ইরানী বিশ্বাস, সাংবাদিক, সাহিত্যিক, নাট্যকার ও পরিচালক, বাংলাদেশ:

খবরের পাতাজুড়ে শুধু নারী অবমাননা। কোথাও পুরুষ দ্বারা নির্যাতিত হচ্ছে কোথাও আবার নারীই নারীকে নির্যাতন করছে। এ যেন এক সামাজিক ব্যধি। মানুষ যত বেশি সভ্য হিসাবে আখ্যায়িত হচ্ছে, ততই যেন মনুষত্ব বিবর্জিত হিসাবে তুলে ধরছে।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ক্ষমতায় আসার পর যে বিষয়টির উপর সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দিয়েছেন, তা হলো নারী ও শিশু উন্নয়ণ। আওয়ামী লীগ সরকারকে অনেকটা নারীবান্ধব সরকারও বলা যায়। ১৯৯৬ সালের ১২ জুন জাতীয় নির্বাচনে দেওয়া প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী বর্তমান সরকার দেশে প্রথম বারের মত নারী উন্নয়ন নীতি প্রদান করেছে। কিন্তু ২০০১ সালে বিএনপি সরকার ক্ষমতায় আসার পর সেই নারী নীতি বাতিল করে দেয়। পরবর্তীতে ২০০৯ সালে পুনরায় সরকার গঠনের পর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নারী নীতি চালু করেন। নারীনীতির মধ্যে ছিল, শিক্ষায় নারীদের শতভাগ অংশগ্রহণ নিশ্চিত করা, অর্থনৈতিকভাবে স্বাবলম্বী করে তোলা, নারীবান্ধব কর্মপরিবেশ সৃষ্টি করা, আইন প্রণয়নের মাধ্যমে নারীদের সুরক্ষা ও অধিকার নিশ্চিত করা। এছাড়া রাজনীতিতে নারীদের সক্রিয় অংশগ্রহণকে উৎসাহিত করার জন্য শেখ হাসিনার গৃহীত উদ্যোগ ও সাফল্য অভাবনীয়।

২০১৮-১৯ সালে নারী উন্নয়নে বরাদ্দ ছিল ২৯.৬৫ শতাংশ। এ বছরেও পরিবর্তন হয়নি। বর্তমান প্রধানমন্ত্রী মনে করেন, নারী উন্নয়নের মূল চাবিকাঠি নারীশিক্ষা। তাই নারীদের শিক্ষিত করে তুলতে সরকার বিনামূল্যে ৬-১০ বছর বয়সী সব শিশুকে প্রাথমিক শিক্ষা প্রদানের সুযোগ সৃষ্টি করে দিয়েছে। সরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোতে দ্বাদশ শ্রেণি পর্যন্ত বিনামূল্যে মেয়েরা পড়াশোনা করতে পারছে। মাধ্যমিক পর্যন্ত বিনামূল্যে পাঠ্যপুস্তক বিতরণ করার ব্যবস্থা করা হয়েছে। এ ছাড়া নারী শিক্ষায় আগ্রহ বাড়াতে এবং উৎসাহিত করতে মেয়েদের উপবৃত্তির বিশেষ ব্যবস্থা করা হয়েছে। সম্প্রতি সরকার ঘোষণা করেছে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোতে বিনামূল্যে খাবার বিতরণ করা হবে এবং শিক্ষার্থীরা এককালীন ২০০ টাকা পাবে স্কুলের পোশাক তৈরি করার জন্য। 

সরকারের সপ্তম, পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনায় (২০১৬-২০২০) অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক কর্মকান্ডে সম্পৃক্ত করার মাধ্যমে নারীর ক্ষমতায়ন নিশ্চিতের অঙ্গীকার করা হয়েছে। অর্থনৈতিকভাবে স্বাবলম্বী করে তুলতে জামানত ছাড়াই সর্বোচ্চ ২৫ লাখ টাকা এসএমই ঋণ প্রদানের ব্যবস্থা করা হয়েছে। এছাড়া নারী উদ্যোক্তাদের জন্য বাংলাদেশ ব্যাংক ও এশিয়া উন্নয়ন ব্যাংক থেকে ১০ শতাংশ সুদে ঋণের ব্যবস্থাও করা হয়েছে। 

