ভবানীপ্রসাদ ভট্টাচার্য, ফিচার রাইটার, দুর্গাপুর:
বিদ্যার্নব বুঝলেন বাবা এতক্ষন হটীর পরীক্ষা নিচ্ছিলেন! এখনো হটীর দীক্ষা নেওয়ার সময় হয়নি সেটা বাবা বুঝেছেন! তাই সময় হলেই তিনি তাঁর পালিতা কন্যাটির কর্নমূলে বীজমন্ত্র দেবেন! কিন্তু আসু যে বিপদ তার দিকে ধেয়ে আসছে! সে ব্যাপারে বলতে গিয়ে বিদ্যার্নব ধমক খেলেন!
পরক্ষনেই বাবা বলে উঠলেন," ও ধুতি পিরান পরে পুরুষ সেজে শাঁখ বাজানো ভুলে গেছে!
প্রথমে কথাটা হেঁয়ালীর মতো মনে হলেও এক লহমায় তাঁর মনে পড়ে গেল! তাঁর কন্যার নিকট একটি দুর্লভ বামাবর্ত শঙ্খ আছে ! সে কোথায় কার নিকট এটি পেয়েছে তিনি জানেন না! জানার চেষ্টাও করেন নি ! সে কোনদিন সেটি বাজায় নি! কিন্তু বাবা সেটি জানলেন কি করে? পরক্ষনেই অনুভব করলেন! বাবা অন্তর্যামী ! কিন্তু হঠাৎ তিনি শঙ্খের প্রসঙ্গ তুললেন কেন? এর নিশ্চয়ই কোন গূঢ় রহস্য আছে! ওদিকে হটী বিষ্ময়ে হতবাক! তৈলঙ্গস্বামী ওঁদের বাপ-বেটিকে দেখে মিটিমিটি হাসছেন!
আবার হটীকে উপদেশ দিলেন,"জীবাত্মাকে বন্দী করে রাখতে নেই -মুক্ত করে দে! পরমাত্মার সাথে মিলিত হবার বাসনা তার! ক্যা বেটি সমঝি?" বলেই ধ্যানস্হ হলেন আবার!
তাঁর পায়ের সামনে সাষ্ঠাঙ্গে লুটিয়ে পড়ল হটী!
এবার প্রত্যাবর্তনের পথে দুজনেই নিশ্চুপ! বিদ্যার্নব শুধু লক্ষ্য করলেন! হটী তৈলঙ্গস্বামীর সদুপদেশের গূঢ় রহস্যভেদ করতে পেরেছে! তার চোখে মুখে একটা অদ্ভুত দীপ্তি, এক অনির্বচনীয় তৃপ্তি লক্ষ্য করলেন বিদ্যার্নব!
তাঁদের গুরুকূল চতুষ্পাঠীতে ফিরতে দুপুর গড়িয়ে গেল! রমারঞ্জন তখন অধ্যাপনায় রত!
বিদ্যার্নব এবার হটীকে নির্জন কক্ষে ডেকে বললেন," কিছু বুঝলি মা?"
হটী বলল," হ্যাঁ বাবা বুঝেছি!" (চলবে)
বিদ্যার্নব বুঝলেন বাবা এতক্ষন হটীর পরীক্ষা নিচ্ছিলেন! এখনো হটীর দীক্ষা নেওয়ার সময় হয়নি সেটা বাবা বুঝেছেন! তাই সময় হলেই তিনি তাঁর পালিতা কন্যাটির কর্নমূলে বীজমন্ত্র দেবেন! কিন্তু আসু যে বিপদ তার দিকে ধেয়ে আসছে! সে ব্যাপারে বলতে গিয়ে বিদ্যার্নব ধমক খেলেন!
পরক্ষনেই বাবা বলে উঠলেন," ও ধুতি পিরান পরে পুরুষ সেজে শাঁখ বাজানো ভুলে গেছে!
প্রথমে কথাটা হেঁয়ালীর মতো মনে হলেও এক লহমায় তাঁর মনে পড়ে গেল! তাঁর কন্যার নিকট একটি দুর্লভ বামাবর্ত শঙ্খ আছে ! সে কোথায় কার নিকট এটি পেয়েছে তিনি জানেন না! জানার চেষ্টাও করেন নি ! সে কোনদিন সেটি বাজায় নি! কিন্তু বাবা সেটি জানলেন কি করে? পরক্ষনেই অনুভব করলেন! বাবা অন্তর্যামী ! কিন্তু হঠাৎ তিনি শঙ্খের প্রসঙ্গ তুললেন কেন? এর নিশ্চয়ই কোন গূঢ় রহস্য আছে! ওদিকে হটী বিষ্ময়ে হতবাক! তৈলঙ্গস্বামী ওঁদের বাপ-বেটিকে দেখে মিটিমিটি হাসছেন!
আবার হটীকে উপদেশ দিলেন,"জীবাত্মাকে বন্দী করে রাখতে নেই -মুক্ত করে দে! পরমাত্মার সাথে মিলিত হবার বাসনা তার! ক্যা বেটি সমঝি?" বলেই ধ্যানস্হ হলেন আবার!
তাঁর পায়ের সামনে সাষ্ঠাঙ্গে লুটিয়ে পড়ল হটী!
এবার প্রত্যাবর্তনের পথে দুজনেই নিশ্চুপ! বিদ্যার্নব শুধু লক্ষ্য করলেন! হটী তৈলঙ্গস্বামীর সদুপদেশের গূঢ় রহস্যভেদ করতে পেরেছে! তার চোখে মুখে একটা অদ্ভুত দীপ্তি, এক অনির্বচনীয় তৃপ্তি লক্ষ্য করলেন বিদ্যার্নব!
তাঁদের গুরুকূল চতুষ্পাঠীতে ফিরতে দুপুর গড়িয়ে গেল! রমারঞ্জন তখন অধ্যাপনায় রত!
বিদ্যার্নব এবার হটীকে নির্জন কক্ষে ডেকে বললেন," কিছু বুঝলি মা?"
হটী বলল," হ্যাঁ বাবা বুঝেছি!" (চলবে)
Post A Comment: