শামা আরজু, লেখক, বাংলাদেশ:

আমি যখন তাকে ত্যাগ করতে বাধ্য হই। তখন আমার মেয়ের চৌদ্দ, ছেলের আট। সে আমার একমাত্র বন্ধু রোজিকে, বলেছিলো জানো ওর (আমার মেয়ে) মা ওকে কন্ট্রোল করতে পারবে না। রোজি বলেছিলো, তাহলে আপনি নিয়ে যান। সেই গদ্দার আর কথাই বলেনি। আরও বলেছিলো, (ওর আমার মেয়ে) মায়ের তো একটা সাঙ্গা (প্রথম বিয়ে) হয়েছে, ওর হবে আটটা।

ছেলে হবার আগে তিন মাস মাতৃত্ব ছুটি কাটিয়েছিলাম। অনেক আগে থেকেই থাইরয়েডের সমস্যায় ভুগছিলাম। ঢাকায় গিয়ে পরীক্ষা করাতে হবে।

ভাবলাম তিন মাসের বেতন একসাথে পাবো, এবার বুঝি আমার চিকিৎসাটা হবে। ওমা কোথায় কী! চেকবুক আমার প্রভুর (স্বামী) কাছেই থাকতো। আমার সামনে এনে বললো-

--সই (স্বাক্ষর) দে।

--আমি এগুলি দেব না।

--কেনো?

--আমি এগুলি দিয়ে আমার স্বাস্থ্যের জরুরি পরীক্ষা করাবো।

--না।

--কেনো?

--বাহ্ রে তিনটা মাস যে ঘরে ছিলই, তোর পিছনে আমার কতো খরচ হয়েছে হিসাব কর।

--ওহ্, এটা তবে আমার বিয়ানোর খরচ... 

এই বলেই চেকে সই করে দিলাম।

মাতৃত্বেয় দায় ও দাম একাই টেনে বেড়াই, গোঁসাইরা কেবল কথা শোনানোর জন্য ওঁৎ পেতে থাকে।

আমি থোড়াই কেয়ার করি!


Share To:

THE OFFNEWS

Post A Comment:

0 comments so far,add yours