ইউনিভার্সিট অফ এক্সটারের গবেষক এবং গরিলাবিদ রবিন মরিসন তার দল নিয়ে রোওয়ান্ডার ভলক্যানোজ ন্যাশনাল পার্কে ১৬ বছর ধরে এক সমীক্ষা চালিয়ে এ সিদ্ধান্তে উপনীত হয়েছেন।
মানুষ যেমন পুরনো বন্ধুদের দেখা পেলে উল্লসিত হয়ে ওঠে, আনন্দ প্রকাশ করে, তাকে আপ্যায়ন করে, মাউন্টেন গরিলাদের ক্ষেত্রেও ঠিক সেই ব্যাপারটাই হয়। অনেক বছর পরে পূর্বপরিচিত কাউকে দেখলে প্রথমে আমরা যেমন একটু থমকে যাই, এই প্রজাতির গরিলারাও তাই করে। এরপর আস্তে আস্তে দুই দলই পরস্পরের সঙ্গে মিশে যায়।
এক সাক্ষাৎকারে রবিন জানিয়েছেন, মাউন্টেন গরিলারা এই যে পুরনো বন্ধুদের দেখা পেলে আনন্দিত হয়। তবে খুবই কালে-ভদ্রে এমনটি ঘটে থাকে। কেননা, এই গরিলারা বেশ দৃঢ় সামাজিক পরিবেশে বাস করে। সেখান থেকে তারা খুব একটা বেরোয় না। কাজেই এই পুরনো বন্ধুর দেখা পাওয়াটা যত না ব্যক্তিগত, তার চেয়েও বেশি করে গোষ্ঠীগত।
প্রথমে দুই দল থমকে দাঁড়ায়, একে অপরকে খুঁটিয়ে দেখে, স্মৃতিতে ঝালিয়ে নেয় পূর্বপরিচয়ের সূত্র আর বুকে ঘন ঘন ঘুষি মেরে আনন্দ প্রকাশ করে পরস্পরকে স্বাগত জানায়। পরের ধাপে সবাই মিশে যায় একসঙ্গে, ছোটরা শুরু করে নিজেদের মধ্যে খেলাধুলো। তবে সেটা ততক্ষণ পর্যন্তই, যতক্ষণ এক দল অন্যের বাসস্থানের সীমানার মধ্যে ঢুকছে না!
Post A Comment:
0 comments so far,add yours