সুব্রত দাম, ফিচার রাইটার, দুর্গাপুর:

মানুষের জন্ম হলে তার মৃত্যু অবধারিত, এই কঠিন বাস্তবটা তো আমরা প্রত্যেকেই জানি। তবে আমরা কেউই সেই ব্যাপারটা মন থেকে যেন মেনে নিতে পারি না।

মৃত্যু  স্বাভাবিক হোক বা অস্বাভাবিক, মৃত্যু তো মৃত্যুই, তাই না? শুনেছি স্বাভাবিক মৃত্যুতে নাকি মানুষের স্বর্গবাস হয় আর অস্বাভাবিক বা অপঘাতে মৃত্যুতে নাকি হয় নরকবাস। এই অপঘাতে মৃত্যুর কথা শুনলেই প্রথমে যা মনে পড়ে তা হল ভূত। আর এই ভূত নিয়ে তো নানান বিতর্ক চলে আসছে বহুদিন ধরেই। কারো বিশ্বাস ভূত আছে, তো কারো বিশ্বাস ভূত বলে নাকি কিছুই নেই। সে যাক, ভূত আছে কি নেই তা নিয়ে তো কোন তর্ক বিতর্ক করে লাভ নেই। থাক না, যে যার মতো মনের বিশ্বাস নিয়ে, তাতে কার কি এসে যায় বলুন...

তবে ভূত প্রসঙ্গ আসতেই পৃথিবীর এমন একটি জায়গার কথা মনে পড়ে গেল যার সম্পর্কে আপনাদের না বলে পারছি না।  

তাহলে আমরা প্রথমেই জানি এই ভূতুরে স্থানটির অবস্থান আসলে কোথায়!

এই স্থানটি আসলে আমেরিকার ক্যালিফোর্নিয়ায় অবস্থিত। যাকে আমরা 'ডেথ ভ্যালি' বা 'মৃত্যু উপত্যকা' বলে জানি। এটি হল পৃথিবীর সবচেয়ে উষ্ণতম অঞ্চল। কিছুটা বাটির মতো দেখতে এই উপত্যকাটি প্রায় প্রাণহীন বললেই চলে। উদ্ভিদ ও প্রাণীদের বেঁচে থাকার জন্য যে নূন্যতম রসদের প্রয়োজন সেটাও এই উপত্যকা থেকে পাওয়া যায় না। তাই ২২৫ কিলোমিটার দৈর্ঘ্য ও ৮ থেকে ২৪ কিলোমিটার প্রস্থের এই উপত্যকা টি "ডেথ ভ্যালি'নামেই খ্যাত। ১৯১৩ সালের গ্রীষ্মের সময় যে তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছিল তাতে এই স্থানটির সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৫৬.৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যা বিগত ১০০ বছরে, বিশ্বের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা বলে মনে করা হয়। এর এই উষ্ণতার কাছে হার মেনেছে আফ্রিকার সাহারা থেকে শুরু করে কালাহারি কিম্বা মধ্যপ্রাচ্যের মরু অঞ্চলগুলি। এখানকার গড় তাপমাত্রা হল ৪৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস আর বৃষ্টিপাতের পরিমান মাত্র ৫ সেন্টিমিটার। গোটা উপত্যকা জুড়ে ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে গুটিকয়েক জলাশয়। এই জলাশয় গুলো এতটাই লবনাক্ত যে তার জল পান করারও অযোগ্য। বালি, পাথর, কাঁকর  আর ন্যাড়া পাহাড় ছাড়া এখানে আর কিছুই নেই। 