দুস্থ, অসহায় ও পিছিয়ে পড়া নারীদের জন্য বর্তমান সরকার বহুমুখী প্রকল্প চালু করেছে। এর মধ্যে ভিজিএফ, ভিজিডি, দুস্থ ভাতা, মাতৃত্বকালীন ও গর্ভবতী মায়েদের ভাতা, অক্ষম মা ও তালাকপ্রাপ্তদের জন্য ভাতা, কাজের বিনিময়ে খাদ্য কর্মসূচি, আমার বাড়ি-আমার খামার ইত্যাদি প্রকল্প রয়েছে। কর্মক্ষেত্রে নারীদের অংশগ্রহণকে সহজ করার লক্ষ্যে মাতৃত্বকালীন ছুটি ৪ মাস থেকে ৬ মাস করা হয়েছে। প্রান্তিক নারীদের স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত ও মাতৃত্বকালীণ মৃত্যু কমাতে গ্রামভিত্তিক কমিউনিটি ক্লিনিকের ব্যবস্থা করা হয়েছে। মাতৃস্বাস্থ্য ভাউচার স্কিমের আওতায় গর্ভধারণ থেকে প্রসবকালীন সব খরচ, এমনকি যাতায়াত খরচও এখন সরকার বহন করে। বাংলাদেশে প্রথম নারী উপাচার্য, প্রথম নারী পর্বতারোহী, প্রথম বিজিএমইএ নারী সভাপতি, প্রথম সংখ্যালঘু নারী মেজর, প্রথম নারী স্পিকার, প্রথম নারী স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী হওয়ার পেছনে যার অনুপ্রেরণা রয়েছেন তিনি আর কেউ নয়, বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

রাজনীতিতে নারীর অংশগ্রহণকে সুসংহত করার জন্য জাতীয় সংসদে নারী আসনের সংখ্যা আরও পাঁচটি বাড়িয়ে ৫০টি করা হয়েছে। স্থানীয় পর্যায়ে অনেক নারীকে মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে। ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনেও প্রত্যক্ষ ভোটের মাধ্যমে ১২ হাজারের বেশি নারী জনপ্রতিনিধি নির্বাচন করা হয়েছে।

১৯৭২ সনে নবগঠিত রাষ্ট্র বাংলাদেশের সংবিধান রচিত হয়। জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রত্যক্ষ নির্দেশনায় রচিত এ সংবিধানে নারীর মানবাধিকার ও মৌলিক স্বাধীনতা নিশ্চিত করা হয়েছে। সংবিধানের ২৭ ধারায় উল্লেখ আছে যে, “সকল নাগরিক আইনের দৃষ্টিতে সমান ও আইনের সমান আশ্রয় লাভের অধিকারী”। ২৮(১) ধারায় রয়েছে, কেবল ধর্ম, গোষ্ঠী, বর্ণ, নারী-পুরুষ ভেদে বা জন্মস্থানের কারণে কোন নাগরিকের প্রতি রাষ্ট্র বৈষম্য প্রদর্শন করিবে না”। 

১৯৭৫ সনে মেক্সিকোতে অনুষ্ঠিত প্রথম বিশ্ব নারী সম্মেলনে বাংলাদেশ সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করে। ফলশ্রুতিতে দেশের বাইরে নারী উন্নয়নের যে আন্দোলন চলছিল তার মঙ্গল স্রোতধারায় বাংলাদেশ যুক্ত হয়। বাংলাদেশে নারী সমাজ উন্নয়নের যে অবস্থানে রয়েছে তার ভিত্তি এই উদ্যোগের ফলে রচিত হয়।

