ভবানীপ্রসাদ ভট্টাচার্য, ফিচার রাইটার, দুর্গাপুর:

দুর্গাপুরের  অত্যন্ত  প্রাচীন গ্রাম  ভিরিঙ্গী।  দুর্গাপর  স্টেশন থেকে  আট  কিঃমিঃ  উত্তর  পশ্চিমে  দু  নম্বর  জাতীয়  সড়ক  ও  নাচন রোডের ধারে  ভিরিঙ্গী  গ্রাম। ধরমা  পুকুরের  পশ্চিম  পাড়ে 'অনাদিশ্বর ' শিব মন্দির।  ভক্তদের বিশ্বাস বাবা  ভোলানাথ  নাথের  মাথায়  জল  ঢাললে  মনোবাঞ্ছা  পূর্ন  হয়। প্রায়  পঞ্চাশ  বছর  পূর্বে  এখানে তিনটি  ভগ্ন বিষ্ণু  মূর্তি  উদ্ধার  হয়। 
          গ্রাম্য দেবতা  অনাদিশ্বর  শিব।  শিবের  সহচর  নন্দী  ও ভৃঙ্গী। সম্ভবতঃ  ভৃঙ্গী  থেকেই  গ্রামের নাম  ভিরিঙ্গী।  
           এই  গ্রামেই জন্মেছিলেন  সিদ্ধ  সাধক  অক্ষয় কুমার রায়।  মাত্র  ১৮ বছর  বয়সে  হিমালয়ের  পরিব্রাজক  নাগা  সন্ন্যাসী তুলসী  দাস। গোঁসাই এর  নির্দেশে  ভিরিঙ্গী  গ্রামের  কুমোর  বাঁধের  পাড়ে ১২৬৯ বঙ্গাব্দে অগ্রহায়ণ  মাসের অমাবস্যার মহা  নিশায়  শ্মশান ভুমিতে    পঞ্চমুন্ডির বেদীতে   তাল পাতার  পর্ন কুটিরে  প্রতিষ্ঠা  করেন  শ্মশান কালী মায়ের। 
               কুমোর  বাঁধ থেকে  মধ্য রাতে  পুন্যবারি  এনে  ঘট স্থাপন  করে  পূজা  শেষে  শ্মশান  এর  শবদাহের  অবশিষ্ট  কাঠ দিয়ে যজ্ঞ সম্পন্ন  করা হ'ল। দুর্গাপুরের  বুকে  রচিত  হ'ল  ইতিহাসের  নতুন  অধ্যায়। (চলবে)

Share To:

THE OFFNEWS

Post A Comment:

0 comments so far,add yours