জীবন রায়, প্রাক্তন সিপিএম সাংসদ, রাজ্যসভা, দুর্গাপুর:

সাধারনভাবে গনতন্ত্রকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্যে যারা নিজেদের দায়বদ্ধতার কথা ঘোষনা করেছেন, তাদের কাছ থেকে,
---- হটাৎ করে নেমে আসা,   কোন জটিল পরিস্থিতিতে ভাবগত নেতৃত্ব কতটুকু আশা করা যেতে পারে,  সে অগ্নিপরীক্ষাই সম্ভবতঃ  সামনে এসে দাড়াচ্ছে।

অভিজ্ঞতাই আমায় নিশ্চিত করেছে
সাম্যে বা মহামানবিকতা অথবা চিত্ত মুক্তিতে
যারা দায়বদ্ধতা ঘোষনা করেছেন,
যারা অক্টোবর বিপ্লব কিংবা দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে
সাম্যের বিজয়কে
----- বিশ্ব মানবতার শৃংখলমুক্তির প্রথম দুই মহা বিপ্লবের স্বিকৃতি যারা দিয়েছেন কিংবা দিতে চাইবেন, তারাই আজকের ঘনায়মান বিশ্ব সংকটে মানবজাতীকে রাস্তা চিনিয়ে সমুদ্র পাড় করিয়ে দিতে পারবে।

সাম্য যখন করোনা উত্তোরনের কথা ভাবছেন,
তখনো যদি একই সাথে করোনা উত্তর কালের সম্ভাব্য পরিস্থিতির কথা
চিন্তা চিন্তনের গভীরে না রাখেন বিশ্ব তছনছ হয়ে যাবে। করনো উত্তরকালে, এটা নিশ্চিত বিশ্বায়ন কিংবা গ্লোবালাইজেসন, বিশ্বমানবতাকে আর কোন
গমনতান্ত্রিক কাঠামোর ভেতরে ধরে রাখতে পারবে না।

ইতিমধ্যে কংগ্রেসের রাহুল গান্ধী যদি এই মর্মে ঘোষনা করে থাকেন যে
অর্থনীতির একটা বিকল্প পথ, ব্যতিরেখে বাচার কোন পথ নেই, সেটা শুধু
ভারতের অস্তিত্বের প্রশ্ন নয়, বিজেপী হিংস্ত্র পথের বিকল্প ব্যতিরেখে কংগ্রেসের
অস্তিত্বই বিপন্ন হয়ে যাবে।
---- নিশ্চিতভাবে করোনা, নতুন বিশ্বের জন্য দুই অর্থনৈতিক বিকল্পের এক দিকেই বিশ্বকে ঠেলছেঃ
হয় -- গ্লোবালাইজেসনের সাথে সাথে বিশ্বে চিরদাসত্ব এবং ইতিহাসের বিলয়ঃ
অথবা- সাম্য এবং চিত্ত মুক্তির নব উন্মোচন।
সাধারনভাবে বিশ্ব অর্থনৈ্তিক সংকট তার পদধ্বনীকে, ক্রমে, ১৯৩০ এর সংকটকেও অতিক্রম করে যাওয়ার অবস্থায়। 'করোনাকে' সামনে রেখে 
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার বিরুদ্ধে  আমেরিকান মিলিটারিতন্ত্র, যে যুদ্ধ ঘোষনা করেছে
সেটা যুদ্ধোত্তর কালের ময়দানী যুদ্ধের রাস্তাও খোলা রাখার  পূর্বশ্রুতী বলে মানাটাকে, পরিস্থিতির অতিরঞ্জন বলা যাবে না।
----- সব মিলিয়ে বিশ্বঅর্থনৈতিক মঞ্চ যা দাড়াচ্ছে, সেটা যে কোন নিদ্দৃষ্ট পথ ধরে চলুক না কেন,সেটা কার্য্যতঃ মেহনত এবং মেহনত বিরোধীদের মরন-বাচন, যাকে বলা জাবে ইতিহাসকে টিকিয়ে রাখার সংগ্রাম হয়ে দাড়াবেই।
কাজেই পরিস্থিতি যেভাবে জটিল হচ্ছে কিংবা জটিল হওয়ার সম্ভাবনা  দেখা দিয়েছে,
----- সাম্যের যারা অনুসারী তাদের  নিশ্চিতভাবে মেনে চলতে হবে, বিশ্বে এখন একের মধ্যেই 'দুটি যুদ্ধ' চালানো হচ্ছে।সেটার গতিমুখ এখনই চিহ্নিত করা না গেলেও এক বিশ্ব কাপানো পরিস্থিতির দিকেই এগুতে থাকবে।

