দেবর্ষি মজুমদার, লেখক, বীরভূম:

খাবার ও পানীয় জলের অভাবের কারণে চরম ভোগান্তি পরিযায়ী শ্রমিক যাত্রীদের। এমনকি বেশ কিছু যাত্রীর দুর্গাপুরে নামার কথা থাকলেও তাদের না নামিয়ে নিউ জলপাইগুড়ির উদেশ্যে রওনা দেয় ট্রেন। ফলে ট্রেন রামপুরহাট ষ্টেশন থামতেই শুরু হয় যাত্রী বিক্ষোভ। এর ফাঁকে ট্রেন থেকে নেমে পড়েন ১৭ জন যাত্রী। তাদের বাড়ি পাঠিয়ে হোম কোয়ারান্টিনে থাকার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
     জানা গিয়েছে, ১২ মে কর্ণাটকের ব্যাঙ্গালোর ষ্টেশন থেকে একটি স্পেশাল ট্রেন ছাড়ে। ওই ট্রেনে সমস্ত যাত্রীই ছিলেন রাজ্যের। ট্রেনের যাত্রীদের কারও বাড়ি বাঁকুড়া, কারও বা পুরুলিয়া, পূর্ব বর্ধমান, পশ্চিম বর্ধমান, বীরভূম কিংবা মালদা। ঠিক ছিল ট্রেনের পুরুলিয়া, বাঁকুড়া, দুই বর্ধমানের যাত্রীদের নামানো হবে পুরুলিয়া ষ্টেশনে। কিন্তু সেখানে না নামিয়ে পরে বলা হয় দুর্গাপুরে নামানো হবে। সেখানও যাত্রীদের নামতে দেওয়া হয়নি। এরপর বুধবার দুপুরে ট্রেন রামপুরহাট ষ্টেশনে থামতেই যাত্রীরা প্লাটফর্মে নেমে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করে। তাদের অভিযোগ পানীয় জল নেই। খাবার নেই। এমনকি বাথরুমেও জল নেই। দীর্ঘক্ষণ বিক্ষোভ চলার ফাঁকে ১৭ জন যাত্রী ট্রেন থেকে নেমে পড়েন। তাদের মধ্যে পাঁচ জনের বাড়ি বীরভূমের মুরারই থানার রাজগ্রাম, একজন মল্লারপুর থানার বীরচন্দ্রপুর গ্রামে। দুজন মুর্শিদাবাদ জেলার খড়গ্রাম এলাকার বাসিন্দা। বাকিরা পূর্ববর্ধমান জেলার গলসির বাসিন্দা। ট্রেন যাত্রী কোচবিহারের বাসিন্দা উৎপল বর্মণ বলেন, “বাংলায় অভাব অনটন বেশি। কাজের পরিবেশ নেই। তাই কেরালা কাজ করতে গিয়েছিলাম। ৭৮০ টাকা দিয়ে টিকিট কেটে ট্রেনে উঠেছি। খাবারের অভাব। পানীয় জল নেই।” পুরুলিয়ার বাসিন্দা বলদেব গোপ বলেন, “আমরা পুরুলিয়ার টিকিট কেটেছিলাম। কিন্তু সেখানে ট্রেন থামেনি। এরপর আসানসোলে বলা হয় সবকে দুর্গাপুরে নামানো হবে। কিন্তু সেখানেও নামতে দেওয়া হয়। এই ট্রেন আমাদের নিয়ে গোটা রাজ্য ঘোরাচ্ছে। কার ব্যর্থতার কারণেই আমাদের ট্রেনের মধ্যে খালি পেটে ঘোরানো হচ্ছে”। বিক্ষোভের মধ্যেই আধঘণ্টা পর ট্রেন রামপুরহাট ষ্টেশন থেকে ছেড়ে যায়। প্রশাসনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে,  যারা রামপুরহাট ষ্টেশনে নেমেছেন তাদের বাড়ি পাঠিয়ে দেওয়া হবে।

Share To:

THE OFFNEWS

Post A Comment:

0 comments so far,add yours