সুজিত দেবনাথ, ফিচার রাইটার ও শিক্ষক, মালদহ:

শিক্ষা নেব নারীশক্তি থেকে, শিক্ষা নেব নেতাজী থেকে। হিংসা দূরে থাকুক, তবে আত্মসম্মান বজায় থাকুক।

ভালোবাসা ছড়াতে চাই, তাই ভালোবাসার একটা গঙ্গা বানাতে চাই। কোন বর্ষাকালে নয়, কোন বসন্তে সে গঙ্গায় "হয়নি বলা কতো কথা" বিপদসীমার উপর দিয়ে বইতে থাকবে, আর তখন অনুভুতির বন্যায় ভেসে যাবে মনের মাঠ-ঘাট।

ভালোবাসা ছড়ানোর জন্য আগে বিষ ধ্বংস করতে চাই, বিষহীন সাপ বানাতে চাই। মানুষের শরীরে সাপ বিষ প্রবেশ করালে সেটাই অনেকক্ষেত্রে ধ্বংস করতে পারে না বিজ্ঞান। তাই সাপের কামড়েও মানুষ মারা যায়। আর সাপের শরীরকে নাকি বিষহীন বানাবো --এটা একটু মহাবৈজ্ঞানিক অদ্ভুত চিন্তাধারা।

এমন গবেষনা কোন বিজ্ঞানী করেন বলেও জানা নেই। আর এটা করলেও এটা প্রকৃতিবিরুদ্ধই হবে। তবে বিজ্ঞান জেনে গেছে বিষ দিয়েই বিষ ধ্বংস করতে হয়। আজ তাই নিজেকে তথা সমাজকে সুস্থ রাখতেও বিজ্ঞানের ব্যবহার হোক মানবিক পন্থায়।

বিজ্ঞান মেনেই নেতাজী ব্রিটিশের হিংসার কাছ থেকে রুটি খুজতে যাননি। আত্মসম্মানকে আপন অস্ত্র করে নিয়েছেন।

আজ জীবন সমাজের সব নীতিহীনতার বিরুদ্ধে আমরাও সুভাষচন্দ্র বোসের আদর্শ তুলে ধরার চেষ্টা করতে পারি। এ যুগের সাথে আপনাকে তাল মিলিয়ে চলতে গেলে মেরেছিস কলসীর কানা, তাই বলে কি প্রেম দিব না, মানলে আপনি চিরজীবন ঠকেই যাবেন। আধুনিক যুগে আধুনিক আদর্শ হল আত্মসম্মান নীতির সঙ্গে মানবিক বোধগম্যের মহামিলন। আর এটাই হয়তো বর্তমান দুনিয়ায় অধিক গ্রহনযোগ্য।

হিংসায় একদমই নয়, ভালোবাসায় থাকুন। তবে মাথা নত করে নয়, মাথা উচু করে বাঁচতে হবে। অন্যায়ের বিপরীতে প্রতিবাদে মুখর হতেই হবে। সত্যের সাথে বাঁচতে হবে, জীবনের সাচ্চা লক্ষ্যে থাকুন।

সময়ের উপর ভরসা রাখুন। একটাই তো জীবন, মৃত্যু ও একটাই। হাত জোর করে বলছি এসবকে কেউ দয়া করে জ্ঞান দেওয়া অহংকার ভাববেন না। অহংকার নিয়ে বাঁচবেন না, আত্মসম্মান নিয়ে বাঁচুন। তবে ক্ষমা মহৎ গুন এটাও মাথায় রাখতে হবে।

এবার নারীদের থেকে কি শিক্ষা নেব? সেই একই জিনিষ-আত্মসম্মান।

আজ নারীরা মধ্যযুগ থেকে ধীরে ধীরে স্বাধীন হয়ে উঠেছে। দিকে দিকে নারীশক্তির জয় গান, যে গানের সুর এতো চড়া ছিল না প্রাচীন বা মধ্যযুগে। সমাজে নারীরা আজ নিজেদের কর্মশক্তির দ্বারা কতটা উন্নীত করেছে, তা হাড়ে হাড়ে টের পাই অতীত ভারতের ইতিহাস পড়লে। নারীরা আজ আত্মসম্মানীয় হয়ে উঠেছে। রান্নাঘরের নারী আজ মুখ্যমন্ত্রীও হয়েছে। আমরা বইখাতায় আজও পুরুষতান্ত্রিক সমাজে বাস করলেও দেশ বা রাজ্যের নিয়ন্ত্রক হিসেবেও প্রত্যক্ষ করি নারীশক্তিকে। সমান ভাবেই।

আজ তাই সবার মধ্যে নারীশক্তির আত্মসম্মানকে আরও আঁকড়ে ধরতে হবে। সকলে মিলে। বিষে-বিষ ক্ষয় করো, আত্মসম্মানটা বজায় রাখো।

তবে ক্ষমা মহৎ গুন, এ কথাটিও পুনরায় মাথায় রেখ।



 

Share To:

THE OFFNEWS

Post A Comment:

0 comments so far,add yours