তখনই প্রশ্ন উঠবে, বিপরীত শিবির হিসেবে সাম্যের প্রস্তুতি কতটুকু। নতুন পরিস্থিতিতে, প্রকাশ্য সামরিক যুদ্ধ হক কিংবা সংঘাত অর্থনৈতিক মঞ্চেই সীমাবদ্ধ থাকুক
-------  সাম্যবাদী দল এবং ট্রেড ইউনিয়ন আন্দোলনকে এখন থেকেই নিজের শক্তি-সাম্যের প্রশ্নে  আজকের অবস্থাটি চিহ্নিত করাই প্রথম কাজ হওয়া  উচিত হবে। সেখানে মেহনতি এবং গনতন্ত্রিদের ইম্যুইনিটি শক্তিকে যদি চিহ্নিত করতে হয়, তবে প্রথমেই
----- মেহনতিদের মধ্যে পূর্বের দুটি মহা মানবনিক বিপ্লবকে প্রতিথ করা সম্ভব হয়েছে, তার তুল্যমূল্যেই তৃতীয় মহাযুদ্ধের চরিত্রের এক সন্তুলিত অভিমুখ নির্ধারন করে দেওয়া সম্ভব হবে।
লেখক নিশ্চিতভাবে মেনেছেন, আজকের  প্রজন্মের নেতা কর্মীরা অক্টোবর বিপ্লব এবং দ্বিতীয় যুদ্ধে হিটলারের বিরুদ্ধে সোভিয়েতের বিজয়
----   এই দুই বিপ্লবকে যদিও বা,  সাম্যবাদী আন্দোলনের অন্যতম গৌ্রবগাথা বলে মেনেছেন, ৯০ কিংবা তারো বেশী অনুপাতের কর্মীরা  এই মহাসংগ্রাম যে মানবিকতার ইতিহাসে প্রথম দুই বিপ্লব, সে স্বিকৃ্তিতে নিজেদের দায়বদ্ধ করার চেতনায় উঠে আসতে পারেন নাই।

নেতাদের কথা বলতে গিয়ে, এটুকুই বলতে চাই, নিশ্চই তারা ইতিহাসের এই মর্ম কথাকে উপলব্ধি করেছেন, অন্যথায় কালগত বিচারে যেসব ঘটনা ঘটে চলেছে, এমন কি 'করোনার' মতো ঘটনাকেও প্রকৃত মূল্যাংকন করে, পরিপ্রেক্ষিতের সাথে মিলিয়ে কর্মধারাকে চিহ্নিত করছেন কি করে? তবে সাধারনার্থে, বুঝতে হবে, যারা এই দুই মহাবিপ্লবকে মহামানবিকতার সাথে যুক্ত করতে ব্যর্থ হয়েছেন
মেহনতি বা সাম্যের কর্মীরা যখন এই দুই মহাযুদ্ধের ইতিহাসগত মূল্যায়ন স্পষ্ট  না থাকে তবে মানতে হবে,
------  তারা কিছুতেই কমরেড স্তালিনের সেই জাতীয় বিপ্লবে সাম্যবাদী নেতৃ্ত্ব সম্পর্কিত তত্বকেই  আয়ত্ব করতে পারেন নাই । এই তত্বকে যদি লেনিন কিংবা স্তালিন যদি না বুঝতেন তবে, আজকের দিনে বিশ্বের ভাবগত এবং সেখান থেকে
------  রাজনৈতিক সন্তুলন কোন পথে  চলতে পারতো, তার স্বরূপটি কি হতে পারতো, তা বুঝে নিয়েই, তৃ্তীয় বিশ্ব  অর্থনৈ্তিক ষ্ট্রোকের গতি প্রকৃ্তি এবং তার রাজনৈ্তিক ও ভাবাদর্শগত সন্তুলনটি চিহ্নিত করে নিয়েই
-----   আগামী সংকটে, অর্থনীতীর আভ্যন্তরীন সংঘাতের গতি প্রকৃ্টি চিহ্নিত করা যেতে পারে এবং সেখান থেকে মেহনত ও মেহনতিদের দায়বদ্ধতা চিহ্নিত করা যাবে।
IN ALL PRACTICAL PURPOSE, INTERNATIONAL WORKING CLASS HAS REACHED THE VICINITY TO THIRD GREAT WAR FOR THE SURVIVAL OF HUMANITY, ALONG  ITS PHYSICAL EXISTENCE. (ক্রমশঃ)

Share To:

THE OFFNEWS

Post A Comment: