ভবানীপ্রসাদ ভট্টাচার্য, ফিচার রাইটার, দুর্গাপুর:
রাঢ়েশ্বর শিবমন্দির ও আড়রা গ্রাম থেকে ১ কিঃ মিঃ দক্ষিনে বামুনাড়া গ্রাম! পূর্বে গ্রামটির নাম ছিল ব্রাক্ষ্মন আড়া!( পুরানো দলিল ও নথিতে উল্লেখ আছে)! গ্রামটি বহু প্রাচীন এবং ব্রাক্ষ্মনদের আধিক্য থাকায় গ্রামের নাম হয় ' ব্রাক্ষ্মন আড়া ' পরে কথ্যভাষায় ' বামুনাড়া'য় পরিনত হয়!
গ্রামে ব্রাক্ষ্মনদের মধ্যে ' ভট্টাচার্য্য'পদবীধারীরা সংখ্যা গরিষ্ঠ হলেও, চ্যাটার্জী, মুখার্জী, ব্যানার্জী, গোস্বামীরাই গ্রামের আদি! সদগোপ না থাকলেও আগুরীদের সংখ্যা ব্রাক্ষ্মনদের প্রায় সম সংখ্যক.এ ছাড়াও রাজ্যের অন্য স্হান থেকে বহু মানুষ এখানে এসে বাস করছেন! গ্রামে হিন্দু সম্প্রদায়ের প্রায় জাতির বাস থাকলেও গোয়ালা এবং হাঁড়ি সম্প্রদায়ের বাস নেই! গ্রামে বর্ন হিন্দুদের মধ্যে বাউরী, বাগদী, মুচি,ডোম এবং সাঁওতালদের বাস রয়েছে!গ্রামের জমিদারীত্ব গোপীনাথপুরের চ্যাটার্জী পরিবারের কাছে ন্যস্ত ছিল! গ্রামের ভট্টাচার্য্যরা পার্বশ্ববর্তী খাঁটপুকুর গ্রামের জমিদার ছিলেন!
এই গ্রামের কোন জমিদার পরিবার না থাকার কারন সম্পর্কে একটি জনশ্রুতি , বহুপূর্বে এই গ্রামের পাল পরিবারের একজন বর্ষাকালে মাছ ধরার জন্য আড়া পেতেছিল ( এটি গ্রাম বংলায় বর্ষাকালে পুকুর থেকে মাঠে চলে আসা মাছ ধরার পদ্ধতি)! কিন্তু প্রতিদিন ভোরে গিয়ে দেখতো সব মাছ রাতে চুরি হয়ে যাচ্ছে! একদিন মাঝরাতে একটি কোদাল নিয়ে বেরিয়ে পড়ে চোরকে মারতে!
দুর থেকে দেখতে পায় তার পাতা আড়ার গর্তে ( যেখানে মাছ জমা হয়) একটা উজ্বল আলো জ্বলছে)! রাগে অগ্নিশর্মা হয়ে কোদালটা গর্তে ছুঁড়ে দেয়! কাছে দেখে একটি বিষধর গোখরো সাপ দুটুকরো হয়ে ছটফট করছে আর পাশে একটি ছোট পাথর থেকে ঠিকরে আলো বেরচ্ছ! কিছুক্ষনের মধ্যে সাপটি মারা গেলে সেই পাথরটি যেটি আসলে ' স্বর্পমনি ' নিয়ে বাড়ী ফিরে আসে! সেটি প্রতিরাতে বাড়ীর আলোর অভাব মেটাতো! এই সংবাদ দ্রুত গ্রামে ছড়িয়ে পড়ল দাবানলের মতো! বর্ধমানের মহারাজারের কানে পৌঁছাতে দেরী হলো না!
বর্ধমান থেকে মহরাজার প্রতিনিধি বিশাল ভু সম্পত্তির বিনিময়ে সেই স্বর্পমনিটি নিয়ে গেলেন!