১৯৪৮ সালে কিছু অভিযাত্রী এই ডেথ ভ্যালিতে অভিযান চালিয়ে একটি রহস্যময় জলশূন্য হ্রদকে আবিষ্কার করেন। যে হ্রদটির দৈর্ঘ্য সাড়ে চার কিলোমিটার ও প্রস্থ ২ কিলোমিটার। এই হ্রদটির অবস্থান সমুদ্র পৃষ্ঠ থেকে ১,১৩০ মিটার ওপরে। এই হ্রদটির কাছে যেতে গেলে পাহাড়ি দুর্গম পথে গাড়িতে প্রায় তিন ঘন্টা সময় লাগে। এই হ্রদটির  নাম 'রেসট্র্যাক প্লায়া'। নামটার মধ্যেই যেন লুকিয়ে আছে রহস্য। আপনারা রাস্তা দিয়ে বা খোলা মাঠ দিয়ে হাঁটার সময় পাথর কি আপনাদের নজর কাড়ে? নিশ্চয়ই না। কারণ এতে তো কোন নতুনত্ব কিছু নেই। তবে পাথরগুলো যদি আপনার আমার মতো হাঁটতে শুরু করে ভাবুন তো তা হলে কেমন হতো? ভাবছেন এটা কি আবার হয় নাকি? হ্যাঁ হয়, 'রেসট্র্যাক প্লায়া'র জলশূন্য হ্রদটির বুকে ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে কিছু পাথর। আর এই পাথরগুলোই আশ্চর্যজনকভাবে নিজে নিজেই এদিক ওদিক স্থান পরিবর্তন করে। চলমান ভূতুরে এই পাথর গুলির তৈরী করা 'ট্র্যাক' থেকেই হ্রদটির নাম হয় "রেসট্র্যাক প্লায়া'। এই পাথর গুলো কখনও সরলরেখায় আবার কখনও বক্রভাবে চলাচল করে। কখনো কখনো এমন হয় যে দুটি পাথর সমান্তরাল পথে কিছুটা যাওয়ার পর দিক পরিবর্তন করে এবং ঠিক বিপরীত দিকে আগের অবস্থায় ফিরে যায়। মাটির ওপর দিয়ে কোন গাড়ি গেলে যেমন দাগ পরে যায় ঠিক তেমনই এই পাথরগুলোও তাদের চলাচলের ছাপ রেখে যায় ওই শুষ্ক হ্রদে। তা দেখেই বোঝা যায় যে পাথরগুলো তাদের পুরনো অবস্থান থেকে নতুন অবস্থানে এসেছে। এক কেজি থেকে শুরু করে তিনশো কেজি ওজনের শয়ে শয়ে পাথর এভাবেই তাদের ট্র্যাক পরিবর্তন করে চলেছে।

'রেসট্র্যাক প্লায়া'র এই ভূতুরে পাথরগুলোর চলাচলের রহস্য বিশ্বের সামনে আসতেই বিশ্বের সব ভূবিজ্ঞানীরা দল বেধে নেমে পড়েন সেই রহস্যটা উদঘাটন করতে। ১৯৫৫ সালে প্রথম এই চলমান পাথরের বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যাটা সামনে আসে। বিজ্ঞানী এম. স্ট্যানলি বেশ কয়েক মাস এই 'রেসট্র্যাক প্লায়া'তে সময় কাটিয়েছেন। তিনি বলেছেন যে বছরের কোন কোন সময় নাকি 'ডেথ ভ্যালি'র পাহাড়গুলো থেকে বৃষ্টির জল গড়িয়ে 'রেসট্র্যাক প্লায়া'তে  নেমে আসে। ফলে এই সময় এখানকার হ্রদ গুলি জলে টলটল করে। যদিও সেই জলের উচ্চতা সাত থেকে আট সেন্টিমিটারের বেশি নয়। রাতের দিকে এখানকার তাপমাত্রা হিমাঙ্কের নিচে নেমে আসায় জল বরফে রূপান্তরিত হয়ে প্রসারিত হয়। বরফ আর বাতাসের যুগ্ম ঠেলায় পাথরগুলো নাকি সে সময় স্থানচ্যুত হয়। স্ট্যানলির এই মতবাদটি 'আইস-সিট' মতবাদ নামে বিখ্যাত। 

