কল্লোল সাহা, চিকিৎসক ও সমাজকর্মী, দুর্গাপুর:

গত ৩১ অগষ্ট বিকাল সাড়ে চারটে নাগাদ দিল্লির আর্মি হাসপাতালে দীর্ঘ তিন সপ্তাহ রোগ ভোগান্তি পর তাঁর নশ্বর শরীর, অবীনশ্বর আত্মায় বিলীন হলো, আর সমাপ্ত হলো একটি অধ্যায়, অবসান হলো গৌরবোজ্জ্বল একটি যুগের। তিনি যে ছিলেন প্রথম বাঙালি রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখোপাধ্যায়। ভারতীয় প্রজাতন্ত্রের এক অতন্দ্র প্রহরী। সঙ্গে রেখে গেলেন দেশের সংসদীয় গণতান্ত্রিক কাঠামোকে আরও সুদৃঢ়, প্রয়োজনীয় ও আকর্ষণীয় করার জন্য অফুরন্ত প্রজ্ঞা ও জ্ঞানভাণ্ডার। 

১৯৩৫ সালের ১১ ডিসেম্বর বীরভূম জেলার অন্তর্গত কীর্ণাহার নিকটস্থ মিরাটি গ্রামে তাঁর জন্ম। পিতা শিক্ষাপ্রাণ নিষ্ঠাবান ব্রাহ্মণ কামদা কিঙ্কর মুখোপাধ্যায় ছিলেন স্বাধীনতা সংগ্রামী ও নিখিল ভারত কংগ্রেস কমিটির সদস্য। মায়ের নাম রাজলক্ষ্মী দেবী। প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি ও ভারতরত্ন প্রণব মুখোপাধ্যায় কিন্তু স্থানীয় সকলের কাছে পল্টুদা নামেই বেশি স্বচ্ছন্দ ছিলেন।

ছোট্ট পল্টু বর্ষায় একহাঁটু কাদা জল পেরিয়ে, ধু ধু প্রান্তর ডিঙিয়ে নিজের গ্রাম থেকে প্রায় পাঁচ কিলোমিটার দূরে শিবচন্দ্র হাই স্কুলে যেতেন। খেলাধুলোতেও বেশ আকর্ষণ ছিল তাঁর। ফুটবল, যোগব্যায়াম অভ্যাস সেই স্কুল জীবনের সময় থেকেই। অধ্যবসায়ে তাঁর মেধা ছিল বেশ চমৎকার। হ্যারিকেনের স্বল্প আলোতে পড়াশুনা তার বিস্ময়কর প্রতিভার সামনে প্রতিবন্ধকতা হতে পারেনি। সিউড়ি বিদ্যাসাগর কলেজ থেকে বাংলা অনার্স সহ স্নাতক হন। কলকাতা বিশ্ববিদ্যলয় থেকে রাষ্ট্র বিজ্ঞান ও ইতিহাসে এমএ ও পরে এলএলবি পাশ করেন।

তারপর যথারীতি শুরু কর্মজীবন। স্বল্প দিনের জন্য হলেও সাংবাদিকতাই প্রথম কর্মজীবন। তাই বরাবরই সাংবাদিকদের জন্য একটা আলাদা প্রীতি একটা অনুরাগ লক্ষ্য করা যেতো। বহু পত্রপত্রিকার শুভানুধ্যায়ী ছিলেন অন্তর থেকে। পরবর্তী সময়ে সদ্য স্থাপিত বিদ্যানগর কলেজে অধ্যাপনার কাজে যুক্ত হন। অধ্যাপনার বছর ছয়ের সময়ই তিনি সহকর্মীদের প্রিয়ভাজন হয়ে ওঠেন। এমনকি যখন কোনও বিষয়ে ক্লাসে বক্তব্য রাখতেন তখন সকলে মন্ত্রমুগ্ধ হয়ে সে সব শুনতেন।

