ভবানীপ্রসাদ ভট্টাচার্য, ফিচার রাইটার, দুর্গাপুর:

দুর্গাপর স্টেশন থেকে  মুচিপাড়া  হয়ে শিবপুর  যাওয়ার  রাস্তার ধারে  বামুনাড়া  গ্রাম।  দুর্গাপুর  স্টেশন থেকে  দুরত্ব  ৭ কিঃমিঃ  আর মুচিপাড়া  মোড় থেকে  ২ কিঃমিঃ।  বহু  পূর্বে  গ্রামের নাম ছিল ' ব্রাক্ষন আড়া'। রাঢ়াপুরীর  তথা  আড়া  গ্রামের  সাথে  বামুনাড়া গ্রামের  নিবিড়  সম্পর্ক।  এই  গ্রমের  সিদ্ধসাধক ও নৃপতি  ভুবনেশ্বর  রায়ের  নামানুসারে ' ভুবনেশ্বর  শিব ' রাঢ়েশ্বর  ও  ভুবনেশ্বর  এর  গাজন  হয়  চৈত্র সংক্রান্তিতে।  এই  উপলক্ষে বামুনাড়া  ও আড়ার  মাঝে 'পদুমা ' নামে একটি  পুকুরেরপাড়ে  পাট লড়াই  হয়  প্রতি বছর। 
             গ্রামের  প্রাচীনত্বের  প্রমাণ দেয়  উত্তর  প্রান্তে  শিবগড়ে  নামে  একটি  পুকুর পাড়ে  ভুবনেশ্বর শিব  ও মা  আনন্দময়ীর মন্দির  সংলগ্ন স্থানে  বহুপ্রাচীন সম্ভবতঃ  গুপ্তোত্তর  যুগের   নৃত্যরত অষ্টভুজ নটরাজ  মূর্তি  এবং তার পাশে কয়েকটি  হিন্দু   ভগ্ন দেবদেবী  ও জৈন মূর্তি। 
                এই গ্রামের  পাশেই  গোপালপুর  গ্রামে।  তখন  মুনসসেফ  আদালত  ছিল। সেই  আদালতের স্বনামধন্য   আইনজীবী  ছিলেন  বামুনাড়া গ্রামের  মহেশ চন্দ্র  মুখোপাধ্যায়। পরে  আদালতটি প্রথমে।  বা৺কুড়ার। বড়জোড়া  পরে  গঙ্গাজলঘা৺টি শেষে  বা৺কুড়া  সদরে স্হানান্তররিত হয়। 
           মহেশবাবু  শুধু  একজন  প্রথিতযশা  উকিল  ছিলেন  না। তিনি  ছিলেন  দয়ালু, বাগ্মী, সুরসিক, মানুষের  অন্নদাতা।  তাই  বা৺কুড়া  ও গঙ্গাজলঘা৺টির  মানুষ তাঁকে চিরকাল  মনে  রাখবে। তিনি সুলেখক  ও সু  কবিয়াল  ছিলেন। তিনি  প্রহ্লাদ চরিত্র, বামনভিক্ষা, তরনীসেন  বধ, ও অহল্যা  উদ্ধার  নাটক  রচনা করেন। (চলবে )

Share To:

THE OFFNEWS

Post A Comment:

0 comments so far,add yours