দীপ্তেন্দু চক্রবর্তী, প্রবাসী লেখক, টরোন্টো, কানাডা:

কখনো নতুন সরকার যদি আসে এক নতুন বিধানচন্দ্র রায়ের মতো মুখ্যমন্ত্রী নিয়ে তবে রাজ্যের সংখ্যালঘুদের অনেক উন্নতি করা যায়। আমাদের আদিবাসী, শবর, লোধা, চা বাগানের গরিব মানুয়ষরা, মুসলিম পরিবাররা খুব অভাবে থাকেন। অনাহারে থাকেন। সরকারের প্রথম কাজ হবে প্রতিটি আয় হীন পরিবারকে একটা কাজ দেওয়া যাতে তার পরিবার অনাহার থেকে বাঁচে। যে কোনো কাজ পরিবারের একজনকে দেওয়া আবশ্যক। এবং এইসব পরিবারের প্রতিটি ছেলে মেয়েদের বাধ্যতামূলক স্কুলের ব্যবস্থা করা। এটা করতেই হবে।

রাস্তার মানুষের জন্য আশ্রম: এই পরিকল্পনা আমার বহুদিনের। এই মানুষেরা কোথা থেকে আসে? দেখবেন সারা কলকাতা শহরের বিভিন্ন জায়গায় এরা থাকে। ব্রিজের তলায়, রাস্তায়। শিশুরা রাস্তায় ঘুমায়, ভিক্ষা করে। যেকোন মন্দির মসজিদের সামনে ভিখারিরা বসে থাকে। এখন নতুন সরকার যদি পাঁচ বছরের পরিকল্পনা নেয় যে এদের তুলে আশ্রমে রাখা হবে নানা পরিকল্পনার মাধ্যমে, সেটা করা যায় যদি সরকার চান। একটা এই বিষয়ক দপ্তর খুলতে হবে যেখানে এই দপ্তরের লোকেরা নানা কাজ করবে। 

১) প্রতিটি মিউনিসিপালিটি তাদের এলাকাতে কত ভিক্ষুক আছে, কত মানুষ রাস্তায় থাকে তার একটা হিসাব দেবে। এই গণনা হবে ছেলে/মেয়ে/ বৃদ্ধ/ পঙ্গু / বয়স/ পরিবারের ঠিকুজি দিয়ে। 

২) প্রতিটি জেলায় সরকার দু বিঘা/ পাঁচ বিঘা জমি নেবে এদের জন্য। সেখানে তৈরি করা হবে ছোট ছোট ফ্ল্যাট বিল্ডিং। পাঁচিল দিয়ে ঘেরা। একটা বড়ো পুকুর কাটা হবে। একটা পরিবার তার ছেলে মেয়ে নিয়ে এই আশ্রমে থাকবে। বৃদ্ধ বা পঙ্গু মানুষদের জন্য আলাদা ফ্ল্যাট বাড়ি হবে। প্রতিটি আশ্রমে দুটো কমন রান্না ঘর থাকবে। আশ্রমবাসীরা নিজেরাই এই রান্না ঘর চালাবেন। সক্ষম মানুষেরা আশ্রমে নানা কাজে করবেন। এবং বাইরে গিয়ে কোথাও কাজ করতে পারবেন। কিন্তু আশ্রমে  ফিরে আস্তে হবে। 

৩) সরকারি দপ্তরের কাজ হবে চাল ডাল খাবারের ব্যবস্থা করা প্রতিটি আশ্রমের জন্য। সেখানে গিয়ে খাদ্য বিতরন করে আসতে হবে। 

৪) আইন করি প্রতিটি রোজগেরে মানুষের থেকে মাসে একটা দান সামান্য ২০/৩০ টাকা নেওয়া হবে এই আশ্রমের জন্য। মানুষ হাসি মুখে দেবেন।

৫) এই দপ্তর সারাদিন রাজ্যের ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে মানুষের কাছ থেকে সাহায্য চাইবেন। 