১৯৬৬-৬৭ সালে যখন বাংলার রাজনৈতিক অস্থিরতা সৃষ্টি হয়েছিল তখন প্রখ্যাত স্বাধীনতা সংগ্রামী অজয় মুখোপাধ্যায় ও সুশীল ধাড়া ছিলেন বঙ্গের অগ্রজ নেতৃত্ব। তাঁদের অপর সহযোগী নেতা সতীশ সামন্ত তো ছিলেন একদা তমলুকের মহিষাদলকে বৃটিশ শাসন থেকে মুক্ত করার জন্য তাম্রলিপ্ত সরকার স্থাপন করার অন্যতম কারিগর। পরবর্তীতে অধুনা বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও শুভেন্দু অধিকারীর নেতৃত্বে এই আন্দোলনের ছায়া প্রসারিত হয়ে পড়ে নন্দীগ্রাম আন্দোলনে। যা বছর খানেক আগে বিশ্বব্যাপী সাড়া ফেলে দেয়। একদা মতান্তরের কারণে সুশীল ধাড়া, অজয় মুখোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে জাতীয় কংগ্রেস ছেড়ে একটি নতুন দল গঠন করেন যার নাম দেওয়া হয় "বাংলা কংগ্রেস"। ১৯৬৭ সালে পশ্চিমবঙ্গে বিধানসভা নির্বাচনের সময় বাংলা কংগ্রেস দলের প্রচারের জন্য ও জনমত সংগঠনের জন্য শিক্ষিত যুবকদের সন্ধান করা হচ্ছিল। তখনই ওই নেতৃত্বের পূর্ব পরিচিত হওয়ার সুবাদে কামদা কিঙ্কর মুখোপাধ্যায়ের সূত্রে সেই কাজের দায়িত্ব ভার গিয়ে পরে প্রণব মুখোপাধ্যায়ের উপর। প্রণব মুখোপাধ্যায়ও সেই ডাকে সাড়া দিতে  অধ্যাপনা ছেড়ে নতুন দলে যোগদান করেন। এই সময় তিনি দিনের পর দিন দলীয় কর্মীদের সঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে অক্লান্ত পরিশ্রম করে সেই নতুন দলটিকে জিতিয়ে এনেছিলেন জনতার দরবার থেকে।

