখতে পাঞ্জাবীদের মতো লম্বা, লালচে গায়ের রঙ। সেই কারণে তার নাম হয়ে যায় পাঞ্জাবী বাবলু। বাবলু এমনই দুঃসাহসিক যোদ্ধা যে, যুদ্ধের সেই ক্রিটিক্যাল মুহূর্তে এলএমজি খুলে গামছা দিয়ে পরিস্কার করে তখন তখনই সেটা আবার জোড়া লাগিয়ে যুদ্ধ চালিয়ে গেছে।
ব্যারেল জ্যাম হয়ে অস্ত্র বন্ধ হওয়ার তিক্ত অভিজ্ঞতা আমরা প্রত্যক্ষ করেছি। সেই থেকে আমরা সাবধান। অবশ্য প্রশিক্ষণের সময় ওস্তাদ আমাদের অস্ত্র খোলা এবং জোড়া লাগানোর বিষয়ে বিশেষ জোর দিতেন। আমাদের প্রশিক্ষণের সময় যেদিন যে অস্ত্রের ফায়ার প্রাকটিস করতাম পরক্ষণে সেই অস্ত্র খোলা এবং জোড়া লাগানোর প্রশিক্ষণ চলতো। সেটা একাধিক দিন করতে হতো। কারণ একদিন বা দুদিনের ট্রেনিংয়ে অস্ত্র খোলা এবং জোড়া লাগানোর বিষয়টি সবাই মনে রাখতে পারতো না।
যুদ্ধের সময় আমাদের গান ওয়েল দেওয়া হয়নি। বিকল্প হিসেবে আমরা কেরোসিন এবং নারকেলের তেল মিশিয়ে গান ওয়েল তৈরি করতাম। তাতে দিব্বি কাজ চলে যেত। বাঙালির প্রখর মেধার অভিনব আবিস্কার।
স্বাধীনতার পর অনেক মুক্তিযোদ্ধাকে দেখেছি যুদ্ধের গল্প বলতে বলতে আবেগে তাদের গল্পের নৌকা পাহাড় দিয়ে উড়িয়ে নিয়ে গেছে। বলতে বলতে এতটাই আবগ তাড়িত হয়ে পড়েছে যে, একদম বাস্তবতা ভুলে গেছে। অবচেতনে বলে গেছে, ‘আমি অমুক ভারী অস্ত্র চালিয়েছি, তমুক ভারী অস্ত্র চালিয়েছি।’ যাদের কাছে এই গালগল্প তারা করতো তাদের অস্ত্র সম্পর্কে কোন ধারণা ছিল না। তাই তারা এই গালগল্প মন্ত্রমুগ্ধের মতো শুনতো আর বোকার মতো হাততালি দিত। সেখানে যদি কোন প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত দক্ষ সৈনিক এসে জিজ্ঞেস করতো, ‘আপনি কি রেজিমেন্টের কোন সৈনিক? ওই ভারী অস্ত্রের প্রশিক্ষণ শুধু রেজিমেন্টের নিয়মিত বাহিনীকে দেওয়া হয়। তাহলে প্রশিক্ষণ ছাড়া ওই ভারী অস্ত্র আপনি চালালেন কিভাবে? ওই ভারী অস্ত্র নিয়ে যুদ্ধের ময়দানে ঘন-ঘন পজিশন চেঞ্জ করতে হয়। তখন ওই ভারী অস্ত্রের বিভিন্ন যন্ত্র খুলে নতুন পজিশন গিয়ে আবার তা জোড়া লাগাতে হয়। আপনার ওই ভারী অস্ত্রের প্রশিক্ষণ নাই, আপনি যুদ্ধের সময় সেই অস্ত্র খুললেন এবং জোড়া লাগালেন কিভাবে?’ এই প্রশ্নগুলো করলে তখন কিন্তু ওই গালগল্পের সব জারিজুরি ফাঁস হয়ে যেত। সেটা কে করবে? ভাবখানা যে, বলতেছে বলুক, বলে যদি একটু আনন্দ পায় তাতে অসুবিধে কি? এইভাবে সবাই ব্যাপারটা হাল্কাভাবে এড়িয়ে গেছে। কিন্তু এই গল্প যদি কেউ অন্তরে বাস্তবতার নিরিখে লালন করে তাহলে পরিস্থিতি জটিল হতে বাধ্য। যেমন হয়েছে এবারের মুক্তিযোদ্ধা যাচাই বাছাইয়ের দিনে। আমার সহযোদ্ধা বন্ধু জহুরুল কথায় কথায় একটি মজার ঘটনা বলেছে। চলতি বছরের [২০২১] জানুয়ারিতে মুক্তিযোদ্ধাদের যাচাই বাছাই কার্যক্রমে ইন্টার্ভিউ দিতে এসে একজন ব্যক্তি নিজেকে প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধা প্রমাণ করতে গিয়ে এমন সব অস্ত্রের নাম বলেছে, যা শুনে মুক্তিযোদ্ধা জহুরুলের বুক ভেঙে হাসি পেয়েছিল যে হাসতে হাসতে সে ওই স্থান ত্যাগ করতে বাধ্য হয়েছে। ওই ব্যক্তি বলছিল, সে নাকি যুদ্ধে ভারী ভারী মেশিন গান চালিয়েছে। এইসব অস্ত্র চালিয়ে শত শত পাকআর্মি মেরেছে। যাচাই বাছাইয়ের টেবিলে তার ডাক পড়ার আগে উল্লাপাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার অফিসের বারান্দায় দাঁড়িয়ে আগত লোকজনের সামনে গলাবাজি করছিল সেই লোকটি। জহুরুল বললো, ‘তার কথা শুনে আমার ভীষণ লজ্জা লাগছিল আবার হাসিও পাচ্ছিল ভীষণ।’
আমি জহুরুলকে জিজ্ঞেস করলাম, ‘তুই কিছু বলতে পারলি না? জিজ্ঞেস করলি না, আচ্ছা ভাই, ভারী ভারী অস্ত্রগুলো দেখতে কেমন? আপনি দেখেছেন কখনও? ভাইজান, আপনি ওই ভারী অস্ত্রের কোথায় ট্রেনিং নিয়েছেন? আসমানে না পাতালে?’
জহুরুল বললো, ‘কি বলবো, যেভাবে সে সিংহের মতো গর্জন করছিল, কিছু বলতে গেলে অযথা ঝগড়া বেঁধে যেত। তাই কিছু বলিনি।’
জাতির কি দুর্ভাগ্য, স্বাধীনতার ৫০ বছরে এসেও মুক্তিযোদ্ধা যাচাই বাছাই হচ্ছে। সাক্ষী দিয়ে নতুন করে মুক্তিযোদ্ধা বানানো হচ্ছে। স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তী চলছে অথচ এখন পর্যন্ত কোন সরকারই মুক্তিযোদ্ধাদের সঠিক তালিকা তৈরি করতে পারলো না।
সুকুর মামুর কাছে জানতে পারলাম রেকির দায়িত্ব যার উপর ছিল সে ফিরে এসেছে। আমরা সিরাজগঞ্জ শহরের দক্ষিণে রায়পুর রেলস্টেশনের উত্তর পাশ দিয়ে রেললাইন ক্রস করে ওপার ওয়াপদা বাঁধে গিয়ে উঠবো। তারপর চলে যাব যমুনার চরের দিকে। রায়পুর স্টেশনে নাকি রাজাকারদের ক্যাম্প আছে। অতএব আমাদের ওই সময় খুব সাবধানে রেললাইন ক্রস করতে হবে।
লম্বা লাইন ধরে আমরা নিঃশব্দে হেঁটে যাচ্ছি। যাত্রার এই সময় কথা বলা এবং ধূমপান করা বারণ। বিড়ি সিগারেটের আগুন বহুদূর থেকে দেখা যায়।
এই সময় একটি আখ ক্ষেতের পাশ দিয়ে হেঁটে যাচ্ছিলাম আমরা। আখের দিকে ইশারা করে নিচু গলায় মলয় বললো, ‘হবে নাকি একচোট?’
