ভবানীপ্রসাদ ভট্টাচার্য, ফিচার রাইটার, দুর্গাপুর:
দুর্গাপুরের অতীত ঐতিহ্য শুধু উজ্জ্বল নয়, অতীব গর্বের। পুর্বেই উল্লেখ করা হয়েছে দু'টি মঙ্গল কাব্যের পটভূমি বর্তমান দুর্গাপর। বহু বছর পুর্বে এই দুর্গাপর ছিল। শাল-শিমুল পলাশ -পিয়ালের ঘন জঙ্গলের মাঝে মাঝে ছোট ছোট গ্রাম। সন্ধ্যা নামলেই গাড় অন্ধকারে ডুবে যেত গোটা এলাকা। ঝি ঝি পোকার ডাকের মাঝে শোনা যেত হিংস্র জন্তু জানোয়ারের জান্তব চিৎকার। কখনো কখনো জলন্ত মশাল হাতে ছুটে আসতো ডাকাতের দল।
আর এজন্যই গড়ে উঠেছে নানা কিংবদন্তী ও কল্পকাহিনী। শুধু মাত্র এই জনপদের নাম 'দুর্গাপর ' হওয়ায় দুর্গাপর বাসীর সংখ্যা গরিষ্ঠ মানুষের বদ্ধমূল ধারণা, ঋষি বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় -এর যুগান্ত সৃষ্টিকারী উপন্যাস 'দেবী চৌধুরানীর 'পটভূমি এই দুর্গাপর এবং বর্তমান সিটিসেন্টারের সন্নিকটে সুউচ্চ স্হানে আবস্হিত টিলাটি দেবীচৌধুরানীর গুরু ভবানী পাঠকের কিন্তু এটি একটি ভ্রান্ত ধারণা। দুর্গাপর নামে পশ্চিম বঙ্গে অন্তত সতেরটি জনপদের নাম আছে।সংখ্যাটি তিরিশের কম নয়। তাছাড়া ঋষি বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের দেবীচৌধুরানী উপন্যাসের পটভূমি বর্তমান দুর্গাপর নয়। অধুনা বাংলা দেশের রংপুর জেলা ও উত্তর বঙ্গের জলপাইগুড়ি জেলার বৈকুন্ঠপুরের বিস্তৃত বনাঞ্চল। আজ ও সেখানে দেবীচৌধুরানীর মন্দিরের সাথে ভবানী পাঠকের কালী মন্দির রয়েছে।
বর্তমান শিল্প শহর দুর্গাপুরে ' দুর্গাপর ' নামে কোন গ্রাম বা মৌজার অস্তিত্ব নেই। (চলবে)
Post A Comment:
0 comments so far,add yours