বাঁকুড়া জেলার সোনামুখী (সং) বিধানসভা কেন্দ্রে অবনী কুমার সাহা প্রার্থী হলেন প্রথমে "বাইসাইকেল" প্রতীকে। এদিকে অজয়বাবুর মুখ্যমন্ত্রীত্বে বাংলার যুক্তফ্রন্ট সরকার গঠিত হলো। দুই বছর পর পুনরায় রাজ্য বিধানসভা ভোট। ১৯৬৯ সালে পরম শ্রদ্ধেয় অজয়বাবুও সুশীলবাবুর কাছে বাঁকুড়ার ইন্দাস (সং) আসনে প্রার্থী পদের জন্য "অবনী"র নাম প্রস্তাব করেছিলেন। সেই প্রথম ও শেষবারের মতো আমার পিতৃদেব অবনীবাবু ১৯৬৯ সালে বাংলা কংগ্রেসের "লাঙল" প্রতীকে জয়লাভ করে বিধানসভায় গেলেন প্রণববাবুর রাজনৈতিক সহায়ক সৌজন্যে। আমার পিতা আদর্শ শিক্ষক ছিলেন। তিনিও প্রয়াত হয়েছেন চলতি বছরের ১২ এপ্রিল। ১৯৬৭-৬৯ সাল অর্থাৎ এই ২ বছর আমি এই মহান দেশনেতা প্রণববাবুকে খুব কাছ থেকে দেখার, অজয়বাবুর কোলে বসবার সৌভাগ্য লাভ করেছি। সুশীলবাবু, প্রণববাবু তৎকালীন একটি সংবাদপত্রের সম্পাদক বিবেকানন্দ মুখোপাধ্যায় ও ডঃ হুমায়ুন কবীর কৃপাপূর্বক আমাদের মতো গরীবের কুটীরে পদার্পণ করেছেন ও অন্নসেবনও করেছেন একাধিকবার। চিরকৃতজ্ঞ আমরা তাঁদের শ্রীচরণধুলিতে। কিছু ছবি এখনও আছে আর কিছু হারিয়ে গেছে। পুরাতন বাড়ী থেকে নতুন বাড়ীতে চলে আসার সময়। তখন আমার বয়স ছিল আট কি নয় বছর হবে, কিন্তু স্মৃতির সরণিগুলি এখনও অমলীন। ১৯৬৭-১৯৬৯ সাল বাংলা কংগ্রেসের হয়ে পশ্চিমবঙ্গ থেকে রাজ্যসভায় গেলেন প্রণববাবু। তারপর ১৯৭২-৭৩ সালে পুরো বাংলা কংগ্রেস'টা ভারতীয় জাতীয় কংগ্রসে মিশে গেল। বাবার কাছে শুনেছি কোনও এক সময় অজয় মুখোপাধ্যায় দমদম বিমানবন্দরে ভারতের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধীকে বললেন প্রণববাবুর দিকে তাকিয়ে, "এই ছেলেটিকে দিল্লি নিয়ে যাও, অনেক কাজের ছেলে।" অজয়বাবুর সেদিনের ভবিষ্যৎবাণী সত্যরূপে শুধু ভারতের দরবারে নয় তামাম দুনিয়ার জনহৃদয়ে সুপ্রতিষ্ঠিত হয়েছে। স্বীয় অধ্যাবসায়, পরম নিষ্ঠা, শ্রদ্ধাশীল আনুগত্য, সংসদ বিষয়ক অফুরাণ জ্ঞান, সংসদীয় অনন্য শিষ্ঠাচার, ইতিহাস, ভূগোল, বিশ্ব রাজনীতি, অর্থনীতির প্রতি নিপুন পারদর্শীতা, সবার সঙ্গে সদাচারী অন্তরঙ্গতা --প্রভৃতি গুনাবলীর কারণে ইন্দিরা গান্ধী প্রণববাবুকে কেন্দ্রীয় মন্ত্রীসভায় নিয়ে এলেন শিল্প প্রতিমন্ত্রী করে। তারপর একে একে দেশের শিল্প, বানিজ্য, অর্থ, বিদেশ, স্বরাষ্ট্র, জাহাজ মন্ত্রক সহ হাফ্ডজন মন্ত্রীত্ব সামলেছেন দক্ষতার নিরিখে। এর সঙ্গে যোজনা কমিশনের ডেপুটি চেয়ারম্যান, কংগ্রেস দলের মুখপাত্র এবং দলের সাধারণ সম্পাদক হিসেবেও তাঁর ভুমিকা ছিল নজরকাড়া। 

১৯৭১ সালে প্যারিসে ভারতের হয়ে বাংলাদেশ মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে সওয়াল বিশ্ববাসী আজও তাঁকে মনে রেখেছে। রাজ্যসভার নেতা, আন্তর্জাতিক অর্থভান্ডারের গভর্ণর, এ.ডি.বি'র গভর্নর, আফ্রিকান উন্নয়ন ব্যাঙ্কের গভর্নর, 'জি-২৪'র সভাপতি, বিভিন্ন পর্যায়ে পশ্চিমবঙ্গ প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি, সার্ক সম্মেলন সভাপতি সহ অসংখ্য পদের দায়িত্ব পালন শুধু করেননি ওই পদগুলির গরিমাকে তিনি দিক নির্দেশ করেছেন অনন্য উচ্চমার্গে।

রাজনীতির ময়দানে সাপলুডোর খেলা যে অবিচ্ছিন্ন অঙ্গ। তাই ১৯৮৬ তে সাময়িক ভাবে কংগ্রেস ছেড়ে রাষ্টীয় সমাজবাদী কংগ্রেস গঠন করেন। কিন্তু তিনি যে ভারতীয় রাজনীতির আকাশে এক উজ্জ্বল শুকতারার লগ্নজাত। তাই ১৯৮৯ সালে পুনরায় জাতীয় কংগ্রেসের মূলস্রোতে তাঁর অবধারিত প্রত্যাবর্তন।

