ভবানীপ্রসাদ ভট্টাচার্য্য ফিচার রাইটার দুর্গাপুরঃ
অষ্টমঙ্গলার দিন সোঁয়াই অভিমুখে যাত্রা
করল হটী ও সৌম্যসুন্দর! পালকিতে হটী ও কানাইয়ের মা অশ্বপীষ্ঠে সৌম্যসুন্দর!
গ্রাম প্রবেশের পূর্বে সৌম্যসুন্দর পালকি থামাতে বললেন!কানাইয়ের মা বুঝতে পারলেন, জামাইবাবাজী হটীর সাথে একান্তে কথা বলতে চায়! তাই তিনি একটু দুরে চলে গেলে ঘোড়াটিকে এক বেয়ারার কাছে দিয়ে হটীর কাছে এগিয়ে এলেন সৌম্যসুন্দর, একটু দূরত্ব বজায় রেখে হটীর পাশে বসলেন! হটীকে বললেন," এইকটা দিন বাবামশাইকে ছেড়ে থাকতে খুব খারাপ লাগছিল না?"
উত্তরে হটী বলল," না, ওখানে সবাই আমাকে যত্ন আত্তি করেছে, আমার খেয়াল রেখেছে!"
এবার সৌম্যসুন্দর হটীকে জিজ্ঞাসা করল," তুমি অনেক পুঁথি পড়েছো না মঞ্জু?"
হটী মুখ তুলে বললেন, আমাকে ওই নামে ডাকবেন না!"
অবাক হল সৌম্যসুন্দর বোধকরি আহতও...সে বলল," কেন? মঞ্জু তো 'মঞ্জরীর ' সংক্ষিপ্ত রূপ '
হটী চোখ তুলে বলল, "ওটা আমার মায়ের ডাক নাম, মায়ের নাম ছিল ' কুসুম মঞ্জরী ' তাই ওই নামে আমাকে সম্বোধন করবেন না!"
সৌম্যসুন্দর বলল," ঠিক আছে আমি তোমাকে 'রূপা 'বলেই ডাকবো, কিন্তু আমাদের সম্পর্কটা স্বামী- স্বামীর তাহলে তুমি আমাকে 'আপনি ' বলে সম্বোধন করো কেন?
হটী উত্তরে জানাল, সে জানে সব স্ত্রীরাই স্বামীদের ' আপনি' বলে সম্বোধন করে!
সৌম্যসুন্দর, বলল "ভুল, সেটা জনান্তিকে! একান্তে ' তুমি ' বলেই সম্বোধন করে!
নিরব রইলো হটী!
ইতিমধ্যে এগিয়ে এলো কানাইয়ের মা, ! পালকি বেরায়ারাও পালকির কাছে চলে এলো! আজই ওদের তিজলহাটিতে ফিরতে হবে !
সৌম্যসুন্দর উঠে দাঁড়াল!হটীর সাথে তার চোখাচোখি হ'ল! দুজনেই হাসে চোখে - চোখে!
(চলবে)
***** কিছু কিছু পাঠক অভিযোগ করেছেন হটীর সম্পর্কে সঠিক তথ্য প্রকাশিত হচ্ছে না! পাঠকদের অবগতির জন্য জানাই,হটী সম্পর্কে স্হানীয় গবেষক বা কুলচি গ্রন্থ প্রনেতারা উদাসীন ছিলেন! হটী সম্পর্কে একটি চটি বই আর জনশ্রুতির উপর নির্ভর করে এই মহিষসী নারীর বিষয়ে আমি লেখার চেষ্টা করছি! কারো কাছে প্রমান্য এবং গ্রহনযোগ্য নথি থাকলে অনগ্রহ করে আমাদের দিলে! লেখাটি আরও তথ্য নির্ভর ও সমৃদ্ধ হবে!******
অষ্টমঙ্গলার দিন সোঁয়াই অভিমুখে যাত্রা
করল হটী ও সৌম্যসুন্দর! পালকিতে হটী ও কানাইয়ের মা অশ্বপীষ্ঠে সৌম্যসুন্দর!
গ্রাম প্রবেশের পূর্বে সৌম্যসুন্দর পালকি থামাতে বললেন!কানাইয়ের মা বুঝতে পারলেন, জামাইবাবাজী হটীর সাথে একান্তে কথা বলতে চায়! তাই তিনি একটু দুরে চলে গেলে ঘোড়াটিকে এক বেয়ারার কাছে দিয়ে হটীর কাছে এগিয়ে এলেন সৌম্যসুন্দর, একটু দূরত্ব বজায় রেখে হটীর পাশে বসলেন! হটীকে বললেন," এইকটা দিন বাবামশাইকে ছেড়ে থাকতে খুব খারাপ লাগছিল না?"
উত্তরে হটী বলল," না, ওখানে সবাই আমাকে যত্ন আত্তি করেছে, আমার খেয়াল রেখেছে!"
এবার সৌম্যসুন্দর হটীকে জিজ্ঞাসা করল," তুমি অনেক পুঁথি পড়েছো না মঞ্জু?"
হটী মুখ তুলে বললেন, আমাকে ওই নামে ডাকবেন না!"
অবাক হল সৌম্যসুন্দর বোধকরি আহতও...সে বলল," কেন? মঞ্জু তো 'মঞ্জরীর ' সংক্ষিপ্ত রূপ '
হটী চোখ তুলে বলল, "ওটা আমার মায়ের ডাক নাম, মায়ের নাম ছিল ' কুসুম মঞ্জরী ' তাই ওই নামে আমাকে সম্বোধন করবেন না!"
সৌম্যসুন্দর বলল," ঠিক আছে আমি তোমাকে 'রূপা 'বলেই ডাকবো, কিন্তু আমাদের সম্পর্কটা স্বামী- স্বামীর তাহলে তুমি আমাকে 'আপনি ' বলে সম্বোধন করো কেন?
হটী উত্তরে জানাল, সে জানে সব স্ত্রীরাই স্বামীদের ' আপনি' বলে সম্বোধন করে!
সৌম্যসুন্দর, বলল "ভুল, সেটা জনান্তিকে! একান্তে ' তুমি ' বলেই সম্বোধন করে!
নিরব রইলো হটী!
ইতিমধ্যে এগিয়ে এলো কানাইয়ের মা, ! পালকি বেরায়ারাও পালকির কাছে চলে এলো! আজই ওদের তিজলহাটিতে ফিরতে হবে !
সৌম্যসুন্দর উঠে দাঁড়াল!হটীর সাথে তার চোখাচোখি হ'ল! দুজনেই হাসে চোখে - চোখে!
(চলবে)
***** কিছু কিছু পাঠক অভিযোগ করেছেন হটীর সম্পর্কে সঠিক তথ্য প্রকাশিত হচ্ছে না! পাঠকদের অবগতির জন্য জানাই,হটী সম্পর্কে স্হানীয় গবেষক বা কুলচি গ্রন্থ প্রনেতারা উদাসীন ছিলেন! হটী সম্পর্কে একটি চটি বই আর জনশ্রুতির উপর নির্ভর করে এই মহিষসী নারীর বিষয়ে আমি লেখার চেষ্টা করছি! কারো কাছে প্রমান্য এবং গ্রহনযোগ্য নথি থাকলে অনগ্রহ করে আমাদের দিলে! লেখাটি আরও তথ্য নির্ভর ও সমৃদ্ধ হবে!******
Post A Comment:
0 comments so far,add yours