জাতিসংঘ নারীর রাষ্ট্রীয়, সামাজিক, রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক উন্নয়ন ও ক্ষমতায়নের লক্ষ্যে ১৯৭৫ সালকে ‘নারী বর্ষ’ হিসেবে ঘোষণা করে। ১৯৭৫ সালে প্রথম বিশ্ব নারী সম্মেলনে ১৯৭৬-১৯৮৫ সালকে নারী দশক হিসেবে ঘোষণা করা হয়। নারী দশকের লক্ষ্য ছিল সমতা, উন্নয়ন ও শান্তি। প্রথম পাঁচ বছরের অগ্রগতি পর্যালোচনা করে, নারী দশকের আওতায় আরও তিনটি লক্ষ্য শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও কর্মসংস্থান চিহ্নিত হয়। গৃহীত কর্মপরিকল্পনায় নারী ও শিশু উন্নয়ন ও তাদের অধিকারের উপর সর্বোচ্চ গুরুত্ব আরোপ করা হয়। এ সকল সনদ ও কর্মপরিকল্পনায় বাংলাদেশ অনুস্বাক্ষর এবং এগুলোর বাস্তবায়নে অঙ্গীকার করেছে। জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে শিশুদের মৌলিক অধিকার নিশ্চিত করার লক্ষ্যে ১৯৮৯ সালে গৃহীত শিশু অধিকার সনদে স্বাক্ষরকৃত দেশগুলোর মধ্যে বাংলাদেশ অন্যতম।

রাষ্ট্র, অর্থনীতি, পরিবার ও সমাজ জীবনের সকল ক্ষেত্রে নারীর প্রতি সকল প্রকার বৈষম্য দূরীকরণের লক্ষ্যে ডিসেম্বর, ১৯৭৯ সালে জাতিসংঘে নারীর প্রতি সকল প্রকার বৈষম্য বিলোপ সনদ (সিডও) গৃহীত হয় এবং ৩ সেপ্টেম্বর, ১৯৮১ সালে কার্যকর হয়। নারীর জন্য আন্তর্জাতিক ‘বিল অব রাইটস’ বলে চিহ্নিত এ দলিল নারী অধিকার সংরক্ষণের একটি স্বয়ংসম্পূর্ন মানদন্ড বলে বিবেচিত। 

স্বাধীনতা প্রাপ্তির প্রথম সংবিধানে বঙ্গবন্ধু নারী অধিকার আইন প্রাধান্য দিয়েছিলেন। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা’র সরকার বঙ্গবন্ধুর মতোই গুরুত্বের সাথে নারী অধিকার নিশ্চিত করতে সচেষ্ট। নারীর প্রতি সব ধরনের সহিসংতা রোধে ২০১২ সালে প্রণয়ন করা হয়, পারিবারিক সহিংসতা দমন ও নিরাপত্তা আইন’১২। নারীদের সুরক্ষা নিশ্চিত করতে প্রণয়ন করা হয় মানবপাচার প্রতিরোধ ও নিয়ন্ত্রণ আইন’১২। হিন্দু নারীদের অধিকার ও মর্যাদা রক্ষার্থে প্রণয়ন করা হয়েছে হিন্দু বিবাহ নিবন্ধন আইন’১২। এছাড়া মেয়েশিশুদের নিরাপত্তায় প্রণয়ন করা হয়েছে শিশু আইন’১৩। বাল্যবিবাহ নিরোধন করে প্রনয়ন করা হয়, মেয়ে শিশুদের সমাজে অগ্রগামী করার জন্য বাল্যবিয়ে নিরোধ আইন’১৭। সম্পত্তির উত্তরাধিকারে নারী পুরুষের সমান অধিকার নিশ্চিতের অঙ্গীকার করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। নারীর প্রতি সহিংসতা রোধে বর্তমান সরকার জিরো টলারেন্স নীতি গ্রহণ করেছে। 