হতদরিদ্র অবস্হা থেকে গ্রামের সবচেয়ে ধনী হয়ে গেল পাল পরিবার ! যে ব্যাক্তি সাপের মনি পেয়েছিলেন তাঁর আসল নামটা হারিয়ে গিয়ে হয়ে গেল ' মানিক পাল '! (চলবে)
রাঢ়েশ্বর শিবমন্দির ও আড়রা গ্রাম থেকে ১ কিঃ মিঃ দক্ষিনে বামুনাড়া গ্রাম! পূর্বে গ্রামটির নাম ছিল ব্রাক্ষ্মন আড়া!( পুরানো দলিল ও নথিতে উল্লেখ আছে)! গ্রামটি বহু প্রাচীন এবং ব্রাক্ষ্মনদের আধিক্য থাকায় গ্রামের নাম হয় ' ব্রাক্ষ্মন আড়া ' পরে কথ্যভাষায় ' বামুনাড়া'য় পরিনত হয়!
গ্রামে ব্রাক্ষ্মনদের মধ্যে ' ভট্টাচার্য্য'পদবীধারীরা সংখ্যা গরিষ্ঠ হলেও, চ্যাটার্জী, মুখার্জী, ব্যানার্জী, গোস্বামীরাই গ্রামের আদি! সদগোপ না থাকলেও আগুরীদের সংখ্যা ব্রাক্ষ্মনদের প্রায় সম সংখ্যক.এ ছাড়াও রাজ্যের অন্য স্হান থেকে বহু মানুষ এখানে এসে বাস করছেন! গ্রামে হিন্দু সম্প্রদায়ের প্রায় জাতির বাস থাকলেও গোয়ালা এবং হাঁড়ি সম্প্রদায়ের বাস নেই! গ্রামে বর্ন হিন্দুদের মধ্যে বাউরী, বাগদী, মুচি,ডোম এবং সাঁওতালদের বাস রয়েছে!গ্রামের জমিদারীত্ব গোপীনাথপুরের চ্যাটার্জী পরিবারের কাছে ন্যস্ত ছিল! গ্রামের ভট্টাচার্য্যরা পার্বশ্ববর্তী খাঁটপুকুর গ্রামের জমিদার ছিলেন!
এই গ্রামের কোন জমিদার পরিবার না থাকার কারন সম্পর্কে একটি জনশ্রুতি , বহুপূর্বে এই গ্রামের পাল পরিবারের একজন বর্ষাকালে মাছ ধরার জন্য আড়া পেতেছিল ( এটি গ্রাম বংলায় বর্ষাকালে পুকুর থেকে মাঠে চলে আসা মাছ ধরার পদ্ধতি)! কিন্তু প্রতিদিন ভোরে গিয়ে দেখতো সব মাছ রাতে চুরি হয়ে যাচ্ছে! একদিন মাঝরাতে একটি কোদাল নিয়ে বেরিয়ে পড়ে চোরকে মারতে!
দুর থেকে দেখতে পায় তার পাতা আড়ার গর্তে ( যেখানে মাছ জমা হয়) একটা উজ্বল আলো জ্বলছে)! রাগে অগ্নিশর্মা হয়ে কোদালটা গর্তে ছুঁড়ে দেয়! কাছে দেখে একটি বিষধর গোখরো সাপ দুটুকরো হয়ে ছটফট করছে আর পাশে একটি ছোট পাথর থেকে ঠিকরে আলো বেরচ্ছ! কিছুক্ষনের মধ্যে সাপটি মারা গেলে সেই পাথরটি যেটি আসলে ' স্বর্পমনি ' নিয়ে বাড়ী ফিরে আসে! সেটি প্রতিরাতে বাড়ীর আলোর অভাব মেটাতো! এই সংবাদ দ্রুত গ্রামে ছড়িয়ে পড়ল দাবানলের মতো! বর্ধমানের মহারাজারের কানে পৌঁছাতে দেরী হলো না!
বর্ধমান থেকে মহরাজার প্রতিনিধি বিশাল ভু সম্পত্তির বিনিময়ে সেই স্বর্পমনিটি নিয়ে গেলেন!
হতদরিদ্র অবস্হা থেকে গ্রামের সবচেয়ে ধনী হয়ে গেল পাল পরিবার ! যে ব্যাক্তি সাপের মনি পেয়েছিলেন তাঁর আসল নামটা হারিয়ে গিয়ে হয়ে গেল ' মানিক পাল '! (চলবে)
Post A Comment:
0 comments so far,add yours