দেবর্ষি মজুমদার, লেখক, বীরভূম:

মাত্র দু দিনে অজানা রোগে মৃত্যু প্রায় কুড়িটি কুকুরের। ঘটনাস্থল নলহাটি-২  ব্লকের গোটা কুমারসন্ডা গ্রামে। তার মধ্যে হাজিপাড়া, পশ্চিম পাড়া এলাকায় বেশি প্রকোপ দেখা গেছে। এলাকাবাসীর অভিযোগের পর এলাকায় ব্লক প্রাণিবন্ধু গ্রামে ঘুরে গেছে। মৃত কুকুরদের মাটিতে পুঁতে দেওয়ার পরামর্শ দিয়েছে তারা।  গ্রামবাসীদের  গ্রামবাসীদের দাবি দু দিনে কমপক্ষে ২০ টি পথকুকুর মারা গিয়েছে। জেলা পশু হাসপাতালের চিকিতসক সৌরভ কুমার জানান,এই সময় সিজন চেঞ্জের সময় কুকুররা বিভিন্ন ভাইরাসে আক্রান্ত হয়। তবে একসঙ্গে বেশি সংখক কুকুরের মৃত্যু হলে সেটা তদন্ত সাপেক্ষ। এব্যাপারে নলহাটি-২ ব্লকের বিডিও হুমায়ুন চৌধূরী বলেন, খবর পেয়ে ব্লকের প্রাণি চিকিৎসক গেছিলেন। প্রাথমিক ভাবে যেটা জানতে পেরেছি, ওই গ্রামে  পোল্ট্রি ফার্ম আছে। সেখানে মরা চিকেন খেয়ে কুকুরগুলো কোন ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে। কালকে পূর্ণাঙ্গ রিপোর্ট পাব। তারপর বলতে পারব। 
জানা গেছে, গত রবি সোমবার নলহাটি দুই ব্লকের ন পাড়া গ্রাম পঞ্চায়েতের কুমারসন্ডা গোটা গ্রাম সহ  হাজিপাড়া, পশ্চিমপাড়ায় রাস্তার ধারে কুকুরদের মরে পরে থাকতে দেখা যায়। গ্রামবাসী মহম্মদ নাজিরুদ্দিন ও নুরুল ইসলামরা জানান,এলাকার রাস্তার কুকুরেরা ঝিমোচ্ছে। পাশাপাশি, মুখ দিয়ে লালা ঝরছে। তারপরে মারা যাচ্ছে। গ্রামবাসী নুরুল ইসলামের দাবি,  রবি সোমবার মিলিয়ে প্রায় ২০ টা পথ কুকুর মারা গিয়েছে। এলাকাসূত্রে জানা গিয়েছে, মৃত কুকুরদের মাটিতে না পুঁতে রাস্তার ধারে মৃতদেহ ফেলে রাখা হচ্ছে। যা থেকে শঙ্কিত গ্রামবাসীরা। জানা গেছে, ঠিকভাবে গরম না পরলে, ভাইরাসের প্রকোপ বাড়ে। এই রোগের নাম পার্ভো এবং ডিসটেম্পার। চিকিতসক সৌরভ কুমার জানান, দু বছর পর্যন্ত কুকুরদের এজন্য একটি ইঞ্জেকশন ও তারপরে একটা বুস্টার ডোজ দিতে হয়। বড়দের ক্ষেত্রে একটি ইঞ্জেকশনে কাজ আসে। কুকুর প্রথমে খাওয়া বন্ধ করবে। ঝিমোবে। তারপরে মারা যাবে। সিউড়ির এক স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন সূত্রে জানা গেছে, এবার কুকুরদের ভাইরাসের আক্রমণ দেখা যাচ্ছে । আর তারজন্য রাস্তার কুকুরেরা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মারা যাচ্ছে।  এক্ষেত্রে মহামারী রুখতে  মৃত পোষ্য বা রাস্তার কুকুরকে আবশ্যই মাটিতে পুঁতে দেওয়া উচিত বলে চিকিৎসকদের দাবি।

Share To:

THE OFFNEWS

Post A Comment:

0 comments so far,add yours