প্রিয়াঙ্কা সরকার, লেখিকা, বর্ধমান:
 
শকুনি কালের উত্তরদাতা ; তাঁর কর্মগুণ প্রতিবাদের প্রতিহিংসা রূপে বার বার ধরা দিয়েছে। তবে কি সেদিন জণগণের অভীপ্সা ফিরে গেছে বলেই শকুনি আজ প্রতিদ্বন্দ্বী!  জনগণের ইচ্ছা, অসন্তোষ, নিরন্তর শাসিতের মতামত কি সেদিনও গ্রাহ্য হয়নি।  গণতন্ত্রের সারবেত্তা তো অবাধ ব্যক্তিস্বাধীনতা।  কিন্তু কই!  অপহরণ, ক্রোধ, লিপ্সা সব জুড়েই তো বৃহৎ এই বংশ, তাই প্রতিশোধের আঘাত..নিশ্চয় এটাই তো প্রাপ্তি তাঁদের।

অন্তঃকরণে প্রতিধ্বনি হয়েছে বার বার প্রতিশোধের ধ্বনি। জিইয়ে রাখতে হবে তো ক্রোধ। দিগন্তের প্রতিধ্বনিতে তাই নিরালায় আলাপ করতেন, বলতেন, "আমি পরাজিত হব না; গান্ধারের অপমান, গান্ধারীর অবমাননা ভুলিনি, ভুলবো না!" নিরালায় অরণ্য, নদী এতো তাঁর সুখস্মৃতি। মানসপটে রূপসুধান পান মানেই তো তাঁর কাছে গান্ধার। 
শকুনির কাছে বংশীধারী তো ভাবভূমির গুণগ্রাহী রাজা। ভীষ্মের নিয়মনিয়ন্ত্রিত চরাচরে শকুনি তো মূল্যবোধের সমন্বয়ী শিল্পী। আবেগের স্রোতে রক্তাক্ত যাতনায় একাগ্র চিত্ত শকুনি। অনুরণনের প্রতিভূ পুরুষ তো কৃষ্ণ। আসলে ধ্বংসের মনোবাসনা তো তিলে তিলে একা শকুনি তো, জিতিয়ে দিতে চান স্বয়ং কৃষ্ণ।  শকুনি জানতেন, ভীষ্মসহ সমগ্র কুরুরাষ্ট্রের বিলয়। তিনি স্বয়ং গান্ধারীর  বিরূপ ভাগ্য থেকে রক্ষা করতে পারেন নি। গান্ধার তাঁকে নিয়ে  আত্মত্যাগের মূল্য দিয়েছে৷ বক্তব্যের প্রতি শ্রদ্ধাশীল সংযত পদক্ষেপ তো তারই প্রাপ্য৷ তাই ধর্ম রাজ্য প্রতিষ্ঠার সময় এসেছে আজ।। সেদিন নারীর স্বাধীনতা হবে অধিকার। সে ভূমিতে রাজ করবে খান্ডবপ্রস্থের স্বামী। অনুরণিত ভূমি, " ধর্মরাজ্য " তাঁর। (ক্রমশঃ)

Share To:

THE OFFNEWS

Post A Comment:

0 comments so far,add yours