নারীকে প্রাপ্য সম্মানে ভুষিত করার আন্দোলন, যুগ যুগ অতিবাহিত হচ্ছে। এত আইন এত প্রচেষ্টা, তারপরও কি থেমে আছে নারীর প্রতি বৈষম্য আর সহিংসতা? হেসেল থেকে মহাকাশ সবখানে নারীর সমান বিচরণ। তবুও বিশ্বজুড়ে প্রতিনিয়ত ঘটে যাচ্ছে নারীর প্রতি বৈষম্য, সহিংসতা। তাই নারীর অগ্রগতি ও মর্যাদা অর্জনের লক্ষ্যে থেমে নেই সভা, সেমিনার, প্রতিবাদ, আন্দোলন। রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক ব্যবস্থা, নির্বিশেষে মানুষ হিসাবে নারীর মর্যাদা প্রতিষ্ঠার দাবি এখনও সার্বজনীন। এক দিকে নারীর অগ্রযাত্রা অন্য দিকে প্রতিবন্ধকতা। এই দুই মেরুকরণে নারী পৃষ্ট হচ্ছে প্রতিনিয়ত। 

নারী অর্থাৎ মা বা মৌলিক। একটি সন্তানের একটি গর্ভধারীনি মা। কিন্তু একটি নারী বহু সন্তানের জননী। নারী জন্ম নিচ্ছে নারীর গর্ভে। তারপর ধাপে ধাপে কন্যাশিশু থেকে কিশোরী, যুবতী, বধূ ও জননী। এক নারীর গর্ভে জন্ম হয় নারী ও পুরুষ। আমরা জানি, জন্মের পর থেকে একটি শিশুর শিক্ষাজীবন শুরু হয়। প্রত্যেক শিশুর প্রথম শিক্ষক তার মা। মায়ের মতামত বা দৃষ্টিভঙ্গিতে একই

সমাজে মায়ের দুইটি সন্তান ছেলে ও মেয়ে বেড়ে ওঠে। পুরানো প্রথানুযায়ী জন্মের পর গর্ভজাত সন্তানের প্রতি মায়ের দৃষ্টিভঙ্গি বদলে যেতে থাকে। মা তার ছেলে সন্তানকে একজন শাসক বা রক্ষক হিসাবে দেখতে পছন্দ করেন। আর একজন মেয়ে সন্তানকে সুন্দরের প্রতীক হিসাবে দেখতে পছন্দ করেন। মেয়ে হলে মা তার চুলটা একটু বড় করেন। মার্কেট থেকে দুটি ছোট্ট ক্লিপ কিনে দেন। কেউ গিফট হিসাবে একটা পুতুল কিনে দেন। আবার ছেলেকে খেলনা হিসাবে বল, গাড়ি, ব্যাট কিনে দেন। মা ভালবেসে নিজের অজান্তে ছেলে এবং মেয়ের মধ্যে বিভাজন তৈরি করে দেন। 

ছেলে সন্তান যদি বড় হয় তাহলে সব সময় মা নিজের মেয়েকে বলে দেন, ও তোমার বড় ভাই, সে যা বলবে মেনে চলবে। আবার ছেলে যদি ছোট হয়, তাহলে মেয়েকে বলেন, ও তোমার ছোট ভাই, একটু তো পাগলামী করবে, তোমাকে সহ্য করতেই হবে। তাছাড়া ছেলেরা মা ভক্ত হয়, আর মেয়েরা বাবা ভক্ত। ছেলের যত রকম অন্যায় আবদার মায়েরাই সবসময় পূরণ করেন। সংসারে বাবাকে না জানিয়ে একজন মা তাঁর ছেলের জন্য যত অন্যায় আবদার পূরণ করেছেন, বোধকরি এর কিয়দংশ কোন মা তার মেয়ের জন্য করেছেন কি না সন্দেহ। কারণ মা অর্থাৎ নারী হচ্ছেন শক্তির প্রতীক। তাই মায়ের আশীর্বাদতুষ্ট হয়ে ছেলেরা শক্তিশালী হয়ে ওঠে। আর এভাবেই একজন মা তার ছেলে এবং মেয়ের মধ্যে বৈষম্য ও সহিংস করে গড়ে তোলেন।