৬) প্রচার করতে হবে অনাবাসীদের কাছে সাহায্যের জন্য। 

৭) প্রতিদিন সকালে আশ্রমবাসীদের কয়েক জন আশ্রমের ভ্যান নিয়ে লোকাল বাজারে গিয়ে নানা আনাজ, তরকারি সাহায্য নিয়ে আসবেন। 

৮) আশ্রমে স্কুলে বাচ্ছারা পড়াশুনা করবে। স্থানীয় ছাত্র ছাত্রীরা এসে কয়েক ঘন্টা এদের পড়াবেন। 

৯) আশ্রমে ফসল, মাছ চাষ হবে, হাঁস, মুরগি, এমনকি খাসি ছাগলের ফার্ম করা যেতে পারে। সোজা আইন যে এই রাজ্যে রাস্তায় থাকা যাবে না বা ভিক্ষা করা হবে না। অনেকের ধারণা যে বাইরে থেকে মানুষ এসে এই সুযোগ নেবে। কি করে নেবে? যাকেই রাস্তায় থাকতে দেখবে তাকেই পুলিশ ধরে নিয়ে যাবে। যদি এই পরিকল্পনা বাস্তবে করা যায় তবে আমাদের রাজ্য সারা বিশ্বে একটা দৃষ্টান্ত হয় থাকবে। ভিখারি শূন্য রাজ্য।

তবে জানেন কি আমাদের রাজ্য সহ সমগ্র দেশ এখন মাফিয়াদের হাতে চলে গেছে। সর্বদলীয় মাফিয়া। লোকসভায় অপরাধী ভর্তি। মোদী সরকার সংবিধানের সংশোধন করে অভিযুক্ত অপরাধীদের ঢোকা বন্ধ করবেন না প্রথম বিশ্বের মতো। লালুকে সমর্থন করছে সিপিএম। হাজার কোটি টাকা লুঠ করে ধরা পড়লেও বিচার হয় না। ফাঁসির আসামির ফাঁসি হয় না। আমাদের নতুন করে আবার স্বাধীনতা আনতে হবে, আসলে এই ঐক্যবদ্ধ মাফিয়ারা ব্রিটিশদের থেকেও সাংঘাতিক। একমাত্র কোনোদিন যদি দেশের ছাত্ররা একমাস দিল্লির রাস্তা বন্ধ করে মাফিয়া মুক্ত দেশ চায় তবেই আমরা মুক্তি পেয়ে পারি। সারা বিশ্বে দেশগুলো এই ছাত্র বিপ্লব দেখবে, জানতে পারবে কি ভাবে এরা দেশটাকে লুঠ করে চলেছে? কোনো আপোষ নেই, কোনো দল সৎ না। ভারতমাতার গায়ে কতকগুলো টিউমার দেখা গিয়েছে। একদল ডাক্তার তার অপারেশন করবে। অনেক রক্ত ঝরবে, অনেক ব্যাথা হবে কিন্তু অপরেশনের পর আবার ভারত শক্তিশালী হবে। ছাত্রদের দাবি হবে রাষ্ট্রপতি শাসন। মিলিটারি, আর সচিবদের দিয়ে দেশ চালানো প্রয়োজন। দেশের নানা বুদ্ধিজীবিরা লোকসভায় থাকবেন। গত চল্লিশ বছরের সবকটা মন্ত্রী নেতাদের সম্পত্তির হিসাব নেওয়া হবে। ভোট জেতার আগে তার কত সম্পত্তি ছিল আর এখন কি করে এতো সম্পত্তি? সব ক্রোক করে নিয়ে এদের চিড়িয়াখানাতে রাখা হবে যাতে নতুন প্রজন্ম জানতে পারে যে এরা কি ভাবে দেশকে লুঠ করেছিল। আমাদের ছাত্ররা করতে পারেন। করা যায়। (ক্রমশঃ) 

(www.theoffnews.com - Reformation West Bengal Canada)

Share To:

THE OFFNEWS

Post A Comment:

0 comments so far,add yours