Temple
সঞ্চারি চট্টোপাধ্যায়, ফিচার রাইটার, কলকাতাঃ "আমরা দুজন একটি গাঁয়ে থাকি" প্রকৃতির নানা রূপ , অসুখ বিসুখকে মানুষ সেই কোন সুপ্রাচীনকাল থেকে কোন এক অজানা শক্তি হিসেবে , দেবতা হিসেবে পুজো করে এসেছে । কালে কালে দেবতা হয়েছে মানুষের আপনজন ; কখনো সে মা আবার কখনো আপন সন্তান তুল‍্য । এ প্রসঙ্গে আমাদের অবধারিত ভাবেই মনে পড়ে দক্ষিনেশ্বর এবং শ্রী শ্রী রামকৃষ্ণদেবের কথা । মা কালীর সাধক হিসেবে এবং হিন্দু ধর্ম তথা সর্বধর্ম সমন্বয়ের এক যুগপুরুষ রূপে বিশ্ব চিনেছে এই প্রানপুরুষকে । তবে দক্ষিনেশ্বরের এই মাটি কিন্তু তার বুকে দেবদেবীদের সন্তান স্নেহে ঠাঁই দিয়েছে অনাদিকাল ধরে , হয়তো বা দক্ষিনেশ্বর মন্দির প্রতিষ্ঠিত হবার আগে থেকেই ।সহজপাঠে পড়া যে মধু রায়ের খেয়া বাইবার কথা আমরা জেনেছি তার ঘাটের ধারেই মুক্তকেশীর মন্দির , জামাইষষ্ঠীর তিথিতে প্রতিবছর মা বিন্ধ‍্যবাসিনীর মর্ত‍্যে আগমন ,
মেলা , জৈষ্ঠ‍্য মাসেরই শুক্ল পক্ষের প্রথমা থেকে পঞ্চমী অবধি শীতলা বাড়িতে মা শীতলার ধুমধাম করে পুজো , পুতুল নাচ , শ্বেত বস্ত্রের বুড়ো মার মন্দিরে একটি বার প্রণাম , এমন তেত্রিশ কোটি দেবদেবী দক্ষিনেশ্বরের প্রতিটি গলির মোড়ে , বাড়িতে , সসম্মানে পুজিত হচ্ছেন আজও , সমান অভ‍্যর্থনায় । তাই দক্ষিনেশ্বর বলতে যে মা ভবতারিণীর অপূর্ব মুর্তিটি বিশ্ববাসীর চোখের সামনে ভেসে ওঠে তা হয়তো পূর্ব নির্ধারিতই ছিল । বিধাতা হয়তো তাই বারেবারেই নানা রূপে অবতীর্ণ হয়েছেন আড়িয়াদহ দক্ষিনেশ্বরের ঘরে ঘরে , এ মাটি পূণ‍্যভুমি কিনা তা যাচাই করে নিতেই হয়তো বা । সে পরীক্ষায় বারেবারে পাশ করেছে আড়িয়াদহ ও দক্ষিনেশ্বরবাসী । তাই তো আজ এই স্থানের স্থানমাহাত্ম বিশ্বজোড়া ।


Share To:

THE OFFNEWS

Post A Comment:

0 comments so far,add yours