ভবানীপ্রসাদ ভট্টাচার্য, ফিচার রাইটার, দুর্গাপুর:
বিষেন কুমারী শুধু রূপবতী ছিলেন না, ছিলেন প্রখর বুদ্ধিমতীও। মহারাজা ত্রিলোকচাঁদ মৃত্যুকালে তাঁর নাবালক পুত্র তেজচন্দ্রের ভার অর্পন করে যান মহারানী বিষেন কুমারী ও সুযোগ্য দেওয়ান রূপনারায়ন চৌধুরীর উপর। মহারাজা ত্রিলোকচাঁদ এর মৃত্যুর সময় তাঁর পুত্র তেজচন্দ্রের বয়স মাত্র ছ'বছর।
পুত্র তেজচন্দ্রের অভিডাবক রূপে মহারানী বিষেন কুমারী রাজ্য পরিচালনার ভার নিজে নিয়ে নেন।
উচ্চপদস্হ রাজকর্মচারীরা মহারানীর এই উদ্যোগের তীব্র বিরোধিতা করলেও মহারানী বিষেন কুমারী তেজস্বিতা, ধৈর্য আর তীক্ষ্ণ বুদ্ধিমত্তার জোরে সব বাধা অতিক্রম করেন। তিনি নিজ পুত্রের জন্য এলাহাবাদের সম্রাট দ্বিতীয় শাহ আলমের নিকট দরবার করে তাঁর প্রধান সেনাপতি সরফৎউদ্দৌল্লা। সারেফ খানের নিকট তেজচন্দ্রের জন্য মহারাজাধিরাজ উপাধি, এবং ৫০০০ পদাতিক, ৩০০০ অশ্বারোহী সৈন্য, কামান, সামরিক বাদ্য, তোপ রাখার ও ব্যবহারের অনুমতি আদায় করেন।
রূপনারায়ন চৌধুরীর পরিবর্তে ব্রজকিশোর রায়কে দেওয়ান নিযুক্তিকে কেন্দ্র করে মহারানী বিষেন কুমারী হোস্টিংস এর সাথে বিবাদে জড়িয়ে পড়েন। মহারানী বিষেন কুমারী প্রমান করে দেন ব্রজকিশোর এগারো লক্ষ টাকা আত্মসাৎ করেছেন এবং এর সিংহভাগ পেয়েছেন ওরারেন হোস্টিংস।
মহারানী বিষেন কুমারীর আর একটি বড় কীর্তি বর্ধমানের বিখ্যাত ১০৮ শিব মন্দির। (চলবে)
Post A Comment:
0 comments so far,add yours