এদিকে ১৯৭৬ সালে দুই ভূবিজ্ঞানী ডুইট ক্যারে ও রবার্ট শার্প 'রেসট্র্যাক প্লায়া'কে নিয়ে গবেষণা করতে গিয়ে তারা স্ট্যানলির 'আইস-সিট' মতবাদের বিরোধিতা করেন। এই দুই ভূবিজ্ঞানী পাথরগুলোর চলার পথের বৈশিষ্ট্য ও সেগুলোর অবস্থানের জ্যামিতিক বিশ্লেষণ করেন। এবং প্রশ্ন তোলেন 'পাথরগুলো যদি বরফের ঠেলায় সরে তবে সেই ট্র্যাকের গঠনগত মিল হয় কি করে? তাই স্ট্যানলির মতবাদে প্রশ্নচিহ্ন রয়েই গেল। ক্যারে ও শার্প এর মতে বছরের কিছু নির্দিষ্ট সময় ও নির্দিষ্ট আবহাওয়ায় অস্বাভাবিক ঝোড়ো বাতাসের কারণে পাথরগুলো সরে যায় । এই ঘটনা প্রতি বছরেই হতে পারে আবার দু-তিন বছর অন্তর অন্তর ঘটতে পারে।

এরপর ১৯৮০ সালের শেষ থেকে ১৯৯৪ সাল পর্যন্ত জন বি রেইডের নেতৃত্বে ইংল্যান্ডের  হ্যাম্পশায়র বিশ্ববিদ্যালয়ের একদল ভূবিজ্ঞানী 'রেসট্র্যাক প্লায়া'তে সাতবার অভিযান চালান। এরপরে তারা ১৯৯৫ সালে তাদের গবেষণাপত্রে  ক্যারে-শার্পের মতবাদ খারিজ করে স্ট্যানলির 'আইস-সিট' মতবাদের উপর শীলমোহর দেন।

রেসট্র্যাক প্লায়া'র পাথরগুলোর চলাচলের রহস্য  নিয়ে যখন সারা বিশ্বের তাবড় তাবড় ভূবিজ্ঞানীদের মধ্যে মতবাদজনিত মতানৈক্য চলছে, সে সময় সাধারণ মানুষও তাদের নিজের মতো করে তাদের মতামতের ব্যাখ্যা দেওয়ার চেষ্টা করেন। কেউ বলেন  বছরের কোনও এক সময়ে বিশেষ ধরনের চুম্বক ক্ষেত্র তৈরী হয়  রেসট্র্যাক প্লায়া'তে। সেই চুম্বকের আকর্ষণের ফলেই পাথরগুলোর স্থান পরিবর্তন হয়। আবার কারো মতে রেসট্র্যাক প্লায়া'র নির্জন প্রান্তরে রাতের অন্ধকারে আকাশ থেকে নেমে আসে ভিনগ্রহের মহাকাশযান। সম্ভবত এলিয়েনরা এসে পাথরগুলো ঠেলে সরিয়ে পালায়। কেউ আবার বলেন রাতের অন্ধকারে অপদেবতারা এসে পাহাড় থেকে গড়িয়ে দেয় পাথরগুলো।

