সজল বোস, সমাজকর্মী, দুর্গাপুর:

রাফাল যুদ্ধ বিমান যেন এক ধাক্কায় ভারতীয় সেনার মনবল চাঙ্গা করে দিয়েছে, এদিকে ভারতের মাটি ছুঁতেই সমগ্র দেশের উৎসাহ ও নিজের প্রতি আত্মনির্ভরতা বেড়েছে বলেই মনে করছেন পররাষ্ট্রনীতি বিশেষজ্ঞদের একাংশ। আর সেই মোতাবেক চীনকে একটি পরিষ্কার ‘বার্তা’ দিতেই ভারতীয় নৌবাহিনী ভারত অতি তৎপর হয়ে তাঁদের সর্বশক্তি নিয়ে অনেক যুদ্ধ জাহাজ মহাসাগরীয় অঞ্চলের পূর্ব ও পশ্চিম নৌ কমান্ডের অধীনে মোতায়েন করেছে। 

প্রতিরক্ষা ও নিরাপত্তা বিষয়ক তথ্য তথ্যানুযায়ী, চীন সেই বার্তাটি বুঝতে পেরেছে। 
তথ্যসূত্র অনুসারে, লাদাখে চীনের সাথে বিরোধ শুরু হওয়ার পর থেকে তিন বাহিনীর প্রধানেরা নিয়মিত বৈঠক করে যাচ্ছেন, ফলে আত্মবিশ্বাস ও  যৌথভাবে সামরিক কৌশল ভারতের নতুন পথ কে সমৃদ্ধ করেছে। চীন ও পাকিস্তানের সাথে সম্ভাব্য সংঘাতের বিষয়টি মাথায় রেখে চীনা আগ্রাসনের জবাব দিতে ভারতীয় সামরিক বাহিনী প্রস্তুতি গ্রহণ করছে। 

সরকারী উচ্চ পর্যায়ের এক কর্মকর্তা জনিয়েছেন, সব দিক থেকে ভারত জবাব দিয়েছে চীনকে এবং চীন যা করেছে তা অগ্রহণযোগ্য। এই জবাবে সেনা, নৌ ও বিমানবাহিনী ও সেইসাথে কূটনীতি ও এমনকি অর্থনীতিও ছিল। সব দিক থেকে জবাব দেওয়ার বিষয়ে চীনকে ও ভাবতে হচ্ছে। 
জাহাজগুলো মোতায়েন করা হয়েছে চীনকে বার্তা দিতে সে বিষয়ে খোলসা না করলেও কূটনীতিকদের ধারণা কিন্তু এটাই আর চীন বার্তাটি গ্রহণ করেছে কিনা এই প্রশ্নের বিষয়ে চীনও তা গম্ভীরতার সাথেই দেখছে। অবশ্য ওই কর্মকর্তা বার্তাটির বিষয়ে কিছু বলেননি। কীভাবে তা গ্রহণ করা হয়েছে, তাও নিশ্চিত করেননি।
মনে করা হচ্ছে চীন সবসময়ই মালাক্কা প্রণালীতে ভারতের সম্ভাব্য অবরোধের ব্যাপারে চিন্তিত। কারন এই পথেই  পেট্রোলসহ চীনা বাণিজ্য পণ্যের শীর্ষ ভাগ পরিবহন করা হয়।

তবে সূত্র অনুসারে এখন পর্যন্ত চীনা নৌবাহিনীর ‘আশঙ্কাজনক’ কোনো গতিবিধি নজরে আসেনি ভারতীয় নৌবাহিনীর। নৌবাহিনী অতিরিক্ত সংখ্যক জাহাজ মোতায়েন করেছে ঠিক তবে সংখ্যাটির ব্যপ্তি প্রকাশ করা হয়নি।

সরকারি সূত্র অনুসারে , আন্দামান ও নিকোবর কমান্ডভারতের অন্যতম একটি ঘাঁটি এটিই ভারতের একমাত্র ট্রাই-সার্ভিস কমান্ড।
সূত্র জানিয়েছে, এই স্থানটি নিয়ে অনেক পরিকল্পনা করা হয়েছে। স্থানটি মালাক্কা প্রণালীর খুব কাছে অবস্থিত।

ভারতীয় বিমান বাহিনী এখানে তাদের নৌহামলা সংস্করণ পাঠিয়েছে। এই কমান্ড থেকে ভারতীয় নৌবাহিনী মালাক্কা প্রণালীতে নিজেদের প্রাধান্য বিস্তার করতে সক্ষম তা পরিস্কার। যাই হোক কেউ যদি চোখ রাঙায় তাহলে ভারত যে সেটা কে ভালো ভাবে নেবে না টা আজকের ভারতের সরকারের পরিকল্পনা। কিন্তু এশিয়া মহাদেশের শান্তির বিষয়ে ভারতের ভূমিকা সব থেকে বড়। কিন্তু তা বলে সেটা সহ্য করবে না এটা পরিস্কার। সেই করি সেই গানের লাইন দিয়ে "আমরা তোমার শান্তিপ্রিয় শান্ত ছেলে, তবু শত্রু এলে অস্ত্র হাতে ধরতে জানি, তোমার ভয় নেই মা আমরা প্রতিবাদ করতে জানি।' 

Share To:

THE OFFNEWS

Post A Comment:

0 comments so far,add yours