মোনালিসা মুখোপাধ্যায়, ফিচার রাইটার, হুগলি:
বনধ কর্মসূচি কথায় কথায়। বামেদের রক্ত মজ্জায়। এভাবে লাইমলাইটে উঠে আসা যায় না। রেললাইনে শুয়ে অফিস যাত্রী মানুষকে বাস থেকে জোর করে নামিয়ে। গলাবাজি করে দোকান বন্ধ করিয়ে মানুষের পাশে দাঁড়াবার ছবি দেখাল কালকের ধর্মঘট।
জোর করে হুমকি দিয়ে গরীব বাজারওয়ালা আরও কিছু রোজকার দিন আনা দিন খাওয়া মানুষের একদিনের রুটিরুজি বন্ধ করে কোন উপকার করলেন কি জানি। আর কিছু পথপশু যারা মাংস মাছ চায়ের দোকানে একটু খেতে পায় তাদের তো ভুখা মরা সারাদিন। তারা বন্ধ দোকানে দাঁড়িয়ে ছিল একটু খাবারের প্রত্যাশায়। কাল সকালে কিছু প্রয়োজনীয় জিনিস কিনতে গিয়ে না খেয়ে ফিরে আসছি, তখন দেখলাম এদের। ব্যাগে বিস্কুট থাকে খাইয়ে এলাম। এরা মানে এই পথপশুগুলো যদিও বনধবাবুদের গুনতিতে পড়ে না।
এত দিনের দীর্ঘ লকডাউন সব বন্ধ ছিল তার ওপর আবার বনধ প্রহসনের কি দরকার?
৩৪ বছর ধরে তো শুধু চলছে না চলবে দেখে দেখে ঘেন্না ধরে গেছে। চোখের সামনে হিন্দমোটর কারখানা শেষ হতে দেখেছি লাল পতাকার অত্যাচারে। ইউনিয়ন বাজি দেখেছি। ফলস্বরূপ যা হবার তাই হয়েছে, কারখানার বন্ধ গেট।
কিচ্ছু লাভ নেই। এভাবে মরা গাছে আর ফুল ফুটবে না। হ্যাঁ চেষ্টা করতে ক্ষতি নেই। করুন আর চেঁচিয়ে যান-
আমরা ঘুরে দাঁড়িয়েছি, কিন্তু আমরা মানে জনগণ দেখতে পাচ্ছি না। শুধু বৃথা আস্ফালন দেখছি।
ঘুরে দাঁড়ায় তারা যাদের কথার দাম আছে কাজের কারণ আছে। অকারণে মানুষকে অসুবিধার মধ্যে ফেলে বার বার বনধ ডেকে ঘুরে দাঁড়ানো যায় না।
"ইয়ে যো পাবলিক হ্যায় সব জানতি হ্যায় পাবলিক হ্যায়।"
(www.theoffnews.com - Strike)
Post A Comment:
0 comments so far,add yours