সাজিয়া আক্তার, রেসিডেন্সিয়াল এডিটর (বাংলাদেশ), দ্য অফনিউজ:

টেলিভিশনের অনুষ্ঠান কিংবা বাস্তব জীবনের নিয়মিত দেখা মেলে ননদ-ভাবীর মধ্যে তিক্ত সম্পর্ক । বিয়ের পর ননদের সঙ্গে মানিয়ে নেয়া নিয়ে চিন্তা সব নব-বিবাহিতাদের মনে। অনেকেই মেয়ে বিয়ে দেয়ার আগে খোঁজ নেন সংসারে ননদ আছে কিনা। তবে বাস্তবে ননদ-ভাবীর দারুণ বন্ধু হতে পারে এমন বহু উদাহরণও আছে।

ননদ-ভাবীর সুন্দর সম্পর্কের জন্য রইলো কিছু টিপস-

ননদদের জন্য

বাড়িতে নতুন বউ এসেছে বলে তাকে সব সময় চাপে রাখবেন না। মনে রাখবেন তিনি আপনার ভাইয়ের বিবাহিত স্ত্রী, সেই সম্মান তার প্রাপ্য। ভাবীর বিরুদ্ধে ভাই কিংবা মা-বাবার কাছে নালিশ জানাবেন না। এতে সব সম্পর্কই খারাপ হবে। ভাবীর কোনও জিনিস সবসময় নিজের করে বসবেন না। তিনি দিতে চাইলে নিজের ইচ্ছেতে দেবেন। না দিতে চাইলে আপনিও দ্বিতীয়বার চাইবেন না।ভাবীর ব্যাপারে অযথা কথা বলতে যাবেন না। তিনিও কিন্তু নিজের বাড়ি ছেড়ে আপনার বাড়িতে এসেছেন। প্রতিপক্ষ ভেবে প্রথম থেকেই তাকে কথা শোনাবেন না। কিংবা সমস্যা হবে এমন কিছু করবেন না।

ভাবীদের জন্য

অপরিচিত ননদ মানে আপনার ব্যবহারে কোনও অতি সক্রিয়তা থাকা উচিত নয়। ধীরে ধীরে বন্ধুত্ব করুন। স্বাভাবিক সম্পর্ক রাখুন। নেতিবাচক মানসিকতা নিয়ে সম্পর্ক শুরু করবেন না। ননদ যদি আপনার থেকে বয়সে বড় হয়, তাহলে তার একটা নিয়ন্ত্রণের মানসিকতা থাকে। এমন ক্ষেত্রে প্রথমই ঝগড়ায় যাবেন না। কারণ একদিনে স্বভাব বদলাবে না বরং বুঝিয়ে বলুন। অবিবাহিত ননদ শ্বশুরবাড়িতে থাকলে সেটা কিন্তু তারও বাড়ি। এই বিষয়ও বোঝা জরুরি। বাড়ির কোনও বিষয়ে ননদের মতামতও গুরুত্বের। কিন্তু আপনার ব্যক্তিগত বিষয়ে হস্তক্ষেপ হলে, সরাসরি বুঝিয়ে বলুন।

ননদের সঙ্গে ঝগড়া, মনকষাকষি হলে নিজেরা সমাধান করুন অযথা স্বামী, শ্বশুর, শাশুড়িকে তার মধ্যে জড়াবেন না। প্রথম থেকে ননদের সঙ্গে শপিং, সিনেমা দেখা এগুলো মাত্রাতিরিক্ত করবেন না। তাহলে পরবর্তীতে নিজেদের প্রাইভেসিতে সমস্যা হতে পারে। ননদ যদি ব্যক্তিগত সমস্যার কথা বলেন তাহলে সমাধানের চেষ্টা করবেন। ননদের ভালোর জন্য কোনও উপদেশ দিতে পারেন। 

সম্পর্ক ভালো নাকি খারাপ হবে তা নির্ভর করে মানুষের উপর। ব্যবহার আপনার পরিচয়। এটা ননদ-ভাবীর দুজনের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য।

Share To:

THE OFFNEWS

Post A Comment:

0 comments so far,add yours