ভবানীপ্রসাদ ভট্টাচার্য, ফিচার রাইটার, দুর্গাপুর:
দেবদেবীর মন্দিরময় গ্রাম তিনটিতে যেখানে শাক্ত , শৈব ও বৈষ্ণব ধর্মের সহবস্হান! সেখানে কিংবদন্তী এবং দেব - দেবীর মাহাত্ম্য নিয়ে অলৌকিক কাহিনী প্রচলিত থাকবে এটাই স্বাভাবিক!
অজয় নদের তীরে জনমানবহীন স্হানে প্রতিবছর নবমীতে পাষান - দুর্গার পূজা হয়! এই দুর্গামাতার সেবাইত অযোধ্যা গ্রামের ঘটক পরিবার! পাষান-দুর্গাকে কেন্দ্র করে নানা অলৌকিক কাহিনীর সাথে কিংবদন্তী প্রচলিত আছে!
জনশ্রুতি,আজ থেকে প্রায় দু'শ বছর আগে,ঘটকবাড়ীর গৃহকর্তা বিষ্ণু নারায়ন ঘটকের কাছে এক শাঁখারী দাবী করেন তাঁর বিবাহিতা কন্যা শাঁখা পরেছেন এবং শাখার দাম তার বাবা দিয়ে দেবে এবং বাড়ীর ঈশান দিকের কোলঙ্গায় সেই পয়সা আছে! শাঁখারীর কথা শুনে আকাশ থেকে পড়েন বিষ্ণু নারায়ন! তিনি শাঁখারীকে বলেন, তাঁর কোন কন্যা সন্তান নেই! তাই শাঁখার দাম তিনি কেন দেবেন! কিন্তু শাঁখারী বারংবার শাঁখার দাম দাবী করলে শেষমেষ বিষ্নু নারায়ন বাড়ীর ঈশান কোনের কোলঙ্গায় পয়সার খোঁজ করতে গিয়ে অবাক হয়ে যান!সত্যিই সেখানে কয়েকটি কড়ি আছে! শাঁখারীকে সেই কড়ি দিয়ে তাঁকে নিয়ে ছুটে যান নদীর পাড়ে! সেখানে শাঁখারী কিশোরীকে শাঁখা পরিয়েছিলেন ! বিষ্ণু নারায়ন " মা " "মা -একবার দেখা দে মা "বলে কেঁদে কেঁদে ছুটে বেড়াতে থাকেন! হঠাৎ অজয়ের মাঝ থেকে দুটি শাঁখা পরা কিশোরীর হাত দেখতে পান! আর সেই রাতেই স্বপ্নে মা দুর্গার আদেশ দেন " আমি নদীর পাড়েই পাছি তুই আমার পূজা কর!" পরদিন নদীর পাড়ে একটি শিলাখন্ড খুঁজে পান বিষ্ণু নারায়ন ঘটক! আর পাথরের খন্ডটির পূজা শুরু করলে দেবী " পাষান দুর্গা " নামে খ্যাতা হ'ন!
এই সত্যসত্য নিয়ে প্রশ্ন উঠাই স্বাভাবিক! তবে এই একই কিংবদনতী বাংলার বহু গ্রামে শোনা যায়! (চলবে)
দেবদেবীর মন্দিরময় গ্রাম তিনটিতে যেখানে শাক্ত , শৈব ও বৈষ্ণব ধর্মের সহবস্হান! সেখানে কিংবদন্তী এবং দেব - দেবীর মাহাত্ম্য নিয়ে অলৌকিক কাহিনী প্রচলিত থাকবে এটাই স্বাভাবিক!
অজয় নদের তীরে জনমানবহীন স্হানে প্রতিবছর নবমীতে পাষান - দুর্গার পূজা হয়! এই দুর্গামাতার সেবাইত অযোধ্যা গ্রামের ঘটক পরিবার! পাষান-দুর্গাকে কেন্দ্র করে নানা অলৌকিক কাহিনীর সাথে কিংবদন্তী প্রচলিত আছে!
জনশ্রুতি,আজ থেকে প্রায় দু'শ বছর আগে,ঘটকবাড়ীর গৃহকর্তা বিষ্ণু নারায়ন ঘটকের কাছে এক শাঁখারী দাবী করেন তাঁর বিবাহিতা কন্যা শাঁখা পরেছেন এবং শাখার দাম তার বাবা দিয়ে দেবে এবং বাড়ীর ঈশান দিকের কোলঙ্গায় সেই পয়সা আছে! শাঁখারীর কথা শুনে আকাশ থেকে পড়েন বিষ্ণু নারায়ন! তিনি শাঁখারীকে বলেন, তাঁর কোন কন্যা সন্তান নেই! তাই শাঁখার দাম তিনি কেন দেবেন! কিন্তু শাঁখারী বারংবার শাঁখার দাম দাবী করলে শেষমেষ বিষ্নু নারায়ন বাড়ীর ঈশান কোনের কোলঙ্গায় পয়সার খোঁজ করতে গিয়ে অবাক হয়ে যান!সত্যিই সেখানে কয়েকটি কড়ি আছে! শাঁখারীকে সেই কড়ি দিয়ে তাঁকে নিয়ে ছুটে যান নদীর পাড়ে! সেখানে শাঁখারী কিশোরীকে শাঁখা পরিয়েছিলেন ! বিষ্ণু নারায়ন " মা " "মা -একবার দেখা দে মা "বলে কেঁদে কেঁদে ছুটে বেড়াতে থাকেন! হঠাৎ অজয়ের মাঝ থেকে দুটি শাঁখা পরা কিশোরীর হাত দেখতে পান! আর সেই রাতেই স্বপ্নে মা দুর্গার আদেশ দেন " আমি নদীর পাড়েই পাছি তুই আমার পূজা কর!" পরদিন নদীর পাড়ে একটি শিলাখন্ড খুঁজে পান বিষ্ণু নারায়ন ঘটক! আর পাথরের খন্ডটির পূজা শুরু করলে দেবী " পাষান দুর্গা " নামে খ্যাতা হ'ন!
এই সত্যসত্য নিয়ে প্রশ্ন উঠাই স্বাভাবিক! তবে এই একই কিংবদনতী বাংলার বহু গ্রামে শোনা যায়! (চলবে)
Post A Comment:
0 comments so far,add yours