২০০৭ সালে গ্রহবিজ্ঞানী র‌্যাল্‌ফ লরেন্স রেসট্র্যাক প্লায়া'র নিয়ে গবেষণায় নামেন। এরপর ২০১১ সালে  সেই গ্রহবিজ্ঞানীর সাথে যোগাযোগ করে একই জায়গায় গবেষণা করতে যান সমুদ্রবিজ্ঞানী রিচার্ড নরিস এবং তার ভাই প্রকৌশলী জেমস নরিস। তারা সেই বিজ্ঞানীর সাহায্য নিয়ে পাথরগুলোর নড়াচড়ার দৃশ্য ক্যামেরাবন্দী  করার জন্য রেসট্র্যাক প্লায়া'তে স্টিল ও ভিডিও ক্যামেরা বসানো হয়। তার সাথে সেখানকার তাপমাত্রা, বাতাসের আদ্রর্তা, বায়ুরচাপ প্রভৃতি আবহাওয়াগত পরিবর্তন নথিভুক্ত করার জন্য একটি ছোট আবহাওয়া কেন্দ্র বসিয়ে ফেলেন ওই তিনজন। শুধু তাই নয় ওই পাথরগুলোর নড়াচড়া 'ট্র্যাক' করতে তারা বিভিন্ন আকারের কিছু পাথরের গায়ে 'জি. পি. এস.' 'ট্র্যাকার' বসিয়ে দেওয়া হয় যাতে পাথরগুলো স্থান পরিবর্তন করলেই তা রেকর্ড হয়ে যাবে "ট্র্যাকার ডাটাবেস"-এ। কিন্তু তার জন্য যে কতদিন সময় লাগতে পারে তা তারা তিনজনও জানতেন না। হতে পারে সেটা কয়েক বছর বা কয়েক শতাব্দী।

তবে লরেন্স পরে বলেছিলেন,"আমি ভেবেছিলাম ইতিহাস বিজ্ঞানে এটি হবে সবচেয়ে বিরক্তিকর পরীক্ষা"। তবে সব জল্পনার অবসান ঘটিয়ে অবাক করা ফলাফল এলো মাত্র দু-বছরের মধ্যেই।

২০১৩ সালের ডিসেম্বর মাসে যন্ত্রপাতির ব্যাটারি পাল্টানোর জন্য রিচার্ড ও জেমস আবার 'ডেথ ভ্যালির' 'রেসট্র্যাক প্লায়া'তে যান। সেখানে যাওয়ার পর তারা একটি অদ্ভুত দৃশ্য দেখতে পেলেন। তারা দেখেন মরুভূমির মত শুষ্ক হ্রদটির  তিন ভাগের একভাগ জুড়ে রয়েছে বরফের পাতলা চাদর। তা দেখেই স্ট্যানলির 'আইস-সিট ' মতবাদ চাক্ষুষ দেখার কথা ভাবেন ওই দুভাই। তাই তারা ওই মৃত্যু উপত্যকায় কয়েকটা দিন কাটানোর জন্য প্রচন্ড ঠান্ডাতেও তাঁবু খাটিয়ে ফেলেন।

২০১৩ সালের ২০শে ডিসেম্বর সকাল ৯ টা নাগাদ রোদ উঠলে বরফের পাতলা আস্তরণ ভেঙ্গে 'রেসট্র্যাক প্লায়া'র  কিছু কিছু জায়গায় বরফ গলে একটা ফাঁকা এলাকা তৈরী হতে লাগল। ওই উপত্যকায় সকালের ঠান্ডা বাতাসের ধাক্কায় ভেঙে যাওয়া বরফের আস্তরণ গুলো নড়াচড়া করতে শুরু করে দিল হঠাৎই। হড়কে হড়কে চলার সময় ওই বরফের ভাঙা আস্তরণ গুলো তাদের সামনে রাখা পাথরগুলোকে আস্তে আস্তে ধাক্কা দিতে শুরু করল। রিচার্ড ও জেমস তাদের শক্তিশালী বাইনোকুলারের মাধ্যমে দেখলেন সেখানকার ছোট ছোট পাথরগুলো বরফের আস্তরণের ধাক্কায় আস্তে আস্তে এগোতে শুরু করে দিয়েছে।