ক্যাবিনেট মন্ত্রী হিসাবে তিনি ইন্দিরা গান্ধী , রাজীব গান্ধী, পি.ভি.নরসিমা রাও, মনমোহন সিং প্রমূখ প্রধানমন্ত্রীদের সঙ্গে অতি দক্ষতার সঙ্গে ন্যস্ত দায়িত্ব পালন করেন সাফল্যের মুন্সিয়ানায়। পরিশেষে তিনি ২৫ শে জুলাই ২০১২ সালে ভারতের সর্বোচ্চ সাংবিধানিক পদ মহামহিম রাষ্ট্রপতির পদ অলঙ্কৃত করে বাঙালি তথা ভারতবাসীকে গর্বের উচ্চ শিখরে নিয়ে যান। তাঁর রাষ্ট্রপতিত্বের কালে ২০১২-১৪ এই দুই বছর মনমোহন সিংয়ের প্রধানমন্ত্রীত্ব এবং ২০১৪-১৭ সময়ে নরেন্দ্র মোদীর প্রধানমন্ত্রীত্বকে তিনি দেশ পরিচালনার পরামর্শ ও মার্গনির্দেশ দিয়েছিলেন এক রাষ্ট্রীয় অভিভাবক হিসেবে। 

প্রণববাবুর মহাপ্রয়াণের ঠিক একবছর পূর্বে ভারতের সর্বশ্রেষ্ঠ অসামরিক সম্মান "ভারতরত্ন"এ তিনি ভূষিত হন। আক্ষরিক অর্থে তিনি শুধু ভারতরত্ন নন বলা ভালো বিশ্বরাজনীতিতে প্রণববাবু ছিলেন "বিশ্বরত্ন"। 

এর আগেও প্রণববাবু দেশে ও বিদেশে বিভিন্ন সম্মানে সম্মানিত হয়ে আমাদেরকে সম্মানিত করেছেন। যেমন পৃথিবীর সেরা অর্থমন্ত্রী (১৯৮৪), ভারতের দ্বিতীয় সর্ব্বোচ্চ অসামরিক সম্মান পদ্মবিভূষণ (২০০৮), শ্রেষ্ঠ প্রশাসক (২০১১), একাধিক বিশ্ববিদ্যালয়ের সম্মানিক ডক্টরেট উপাধি, বাংলাদেশ মুক্তিযুদ্ধ সম্মান (২০১৩), আইভরি কোস্ট সরকার দ্বারা গ্রান্ডক্রস, আজারবাইজান দেশের সাম্মানিক নাগরিকত্ব (২০১৬) লাভ করে দেশবাসী হিসাবে আমাদেরকেও ধন্য করেছেন|

এককথায় তিনি ছিলেন বই'র পোকা। সময় বের করে বিভিন্ন বই পড়তে, আবার নিজেও অনেক বই লিখে গেছেন আমাদের জন্য। 

তাঁর লেখা উল্লেখযোগ্য গ্রন্থগুলি হলো-- "বিয়ন্ড সারভাইভাল", "এ সেন্টিনারী হিস্ট্রি অফ্ আই এন সি", "কংগ্রেস এন্ড মেকিং অফ্ দি নেশন", "দি টারবুলেট ইয়ার্স", "মিড টার্ম পোল অফ্ দি ট্র্যাক" ইত্যাদি|

আমি বাবার কাছে শুনেছি ইন্দিরাজী বোলপুরের এক  জনসভায় ভাষণ দিচ্ছিলেন এমন সময় হঠাৎ করে দমকা হাওয়ায় মাননীয়া প্রধানমন্ত্রীর মাথার ঘোমটা খুলে যায়, তৎক্ষণাৎ পাশে বসে থাকা প্রণববাবু তাঁর ঘোমটা ঠিক করে দেন এবং ইন্দিরা গান্ধী সদর্পে ঘোষণা করে বললেন "প্রণব ইজ মাই থার্ড সান"। প্রকৃতই মাতা-পুত্রের এমন আত্মিক সম্পর্ক যা দেশের রাজনীতিতে বাস্তবিক বিরল। 