বললাম, ‘হলে মন্দ হতো না। কিন্তু কমান্ডারের কানে গেলে অবস্থা বেগতিক হবে।’
মলয়ের এই সাংকেতিক কথা হয়তো অনেকেই বুঝতে পারেননি। তাহলে একটু খোলাসা করা যাক। আমরা তখন কাজিপুর থানার একটি গ্রামে অবস্থান করছি। আমাদের অবস্থানের কাছাকাছি, গ্রামের পশিমে একটি আঁখের ক্ষেত। এই আঁখ খাওয়ার ব্যাপারে আমার এবং মলয়ের বিশেষ দুর্বলতা আছে। আমরা দুজন অন্যদের দৃষ্টি ফাঁকি দিয়ে একটি আঁখ ক্ষেতে এসে আঁখ ভেঙ্গে খেতে শুরু করি। আমরা আঞ্চলিক ভাষায় আঁখকে বলি ‘কুশল’ বা ‘কুইশাল’। আমরা দুজন জমির আলে বসে দাঁত দিয়ে আঁখ ছিলিয়ে মজা করে খাচ্ছি। মজা খুব বেশি হচ্ছিল না। কারণ আঁখগুলো ছিল ভীষণ শক্ত। দাঁত দিয়ে ছিলতে ভীষণ কষ্ট হচ্ছিল। ঠোঁটের দু’এক পাশ কেটে যাচ্ছিল। হঠাৎ সেখানে গাট্টা-গোত্তা এক লোক এসে হাজির। হাতে দা। এসে ভারী গলায় আমাদের জিজ্ঞেস করলেন, ‘আপনারা কারা?’
বললাম, ‘ভাই, আমরা মোসাফির। আমাদের কোন ঘর বাড়ির ঠিকানা নাই।’
লোকটি হেসে বললেন, ‘বুঝছি। আপনারা মুক্তিফৌজ। আপনাদের কয়েকজন আমার বাড়িতেও আশ্রয় নিছে।’
আমরা এবার আশ্বস্ত হলাম। তাহলে ধরা পড়ার ভয় নেই। লোকটি এবার আমাদের অবাক করে দিয়ে বললো, ‘এই কুশল কেমনে খাইতাছেন। এ কুশলতো লোহার মতো শক্ত। এ কুশল আমরা মেশিনে ভাঙ্গাইয়া গুড় বানাই। আপনারা আমার সাথে আসেন। আমি আপনাদের ভাল জাতের কুশল কাইটা দিতাছি।’
লোকটি আমাদের দু’তিন ক্ষেত পর অন্য একটি আঁখ ক্ষেতে নিয়ে গেল। দু’টো মোটা লম্বা কুশল কেটে দা দিয়ে গোঁড়া ছাপ করে টুকরো টুকরো করে দিলেন। খেতে গিয়ে দেখলাম সত্যি-সত্যি কুশলগুলো নরম, মিষ্টি এবং প্রচুর রস। আমরা দাঁত দিয়ে আঁখের ছোগলা ছাড়িয়ে মড়-মড় করে খাচ্ছি আর লোকটি অপলক দৃষ্টিতে হাসিমুখে আমাদের দিকে তাকিয়ে আছে। মুহূর্তে আমাদের কুশল খাওয়া শেষ। লোকটি হাসি মুখে জিজ্ঞেস করলো, ‘আরও খাইবেন?’
বললাম, ‘না, থাক। বেশি খেলে আবার ভাত খেতে সমস্যা হবে।’
সে কি বুঝলো, সেই জানে। বললো, ‘অসুবিধা নাই। এ জমি আমার। আপনারা যত ইচ্ছা খাইতে পারেন। কেউ কিচ্ছু কবে না।’ এই বলে সে আরও দু’টো মোটা সরল দেখে আঁখ কেটে টুকরো-টুকরো করে আমাদের দিল। আমরা খাচ্ছি আর মজা করছি তাই দেখে আনন্দে হাসছে লোকটি। যেন আমাদের আঁখ খাওয়াতে পেরে তার আনন্দের সীমা নেই।
এই আমাদের দেশের সাধারণ জনগণ। স্বাধীনতা যুদ্ধে তাদের ত্যাগেই যুদ্ধ দ্রুত তরান্বিত হয়েছে লক্ষের দিকে। তারা শুধু ত্যাগই করেছে বিনিময়ে পায়নি কিছুই। [চলবে]
(ছবি সৌজন্যে প্রতিবেদক স্বয়ং)
(www.theoffnews.com - Bangladesh muktijuddho)
Post A Comment:
0 comments so far,add yours