ছেলেকে বিয়ে দিয়ে একটি মেয়ে আনা হয় সংসারে। নববিবাহিত নববধূর চিরকালের প্রতিপক্ষ শাশুড়ি, ননদ, জা। কে কতোবার শুনেছেন কোন শ্বশুরের সাথে নববধূর দ্বন্দ্ব হয়েছে। সংসারে একটি মেয়েকে শৃংখলিত করার সবরকম নিয়ম কানুন যুগে যুগে মেয়েরাই তৈরি করেছেন। আর তা বাস্তবায়ন করতে পুরুষের হাতে সে আইন তুলে দিয়েছেন। মেয়েরা নিজেদের অজান্তে নিজেরাই শৃংখলে আটকে আছেন যুগের পর যুগ। ঠিক এভাবে পরিবার, সমাজ, দেশ, বিশ্ব একই নিয়মের বেড়াজালে আটকে আছে। আজকে পার্লামেন্টে যে ছেলেটি নারী অধিকারের পক্ষে কথা বলেন। তিনি একজন নারীর গর্ভজাত সন্তান। আবার যে ছেলেটি রাস্তায় নারীকে ধর্ষন করে বা কোর্টে ধর্ষকের পক্ষে আইনজীবি বা সাক্ষী হিসাবে কথা বলেন তারা প্রত্যেকেই নারীর গর্ভজাত সন্তান। পার্থক্য শুধু তাদের প্রত্যেকের মায়ের আদর্শ বা দৃষ্টিভক্তির।

পরিবার হচ্ছে সন্তানের প্রথম এবং প্রধান স্কুল। আর মা হচ্ছেন প্রধান শিক্ষক। স্কুলের শিক্ষক কখনো চরিত্র গঠনকরে দিতে পারে না। সন্তানের চরিত্রের আদর্শ গঠন করেন একজন মা। মায়ের কাছে সন্তান প্রথম জানতে পারেন, শিক্ষককে শ্রদ্ধা করতে হয়। পরিবার তথা সমাজের বয়ঃজেষ্ঠ্যরা সম্মানীয় ব্যক্তি। পরের জিনিস চুরি করা বা মিথ্যা বলা অন্যায়। আগুনে হাত দিলে হাত পুড়ে যায়। অন্যায়কে অন্যায় এবং ন্যায়কে ন্যায় হিসাবে  মায়ের কাছ থেকে সন্তান প্রথম শিক্ষা লাভ করে। ফরাসি সমাজতন্ত্রের প্রথম কনসল ‘নেপোলিয়ন বোনাপার্ট’ বলেছিলেন, ‘তুমি আমাকে একজন শিক্ষিত মা দাও, আমি একটি শিক্ষিত জাতি দেবো’। এখানে শিক্ষিত মা বলতে বড় বড় ডিগ্রিধারী মা নয়। একজন আদর্শ মায়ের কথা বলেছেন। যে মা তার সন্তানকে সু-নাগরিক হিসাবে গড়ে তুলবেন। সেই আদর্শ মায়ের সন্তানেরা নারীর প্রতি কখনো সহিংসতা করবে না। নারীকে সম্মান করতে শিখবে। সুন্দর পৃথিবী গড়ে তুলবে। যে ছেলে সন্তান পরিবারের নারীকে সম্মান করতে শেখে না, সে কখনোই সমাজ তথা বিশ্বের কোন নারীকে সম্মান করতে জানে না। একজন নারী যখন একজন আদর্শ মা হবে, সেদিন পৃথিবীতে কোন নারীর অধিকার নিয়ে আন্দোলন করতে হবে না। 

তাই ঘরে ঘরে দরকার নারী শিক্ষা। যাতে প্রত্যেকটি নারী এক একজন আদর্শ মা হতে পারে। নাগরিক সচেতনতাই নারী ও শিশু উন্নয়নে প্রধান ভুমিকা রাখে।

(www.theoffnews.com - Bangladesh Mother Sekh Hasina women child)

Share To:

THE OFFNEWS

Post A Comment:

0 comments so far,add yours