পাথরগুলো এতটাই আস্তে এগোচ্ছিল যে খালি চোখে দেখে তা বোঝাই যাচ্ছিল না। ২০শে ডিসেম্বরের বিকেলের দিকে যখন 'রেসট্র্যাক প্লায়া'র সব বরফ গলে গেল  তখন দেখা গেল ৬০ টি পাথরের পিছনেই নতুন করে ঘষটে এগিয়ে যাওয়ার দাগ তৈরী হয়েছে। সমস্ত ঘটনাটার ছবি তুলে এরপর রিচার্ড ও জেমস  শহরে ফিরে যান। এরপর তারা লরেন্সকে সব ছবি দেখিয়ে পুরো ঘটনাটাই খুলে বলেন। সব ঘটনা শোনার পর লরেন্স রিচার্ড ও জেমসকে নিয়ে 'রেসট্র্যাক প্লায়া'য় ফিরে আসেন। সঙ্গে নিয়ে আসেন বেশ কিছুদিনের রসদ।

২০১৪ সালের ৯ ই জানুয়ারি তারা তিনজন  আবার সেই পাথরগুলোর অবস্থান পরিবর্তন লক্ষ্য করেন এবং সেই ঘটনার স্থির ছবি ও ভিডিও তুলে রাখেন। পরে তারা সেইসব ছবি ও তথ্য নিয়ে বিশ্লেষণ করতে গিয়ে দেখেন সবচেয়ে বড় যে পাথরটি সেখানে ছিল সেই  পাথরটিই বেশি দূরত্ব অতিক্রম করেছে। এই দূরত্বটা ২০১৩ সালের গ্রীষ্মকালের দূরত্বের থেকে প্রায় ২২৪ মিটার বেশি।

বিজ্ঞানী লরেন্স, রিচার্ড, ও জেমস তাদের গবেষণাপত্রে বলেন,"আমাদের রির্পোট কোনও কাল্পনিক রির্পোট নয়"। "আমাদের কাছে সমস্ত ঘটনার প্রমাণ হিসেবে সযত্নে রাখা আছে ঘটনার আগের ও পরের ছবি, ভিডিও এবং সে সময়ের আবহাওয়ার রির্পোট"।

এই তিন বিজ্ঞানী পরে ব্যাখ্যা দিয়ে বলেছেন কেন একসঙ্গে অনেক পাথর সমান্তরাল পথে সমান দূরত্ব অতিক্রম করে। তাদের মতে অনেক সময় বরফের আস্তরণ গুলো আয়তনে বিশাল হওয়ায় একসঙ্গে শ'খানেক পাথরকে একই দিকে ঠেলতে ঠেলতে এগোয় বলে অতিক্রান্ত দূরত্ব এক এবং গতিপথের ছাপ সমান্তরাল হয়। এই তিন বিজ্ঞানী তাদের গবেষণাপত্রটি প্রকাশ করেন তাদের প্রিয় বিজ্ঞানী স্টিফেন হকিংয়ের আলোড়ন সৃষ্টি কারি বই 'এ ব্রিফ হিস্ট্রি অফ টাইম' এর  নামের কিছু অংশ ধার করে। তারা তাদের গবেষণা পত্রের নাম দেন 'এ ব্রিফ মোমেন্ট ইন টাইম'।

'রেসট্র্যাক প্লায়া'র  এই ভূতুরে পাথরগুলোর চলাচলের রহস্য উদঘাটনে সফল হয়েছেন তিন বিজ্ঞানী কিন্তু প্রকারান্তরে স্ট্যানলির 'আইস-সিট' মতবাদটিকেই প্রমাণ করলেন। যতই অত্যাধুনিক প্রযুক্তির মাধ্যমে লরেন্স, রিচার্ড ও জেমস প্রমাণ করুন না কেন বিজ্ঞানী এম.স্ট্যানলি ১৯৫৫ সালে যা বলেছিলেন তার উপর শীলমোহর দিতে আধুনিক বিজ্ঞানের ৬৩ বছর সময় লেগে গেল। তাই 'রেসট্র্যাক প্লায়া'র চলমান  ভূতুরে পাথরগুলোর রহস্য উদঘাটনের পুরো কৃতিত্বটাই এম.স্ট্যানলির এতে আর কোন সন্দেহই রইল না।



Share To:

THE OFFNEWS

Post A Comment:

0 comments so far,add yours