সাজিয়া আক্তার, রেসিডেন্সিয়াল এডিটর (বাংলাদেশ), দ্য অফনিউজ:

গর্ভবতী মায়েদের উচিত একটি সুস্থ, মেধাবী ও স্বাভাবিক শিশুর জন্মের জন্য চেষ্টা করা। এজন্য পুষ্টিকর খাবার গ্রহণের পাশাপাশি নিজের জীবনাচরণের ইতিবাচক পরিবর্তন আনা প্রয়োজন।

১. জাফরান দুধ: অনেক মহিলা গর্ভবতী অবস্থায় জাফরান দেয়া দুধ পান করে থাকেন। মনে করা হয় জাফরান গর্ভের শিশুর গায়ের রং ফর্সা করে।

২. নারিকেল: প্রচলিত ধারণা অনুযায়ী নারিকেলের সাদা শাঁস গর্ভের শিশুর বর্ণ ফর্সা করে। তবে গর্ভাবস্থায় অতিরিক্ত নারিকেল খাওয়া মোটেই স্বাস্থ্যসম্মত নয় খেতে পারেন, তবে পরিমিত। 

৩. দুধ: গর্ভবতী মহিলাদের দুধ পান করা অত্যাবশ্যকীয়। দুধ শিশুর শরীর গঠনের জন্য খুবই প্রয়োজনীয়। প্রচলিত ধারণা মোটে দুধও ত্বকের রং ফর্সা করতে সহায়ক।

৪. ডিম: প্রচলিত ধারণা অনুযায়ী বিশ্বাস করা হয় যে, যদি ফর্সা বাচ্চা চান তাহলে গর্ভবস্থার দ্বিতীয় তিন মাসে ডিমের সাদা অংশ গ্রহণ করা উচিত। তবে সত্য এই যে গর্ভাবস্থায় নিয়মিত গোটা ডিম খাওয়া মায়ের জন্য খুব জরুরী। ডিমের অধিকাংশ পুষ্টিগুণ এর কুসুমের মাঝে থাকে। তাই কুসুম খাওয়া বাদ দেয়া চলবে না।

৫. চেরি ও বেরি জাতীয় ফল: চেরি ও বেরি জাতীয় ফলে উচ্চমাত্রার অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট থাকে যা ত্বকের উজ্জলতা বৃদ্ধি করে এবং ত্বকের ক্ষতি রোধ করে। তাই স্ট্রবেরি, ব্ল্যাকবেরি, ব্লুবেরি ইত্যাদি ফল খাওয়া হয় সুন্দর ত্বকের জন্য।

৬. টমেটো: টমেটোতে লাইকোপেন থাকে যা ক্ষতিকর আল্ট্রা ভায়োলেট রে এর বিরুদ্ধে যুদ্ধ করে সূর্যের আলোর ক্ষতিকর প্রভাব থেকে ত্বককে রক্ষা করে। বিশ্বাস করা হয় যে, গর্ভবস্থায় টমেটো খেলে বাচ্চার বর্ণ ফর্সা হয়।

৭. কমলা: কমলা ভিটামিন সি সমৃদ্ধ তাই শিশুর শরীর গঠনের জন্য অপরিহার্য। গর্ভাবস্থায় কমলা খেলে শিশুর ত্বক ভালো হবে।

(www.theoffnews.com - Bangladesh skin colour)

Share To:

THE OFFNEWS

Post A Comment:

0 comments so far,add yours