১৯৭৭ সালে লোকসভা নির্বাচনে পরাজয়ের পর একদিন এলাহাবাদ স্টেশনের বেঞ্চে ইন্দিরাজীকে বসিয়ে রেখে প্রণববাবু রেলের টিকিট কাটতে গেছেন--- এসব কথা বাবার কাছেই শুনেছি। 

প্রণববাবু তাঁর নিজ রাজনীতির গুরু শ্রদ্ধেয় সুশীল ধারাকে কতটা শ্রদ্ধা ভক্তি করতেন সে কথা একটু বলি। ২০১১ সালে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সভার গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক চলছে। খবর পেলেন মহিষাদলে সুশীলবাবু প্রয়াত। সেই খবর পেয়েই তৎক্ষণাৎ বৈঠক ছেড়ে সস্ত্রীক ছুটে এলেন এবং সুশীলবাবুর অন্তিম সংস্কার কার্য নিজে দাঁড়িয়ে থেকে করলেন। তারপর আবার দিল্লি ফিরে গেলেন। তিনি নিজেও বারবার বলতেন "মহিষাদল আমার দ্বিতীয় গৃহ"। 

বর্ধমানের জনপ্রিয় কংগ্রেস নেতা সাধন ঘোষ প্রণববাবুর অতি ঘনিষ্ঠ ছিলেন। সেই সাধনবাবুর শ্রাদ্ধকর্ম অনুষ্ঠানেও তিনি হাজির হন এবং সহকর্মীর পরিবারকে স্বান্ত্বনা দেন। এমনই ছিল তাঁর দলীয় কর্মীদের প্রতি ভালোবাসা। 

শেষে সরকার বাহাদুর ও আপামর ভারতবাসীর নিকট একান্ত ভাবে প্রার্থনা করি যে এই সুমহান ব্যক্তিত্বের নামে প্রতিষ্ঠিত হোক "প্রণব মুখার্জী ইনস্টিটিউট অফ্ অ্যাপ্লায়েড পার্লামেন্টারি ডেমোক্রেসি এন্ড ইটস হিস্ট্রি"--যাতে বর্তমান ও আগামী প্রজন্ম ভারতবর্ষের বহুদলীয় গণতন্ত্রে আরও আস্থাশীল হয়, রাজনীতির প্রতি আকৃষ্ট হয় এবং দেশের জনগণতন্ত্রের ভীত আরও মজবুত হয়, জাতি সমৃদ্ধ হয়। জয়তু প্রণববাবু জয়তু। 

(লেখক পরিচিতি: কল্লোল সাহার পিতা অবণী কুমার সাহা ছিলেন বিধায়ক। স্বর্গীয় অবণীবাবু ছিলেন প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখোপাধ্যায়ের একনিষ্ঠ অনুগামী। বাল্যকালে রাজনৈতিক ঘরানায় বড় হলেও কল্লোলবাবু দুর্গাপুর ইস্পাত হাসপাতালে কর্মরত চিকিৎসক। বর্তমানে ওই হাসপাতালের ডেপুটি ডিরেক্টর পদে যুক্ত। চাকরি ছাড়াও পিতার সমাজ সেবামুলক ভাবধারায় দিক্ষিত হয়ে উঠেন কল্লোলবাবু। তাই কর্মের জগৎ লাগোয়া দুর্গাপুর শহর ও পৈত্রিক ভিটে সোনামুখীতে বসবাসকারী বহু দুস্থ রোগীকে বিনা পারিশ্রমিকে তিনি হামেশাই চিকিৎসা করে থাকেন। এককথায় লেখক একজন প্রকৃতই মানবিক চিকিৎসক হিসেবে বিভিন্ন এলাকায় সুপরিচিত)


Share To:

THE OFFNEWS

Post A Comment:

0 comments so far,add yours